কী পড়ছ, কেন পড়ছ...
ভেবে নাও, বেছে নাও
ফিজিক্স
এখনও যে-কোনও কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি-তালিকার দিকে নজর দিলেই দেখা যাবে মেধাবী ছাত্রদের ভিড় সবচেয়ে বেশি এই বিষয়ে। কিন্তু মুশকিল হল, অধিকাংশ ছাত্রের বিষয় নির্বাচনের পিছনে কাজ করে পদার্থবিদ্যা নামের গ্ল্যামার; যেটা কোনও বিষয়কে বেছে নেওয়ার পক্ষে সুযুক্তি হতে পারে না। চাই বিষয়ের প্রতি আগ্রহ ও ভালবাসা। এ ছাড়া চাই অঙ্কে গভীর দখল। পদার্থবিজ্ঞান অন্যতম প্রধান মৌলিক বিজ্ঞান যার শাখা-প্রশাখা বিজ্ঞান ও কারিগরি বিভাগের প্রায় সর্বত্র প্রসারিত। কেরিয়ার গড়ার সুযোগ অনেক। তবে প্রতিযোগিতাও ভীষণ কঠিন এবং সেটা সেরাদের সঙ্গেই।
পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করার পরে কেরিয়ারের সুযোগ প্রধানত তিন ধরনের।
১) স্কুল, কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা।
২) সরকারি/বেসরকারি শিল্প/গবেষণা সংস্থায় গবেষক বিজ্ঞানী হওয়া।
৩) ইলেকট্রনিক্স শিল্প, বিদ্যুৎ শিল্প, তৈল ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ অনুসন্ধান, প্রায় সমস্ত ধরনের উৎপাদন শিল্পে বৈজ্ঞানিক/কারিগরি সহায়কের কাজ।
প্রথম দু’টি ক্ষেত্রে অবশ্য শুধু বি এসসি ডিগ্রি যথেষ্ট নয়। মাস্টার্স/ডক্টরেট ডিগ্রি প্রয়োজন। পদার্থবিজ্ঞানের অনেক শাখা, যার প্রতিটিরই অজস্র প্রশাখা। সুতরাং, উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার বিষয় পছন্দের তালিকাও দীর্ঘ। অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, বায়োফিজিক্স, জিওফিজিক্স, নিউক্লিয়ার ফিজিক্স, মলিকিউলার ফিজিক্স, প্লাজমা ফিজিক্স, ফিজিক্স অব কনডেন্সড ম্যাটার্স, ফ্লুয়িড ফিজিক্স, মেডিক্যাল ফিজিক্স, অপটিক্স অ্যান্ড ফোটনিক্স ইত্যাদি।
অ্যাস্ট্রোফিজিক্স পড়ার পর বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা এবং অবজারভেটরিতে কাজের সুযোগ আছে। এ ছাড়া, শিক্ষকতাও করা যেতে পারে। বায়োফিজিক্স একটা মাল্টিডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট। কেমিস্ট্রি এবং বায়োলজির যথেষ্ট প্রয়োগ প্রয়োজন। ঔষধ শিল্পে, বায়োটেকনোলজি শিল্পে বায়োফিজিসিস্টের চাহিদা দেশে-বিদেশে প্রবল। এ ছাড়া আছে গবেষণা/শিক্ষকতার কাজ। জিওফিজিক্স বা ভূ-পদার্থবিজ্ঞান পড়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস, পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ অনুসন্ধান ইত্যাদি কাজ করা যায়। আণবিক বোমা এবং পারমাণবিক চুল্লির কল্যাণে নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের দু’টি প্রয়োগের কথা সবারই জানা।
এ ছাড়াও আছে ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় রেডিয়েশন থেরাপি, খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে গামা রশ্মির প্রয়োগ, আর্কিওলজিতে রেডিয়োঅ্যাক্টিভ ডেটিং ইত্যাদি। মেটেরিয়াল সায়েন্স এবং ন্যানো টেকনোলজিতে গবেষকদের চাহিদা বিভিন্ন শিল্পে দিন-দিন বাড়ছে। শল্যচিকিৎসায় এবং সিডি/ভিসিডি’তে লেজার রশ্মির প্রয়োগের কথা এখন আর অজানা নয়।
প্লাজমা ফিজিক্সের গবেষণারও প্রত্যক্ষ ব্যবহারিক প্রয়োগ আছে। যেমন, প্লাজমা টিভি জাতীয় ডিসপ্লে ডিভাইসে। গোটা পৃথিবী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে কবে ফিউশন রিয়াক্টর তৈরি সম্ভব হবে আর শক্তি সমস্যার চিরকালীন সমাধান হবে। যদি হয়, প্লাজমা ফিজিসিস্টদের তাতে বিরাট একটা ভূমিকা থাকবে। সোজা কথায়, পদার্থবিদ্যার প্রয়োগও প্রায় সর্বত্র এবং সেই সব জায়গাতেই পদার্থবিদদের কেরিয়ারের সুযোগ। আলাদা করে ইলেকট্রনিক্স শিল্পের কথা তুলছি না। মনে রাখতে হবে, ইলেকট্রনিক্স পদার্থবিজ্ঞানেরই এক শাখা, যা বর্তমানে নিজেই এক মহীরূহ।
এ সবের বাইরেও পদার্থবিদ্যার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্করহিত বহু শিল্প পদার্থবিদদের চাকরিতে নিয়োগ করে তাঁদের বিশ্লেষণী দক্ষতার কারণে। পদার্থবিদ্যায় স্রেফ বি এসসি পাশ করা ছেলেদেরই আজকাল তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে খুব কদর। ব্যাঙ্ক, বিমা এবং অন্যান্য আর্থিক সংস্থায়ও অনেকে কাজ পায়। আর যদি পদার্থবিদ্যা পড়ে আর বিষয়টা নিয়ে বেশি দূর না এগিয়ে চাকরি করতে চাও, তবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা এবং সরকারি চাকরি তো আছেই। মোট কথা, সুযোগ অফুরন্ত। বিষয়টাকে ভালবাসলে কি না সেটাই প্রশ্ন।


অঙ্ক

যারা উচ্চ মাধ্যমিকের পর অঙ্ক নিয়ে পড়তে চায় তাদের আমি এটাই বলব যে পরীক্ষায় প্রাপ্ত ভাল নম্বরের নিরিখে বিষয়টি পড়তে এসো না। গণিতের প্রতি তোমার আকর্ষণ বা ভালবাসা কতটা সেটা আগে বিচার করে সিদ্ধান্ত নাও, যাতে আজ থেকে অনেক বছর পরেও পেছনে তাকিয়ে তুমি নিজেকে বলতে পারো, জীবনে তুমি যা চেয়েছিলে তাই-ই হয়েছ। শিক্ষকতা করি বলেই হয়ত বলতে পারছি যে বিজ্ঞানের রানি গণিতকে বুঝতে হলে মুখস্থ্যবিদ্যা কিন্তু কোনও কাজে আসবে না। অঙ্ক শিখতে হলে তার ভেতরের মূল সত্যটাকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করতে হবে। জটিল অঙ্ক ভেঙে ফেলে দুরূহ সমস্যার সমাধান করতে পারা অবশ্যই একটি বিশেষ দক্ষতা। এবং পরীক্ষায় সাফল্য পেতে এই দক্ষতা অর্জন করা অবশ্যই জরুরি। কিন্তু এক মাত্র এই দক্ষতাই গণিত শেখার মূল পন্থা নয়। তার মূল সুর লুকিয়ে থাকে বিষয়বস্তুর যুক্তিনির্ভর উপস্থাপনায়। তাই তত্ত্বের গভীরে না ঢুকলে তার নাগাল পাওয়া যাবে না।
উচ্চতর গণিত নিয়ে পড়াশোনা বা গবেষণার জন্য আমাদের দেশে সুযোগের ক্ষেত্র ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। এর জন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তো রয়েছেই। যেখানে অ্যালজেব্রা, টোপোলজি, ফাংশানাল অ্যানালিসিস, পার্সিয়াল ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন, জিয়োমেট্রি ইত্যাদি নানান বিষয়ে গবেষণা করার সুযোগ পাচ্ছে ছেলেমেয়েরা। যেমন, টি আই এফ আর (মুম্বই) এবং এইচ আর আই-তে এখন নাম্বার থিয়োরির ওপর কাজ হচ্ছে, পার্সিয়াল ডিফারেনশিয়াল ইকুয়েশন এবং ফিনানসিয়াল ম্যাথমেটিক্স-এর নানা দিকে নিয়ে কাজকর্ম হচ্ছে আই আই এস সি (বেঙ্গালুরু)-তে, আই আই টি, কানপুর-এ গবেষণা হচ্ছে হারমনিক অ্যানালিসিস-এর ওপর। অনেক সময় এই বিষয় কাজ করার সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একে অপরের সঙ্গে যুগ্মভাবেও কাজ করে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আই আই এস ই আর)-এ আই আই টি-র সর্বভারতীয় মেধা তালিকা থেকে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করা হয় এবং তাদের বৃত্তিও দেওয়া হয়। গবেষণার জন্য ইউ জি সি-র ‘নেট’ পরীক্ষা ছাড়াও ছেলেমেয়েরা ন্যাশনাল বোর্ড অব হায়ার ম্যাথমেটিক্স (এন বি এইচ এম)-এ মেধাবৃত্তির পরীক্ষা দিতে পারে।
তবে অঙ্ক নিয়ে উচ্চশিক্ষা করতে গিয়ে যে শুধু এরই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হায়ার স্টাডিজ করা যাবে তা কিন্তু নয়। এখন তো সব বিষয়ে কমপক্ষে ইন্টারডিসিপ্লিনারি হয়ে গেছে। যেমন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অঙ্কের বিশেষ প্রয়োগ রয়েছে। অর্থনীতির মধ্যে যেমন স্পেশালাইজেশনের বিষয় রেয়েছে ইকনোমেট্রিক্স। বিষয়টি অনেকাংশেই অঙ্ক ঘেঁষা। আই এস আই-তে বায়োলজি এবং অঙ্কের সমন্বয়ে একটি বিষয় পড়ানো হয়, বায়োম্যাথমেটিক্স। এ ছাড়াও ক্রিপ্টোগ্রাফি নিয়ে সেখানে যে সব কাজকর্ম হয় তাতে অঙ্কের নাম্বার থিয়োরির বিশেষ প্রয়োগ রয়েছে।

এ বার আসি চাকরির সুযোগের কথায়। এটুকু বলতে পারি যে অঙ্কের ছেলেমেয়েরা কখনও বসে থাকে না। স্কুল বা কলেজের শিক্ষকতা অথবা আই এ এস বা ডব্লিউ বি সি এস-এর মতো কম্পিটিটিভ পরীক্ষার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। এ ছাড়া অঙ্কের ছেলেমেয়েরা আই টি সংস্থায় সফটওয়্যার ডেভেলপার, প্রগ্রামার কিংবা সেখানকার রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট বিভাগে কাজ পেতে পারে। অনেকে ব্যাঙ্কিং সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে প্রবেশনারি অফিসার হয়ে যায়। এমনকী শেয়ার মার্কেটেও অঙ্কের ছেলেমেয়েদের নেওয়া হচ্ছে। ফলে কাজ নিয়ে চিন্তার করার নেই। বিষয়টাকে ভাল করে জানো, নিজের পছন্দের কাজ তুমি ঠিকই পেয়ে যাবে।

কেমিস্ট্রি
প্রচুর ইকুয়েশন, এক গাদা থিয়োরি যা মুখস্থ করে শেষ করা যায় না ছাত্রছাত্রীরা রসায়ন সম্পর্কে সাধারণত এটাই ভাবে। কিন্তু ধারণাটা সত্যিই কি ঠিক? রসায়নে কী পড়তে হয়? বিভিন্ন রকমের পদার্থ, তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম, তারা কী ভাবে একে অপরের সঙ্গে মিশে এক বা একাধিক নতুন পদার্থ তৈরি করে, যদি নতুন কোনও পদার্থ তারি করে তা হলে সেই পদার্থটির ধর্ম কী ইত্যাদি। একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া কী ভাবে সংঘটিত হবে, পর্যায় সারণিতে কোন মৌলের অবস্থান কোথায়, তাদের ধর্ম, মৌলগুলির আন্তঃসম্পর্ক রসায়ন শাস্ত্রের এই প্রথম ধাপগুলি সম্পর্কে ছেলেবেলা থেকে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করে ফেলতে পারলে পরে বিষয়টাকে আর নীরস বলে মনে হবে না।
ভেবে দেখ, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমরা যা কিছু ব্যবহার করি, তা সবই তো রাসায়নিক। সে টুথপেস্ট হোক, খাবারদাবার হোক বা কোনও জীবনদায়ী ওষুধ। এই সব জিনিসের জন্ম হয় রসায়নাগারে, উৎপাদন হয় রাসায়নিক শিল্পকারখানায়। পরিবেশের ক্ষতি না করে মানুষের কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক জিনিসপত্র তৈরি করা, সেই জিনিস তৈরির ঠিক পদ্ধতি আবিষ্কার করা, এক জন দক্ষ রসায়নবিদ ছাড়া তো এ কাজ আর কেউ করতে পারে না।
আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রসায়ন শাস্ত্র এখন আর শুধু তার প্রথাগত শাখাগুলি (ফিজিক্যাল, অর্গ্যানিক, ইনঅর্গ্যানিক ও বায়োকেমিস্ট্রি) মধ্যেই সীমিত নেই। আরও নানা বিষয়ের সঙ্গে এখন নিজেকে যুক্ত করেছে সে। ফলে যদি কেউ স্নাতক স্তরে রসায়ন নিয়ে পড়ে ভবিষ্যতে গবেষণার কথা ভাবে তা হলে তার কাছে হরেক বিকল্প রয়েছে। যেমন এখন রসায়নের ছাত্রছাত্রীরা স্পেশালাইজেশন করতে পারে সিনথেটিক বা ইনঅর্গ্যানিক কেমিস্ট্রি, বায়োঅর্গ্যানিক এবং বায়োইনঅর্গ্যানিক কেমিস্ট্রি, বায়োমলিকিউলস এবং বায়ো মিমিকস, ড্রাগ ডিজাইন এবং ড্রাগ ডেলিভারি সিস্টেমস, অর্গ্যানোমেটালিক এবং সুপ্রামলিকিউলার কেমিস্ট্রি, কম্পিউটেশনাল এবং থিয়োরেটিক্যাল কেমিস্ট্রি, সলিড স্টেট এবং সফ্ট কনডেন্সড ম্যাটার, কোলয়েডস এবং ইন্টারফেসেজ, রাবার এবং পলিমারস, মেটাল, সেরামিক এবং কম্পোজিটস, ক্যাটালিসিস, ফোটোকেমিস্ট্রি এবং লিথোগ্রাফি, ন্যানোটেকনোলজি ইত্যাদিতে। এ ছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিভিন্ন শাখা, মেডিসিন, আর্থ সায়েন্স এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স-এর মতো বিষয়ে ইন্টারডিসিপ্লিনারি গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে ছেলেমেয়েদের কাছে।
আর চাকরি? শিক্ষকতা বা অধ্যাপনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সংস্থাতেও রসায়নের ছাত্রছাত্রীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। যেমন রাসায়নিক বা আনুষঙ্গিক শিল্পক্ষেত্রে রয়াসনের ছেলেমেয়েরা কাজ পেতে পারে রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট, ম্যানুফ্যাকচারিং, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, সেলস ও মার্কেটিং, ইন্টালেকচুয়্যাল প্রপার্টি রাইটস ইত্যাদিতে। এ ছাড়াও এনার্জি এবং এনভায়রনমেন্ট সেক্টর, অ্যানালিটিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টস সেক্টর, মেটাল এবং অ্যালয় সেক্টর এমনকী আই টি সেক্টরেও কাজ করা যায় রসায়ন পড়ে। আর যারা সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে চায় তারা তো বিভিন্ন কম্পিটিটিভ পরীক্ষা দিতেই পারে। এ ছাড়া ওষুধের সংস্থাতেও কাজ করা যায়।

বটানি

উচ্চ মাধ্যমিকে বায়োলজি থাকলে, বিষয়টিকে ভালবেসে পড়লে এবং ভাল নম্বর রাখতে পারলে কলেজ স্তরে বটানি অনার্স নিয়ে পড়া যায়। আমাদের রাজ্যের বহু কলেজে বটানি অনার্স পড়ানো হয়; তবে ভর্তির আগে কলেজের পরিকাঠামো জেনে নেওয়া উচিত। বটানি পড়ে শুধু নিজের রাজ্যে নয়, বায়োটেকনোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, মলিকিউলার বায়োলজি, জেনেটিকস এবং এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স-এর মতো বিষয়গুলিতে এম এসসি পড়ার সুযোগ হাতের মুঠোয় চলে আসে। তবে হ্যাঁ, এর জন্য নিজেকেও সমান ভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। অভিজ্ঞতার নিরিখে দেখা গেছে, বটানি অনার্সের ছেলেমেয়েরা সচ্ছন্দে এই বিষয়গুলিতে বিচরণ করতে পারে। এই মিলেনিয়ামে গবেষণার অন্যতম বিষয়বস্তু হচ্ছে ‘প্ল্যান্ট’ এবং উদ্ভিদের নানাবিধ উন্নতি ‘বায়োটেকনোলজি’র মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের নজর কাড়ছে। বটানি পড়ে যারা গবেষণায় আসতে চাইছে, সুযোগ আছে দেশে-বিদেশে প্রচুর।
বটানি পড়ে সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলিতে পড়ানো যায়। এমন কোনও স্কুল নেই যেখানে বায়োলজিকাল সায়েন্স পড়ানো হয় না। প্রসঙ্গত, বি এসসি-র পরে যারা এম এসসি বটানি করছে এবং গবেষণায় আসতে চাইছে না, তাদের জন্যও স্কুলগুলো উচ্চ বেতনক্রম দিচ্ছে।
গবেষণাও কিন্তু এক ধরনের চাকরি যেখানে মাসিক স্কলারশিপ পাওয়া যায় এবং এম এসসি-র পরে পিএইচ ডি ডিগ্রি পাওয়া যায়। তবে গবেষণায় আসতে গেলে সর্বভারতীয় ‘নেট’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া আবশ্যক। ‘নেট’ কোয়ালিফাই করলে শুধু যে স্কলারশিপ নিয়ে গবেষণা করা যায় তা-ই নয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার চাকরির আবেদন করার যোগ্যতাও অর্জন করা যায়।
দীর্ঘ তিন দশক শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে সবশেষে বলব, শুধু নম্বরের জন্য নয়, বিষয়টিকে ভালবাসতে হবে এবং জানার খিদেটাকে বাড়াতে পারলে তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত।

First Page Prostuti Next Item


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.