টুকরো খবর

ডায়েরিয়ায় মৃত, আক্রান্ত বাড়ছে
স্বাস্থ্য দফতরের উদাসীনতায় লালগড়ের কাঁটাপাহাড়ি অঞ্চলের সিজুয়া গ্রামে ডায়েরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতে গ্রামের নন্দরানি সিংহ (৬০) মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। রবিবার ঝাড়গ্রামের সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হীরালাল বিশুই ও মহকুমাশাসক সি মুরুগান সিজুয়া গ্রামে যান। মেডিক্যাল টিমও গ্রামে চিকিৎসা করে। গ্রামের শতাধিক বাসিন্দা ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েক জন লালগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও অনেকে। তৃণমূলের জেলা নেতা নির্মল ঘোষ গত শুক্রবার সিজুয়ায় গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, “এক সপ্তাহ ধরে এলাকায় ডায়েরিয়া ছড়ালেও হাত গুটিয়ে বসেছিল ব্লক স্বাস্থ্য দফতর। জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো সত্ত্বেও ামে নিয়মিত মেডিক্যাল টিম যায়নি। ফলে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “লালগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বর্তমানে ৫ জন চিকিৎসাধীন। বাকিদের চিকিৎসা গ্রামেই চলছে। এ ধরনের অসুখে আক্রান্তকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করাটাই বাঞ্ছনীয়। সে কথা বিএমওএইচ-কে বারবার বলেছি। আক্রান্ত ব্যক্তি মাঠে ঘাটে মলত্যাগ করলে অন্যদের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।” গ্রামবাসীরা নলকূপের জলপান করেন। তা সত্ত্বেও কেন এতজন অসুস্থ হলেন তা জানতে পানীয় জলের নমুনা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের গবেষণাগারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন লালগড়ের বিডিও মানস হালদার। সেই রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছয়নি।

জাল শংসাপত্রের চক্র হাসপাতালে
জাল মেডিক্যাল শংসাপত্র দেওয়ার একটি চক্রের হদিস মিলেছে দুর্গাপুর হাসপাতালে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, হাসপাতালের এক বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে যোগসাজসেই চক্রটি গড়ে তুলেছিল এক দালাল। মনোজ মাহাতো নামে ওই নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দালালের খোঁজে তল্লাশি চলছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একটি কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নিরাপত্তারক্ষী দীর্ঘ দিন ধরেই হাসপাতালে কর্মরত। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে বহু বার। কিন্তু চাকরির প্রয়োজনে সে যে জাল মেডিক্যাল শংসাপত্র সরবরাহ করত, তা কেউ জানতেন না। শনিবার দুর্গাপুর ও তার আশপাশের এলাকা থেকে ছয় যুবককে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় চাকরি করে দেওয়ার নাম করে হাসপাতালে নিয়ে আসে চক্রের দুষ্কৃতীরা। ওই যুবকদের অভিযোগ, মেডিক্যাল শংসাপত্র দেওয়ার জন্য তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রাথমিক ভাবে ৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। বলা হয়, পরে চাকরির জন্য আরও ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এক যুবকের সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ আসার আগেই পালায় চক্রের এক পান্ডা। মনোজ গ্রেফতার হয়। হাসপাতাল সুপার দেবব্রত দাস জানান, এই ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হলে সুপারের কাছে আবেদন জানাতে হয়। এ দিন সে রকম কিছুই করা হয়নি। তিনি বলেন, “হাসপাতালে এই ধরনের বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা হবে না।” এ দিকে যে চিকিৎসকের কাছে ওই যুবকদের চিকিৎসা করানো হচ্ছিল তিনিও ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তন্ময়বাবু বলেন, “হাসপাতালের কেউ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।”

ভর্তি না নেওয়ায় ক্ষোভ
পরিত্যক্ত একটি শিশুকে ভর্তি করতে না চাওয়ার অভিযোগে গঙ্গাজলঘাটি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। রবিবার সকালের ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চেয়ার, টেবিল উল্টে দেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, অমরকাননের একটি আশ্রমে এ দিন সকালে কাপড়ে মোড়া একটি সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে পুকুরের পাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এক বাসিন্দা শিশুটিকে উদ্ধার করে অমরকাননে অবস্থিত ওই গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। অভিযোগ, সেখানকার এক চিকিৎসক শিশুটিকে ভর্তি না নিয়ে ফেরত নিয়ে যেতে বলেন। সেই ব্যক্তি অমরকানন মোড়ে গেলে স্থানীয়রা বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁরা এর পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চড়াও হন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। বাঁকুড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ দিন্দা বলেন, “ভুল বোঝাবুঝির জন্য শিশুটিকে ভর্তি করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তবে শিশুটিকে আগে ভর্তি করে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দরকার ছিল।” তিনি জানান, শিশুটিকে পরে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য জেলা সমাজ কল্যাণ দফতরকে খবর দেওয়া হয়েছে।

কুষ্ঠরোগীদের সাহায্য
ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।
কুষ্ঠরোগীদের পাশে দাঁড়াল স্টেট ব্যাঙ্ক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। রবিবার খড়্গপুরের সাউথ ইন্সটিটিউটে এক অনুষ্ঠানে ২০০ জন কুষ্ঠরোগীকে বস্ত্রদান করা হয়। ৬ জনকে দেওয়া হয় ট্রাইসাইকেল, ২০ জনকে ক্রাচ। আর ৭০ জনকে নিখরচায় শুশ্রূষাও করা হয়। সম্প্রতি সংগঠনের উদ্যোগে জাদুকর পি সি সরকার (জুনিয়র)-এর ম্যাজিক শো হয়। তা থেকে সংগৃহীত অর্থেই এ দিনের অনুষ্ঠান হয়। তারই সঙ্গে মেদিনীপুর স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট অ্যাকাডেমির উন্নয়নে ২০ হাজার টাকাও দান করা হয়। ওই অ্যাকাডেমির হলেই পিসি সরকারের অনুষ্ঠান হয়েছিল। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বেঙ্গল সার্কেলের সাধারণ সম্পাদক কল্যানব্রত ভৌমিক, খড়্গপুর কম্পোজিট সার্কেলের সম্পাদক অসিতাভ কুণ্ডু।

চিকিৎসককে মারধর
আটমাসের শিশুটিকে পরীক্ষা করছিলেন চিকিৎসক। শিশুটির প্রস্রাবে তাঁর জামা কিছুটা ভিজে যায়। তাকে একটু সরিয়ে নিয়ে বসতে বলেন ওই চিকিৎসক। অভিযোগ, সেই রাগে চিকিৎসককে বেধড়ক পেটায় শিশুর আত্মীয়েরা। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, বেলা ৩টে নাগাদ খান সাহেব আহাদ গ্রামের একটি শিশুকে আনা হয় হাসপাতালে। তার গায়ে জ্বর ছিল। সংশিষ্ট চিকিৎসক রাকেশ চক্রবর্তী বলেন, “সারা দিন হাসপাতালে ভিজে জামা গায়ে থাকতে হবে। তাই ওঁদেরকে একটু সরে বসতে বলি।” ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, কিছু ক্ষণ পরেই ১০-১২ জন যুবক হাসপাতালে ঢুকে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ওই চিকিৎসককে কিল-চড়-ঘুসি মারতে শুরু করে। গালিগালাজ করা হয়। সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। সিএমওএইচ-কেও বিষয়টি জানিয়েছেন রাকেশবাবু। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। পুলিশ জানায়, শেখ সিরাজ নামে এক জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শিখা অধিকারী বলেন, “ঘটনাটি দুঃখজনক। এরপরে হাসপাতালে চিকিৎসক পাঠাতে সমস্যা হবে।”

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শয্যার উদ্বোধন
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লকের বেলপুকুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকে রোগী ভর্তির কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ফলে সমস্যায় পড়তেন চিকিৎসার জন্য আসা অনেক রোগী। রবিবার বিকেলে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে ১০ শয্যার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উন্নীত করা হল। এ দিন ওই শয্যার উদ্বোধন করেন জেলা সভাধিপতি শামিমা শেখ। তিনি বলেন, “এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে বহু মানুষ নির্ভর করেন। কিন্তু শয্যা না থাকায় রোগীদের খুব সমস্যা হচ্ছিল। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৩২ লক্ষ টাকা খরচে ১০টি শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্য সমস্যাগুলিরও সমাধানের ব্যবস্থা হবে।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিডিও সুদীপ্ত দেবনাথ, বিএমওএইচ দুলাল সর্দার, স্থানীয় বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তরুণ রায় প্রমুখ।

চিকিৎসাকেন্দ্রে তালা
কর্মী কমানোর প্রতিবাদে রবিবার রানিগঞ্জের নিমচা কোলিয়ারি ডিসপেন্সরিতে তালা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানালেন ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী। কর্তৃপক্ষ সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন। এ দিন সকালে স্বাস্থ্যকর্মী দিলীপ মণ্ডল, মলয় মণ্ডল এবং প্রণব মুখোপাধ্যায় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা লাগিয়ে দিয়ে চাবিটি মেডিক্যাল অফিসারের হাতে তুলে দেন। দিলীপবাবু বলেন, “রবিবার ৫ জন কর্মী থাকেন। এ দিন ৩ জন কর্মীকে রাখা হয়েছে। রবিবার এখানে প্রচুর ভীড় হয়। কম কর্মীদের পক্ষে কাজ চালানো সম্ভব নয়।” মেডিক্যাল অফিসার ডি বসু জানান, অভিযোগ ভিত্তিহীন নয়। কোলিয়ারি এজেন্ট ও ম্যানেজারকে বিষয়টি বিশদে জানানো হয়েছে। এজেন্ট এনকে খুলবে বলেন, “দাবি গুরুত্ব দিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হবে।”
Previous Story Swasth First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.