ব্যস্ত নেতাদের জীবনেও বিবাহবার্ষিকী আসে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের যেমন ছিল গত বুধবার ১৩ জুলাই। কী ভাবে কাটালেন প্রণববাবু? মন্ত্রিসভার রদবদল হল মঙ্গলবার। তাই পর দিন সকাল থেকেই ব্যস্ত ছিলেন তিনি। শুধু অন্য দিনের চেয়ে একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরেন। ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের ঘনিষ্ঠ জন এসেছিলেন বাড়িতে। রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া। এটুকুই যা বিশেষত্ব ছিল দিনটিতে। কারণ একসঙ্গে বাড়ির সকলের মিলিত হওয়াটাই তো এক বিরল ঘটনা। স্ত্রী শুভ্রাদেবী মানুষ জনকে খাওয়াতে ভালবাসেন। বাড়িতে যতই কঠোর নিরাপত্তা থাকুক, সকলের জন্য তাঁর দ্বার অবারিত। তবে নাতি-নাতনি দু’জনেই এখন লন্ডনে। দাদুর সঙ্গে দেখা হয়নি অনেক দিন। খুব শীঘ্রই লন্ডন সফরে যাওয়ার কথা প্রণববাবুর। তখন যদি তাদের সঙ্গে এক বার দেখা হয় ঠাকুরদার।
|
সুষমা স্বরাজের টুইট এখন নতুন কোনও ঘটনা নয়। তবে সাধারণত তাঁর টুইটের বিষয় হয় রাজনৈতিক। কিন্তু সম্প্রতি নিজের বিবাহবার্ষিকী নিয়ে টুইট করে তিনি অনেকের নজর কেড়েছেন। তাঁর দীর্ঘ বিবাহ জীবন, আইনজীবী হিসাবে স্বামী স্বরাজ কৌশলের ভূমিকা। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে কী ভাবে তাঁর স্বামী মিজোরামের রাজ্যপাল হয়েছিলেন, সে বৃত্তান্ত। সুষমা নিজেও আইন নিয়ে পড়াশুনা করেন। পরে আইনজীবীও হন। হরিয়ানায় দেবীলাল মন্ত্রিসভায় সুষমাই ছিলেন একদা কনিষ্ঠতম মন্ত্রী। সুষমার মেয়ে বাঁশরীও লন্ডন থেকে বার অ্যাট ল’ হয়ে এখন সুপ্রিম কোর্ট ও দিল্লি হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করেন। সুষমা হঠাৎই বিবাহর্বাষিকীতে টুইটে এত স্মৃতিচারণ করলেন কেন, তা নিয়ে অবশ্য জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির নেতারা অবশ্য বলছেন, ‘সো টুইট’।
|
রাষ্ট্রপতি বলে কি ব্যক্তিগত জীবন থাকবে না? প্রতিভা পাটিলেরও সম্প্রতি বিবাহবার্ষিকী হল। সে দিনটা তিনি অবশ্য রাইসিনা হিলসের প্রাসাদ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন মুম্বই। মহারাষ্ট্রের রাজভবনেই বেশ ঘটা করে সে দিন তাঁর বিবাহবার্ষিকী পালিত হল। রাজ্যপাল তাজ হোটেল থেকে একটা বিশাল কেকের অর্ডার দিয়েছিলেন। সেই কেক কাটা হয়। এর পর প্রতিভা তাঁর স্বামী ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বিশেষ বিমানে উড়ে যান তিরুপতি। স্বামী-স্ত্রী পুজো দেন। বিমানে প্রতিভার পরিবারের সকলকে জায়গা করে দিতে বসতে পারেননি খোদ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীই। পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ মনে করেন, এই বিশেষ দিনে কেনই বা তিনি ওদের বিরক্ত করবেন? প্রটোকলের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিবাহবার্ষিকী।
|
ব্যক্তিগত জীবন বলে কিছু নেই নীতীশ কুমারের। তাই তাঁর এখন কোনও ছুটিও নেই। স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে তাঁকে কেউ ছুটি নিতে দেখেনি। তবে সম্প্রতি এই নীতীশ কুমারও সাত দিনের ছুটি নিয়েছিলেন। তাঁর ভাইরাল জ্বর হয়েছিল। তিনি অবশ্য বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু কোনও আমলার সঙ্গে বৈঠক করেননি, এমনকী কোনও ফাইলও দেখেননি। নীতীশ বলেন, এর আগে তিনি মরিশাস গিয়েছিলেন। কর্মসূত্রে সেখানে প্রচুর বিহারি বসবাস করেন। সেখানে গিয়ে কিছুটা ছুটি পেয়েছিলেন তিনি। এ জামানায় তিনি ভুটান ও চিন যান। সেখানেও অল্প দিনের জন্য ছুটি মেলে তাঁর। কিন্তু এ বার ভাইরাল জ্বরে তিনি বেশ লম্বা ছুটি পেয়ে গিয়েছেন। ছুটিতে বাড়িতে বসে ডিভিডি-তে দেখেছেন অমিতাভের ছবি ‘বুড্ডা হোগা তেরা বাপ’।
|
এমনিতে আধুনিক মানুষ দীনেশ ত্রিবেদী। যৌবন কেটেছে টেক্সাস ও শিকাগো শহরে পড়াশুনায়। কিন্তু তৃণমূলের এই নেতার দৃঢ় বিশ্বাস জ্যোতিষ ও গ্রহরত্নে। মধ্যমায় রয়েছে নীলা। কিন্তু অন্য এক জ্যোতিষী বলেন, এটা খুব কড়া ধাতের পাথর, হিতে-বিপরীত হতে পারে। তাই পান্নার আংটি পরুন কড়ে আঙুলে। তাতে না কি নীলার প্রভাবকে সামলানো যাবে। এ ছাড়া তিনি মঙ্গলের জন্য প্রবালও পরে থাকেন। যাই হোক, রেলমন্ত্রী হওয়ার পিছনে জ্যোতিষীরা যতই সাফল্য দাবি করুন, দীনেশ কিন্তু বলছেন, “আমার জীবনের এই প্রাপ্তি এক জনের জন্যই। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” |