তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হলেন ২৫ জন। রবিবার বিকেলে চন্দ্রকোনার কৃষ্ণপুরে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় যৌথ বাহিনী। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন “দলের সমর্থকদের মধ্যে মারপিট হয়েছে। কয়েকজন আহতও হন। কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা সংশ্লিষ্ট ব্লক সভাপতিকে জানাতে বলেছি।” দলীয় সূত্রে খবর, এলাকায় দুই গোষ্ঠীর ক্ষমতা দখলের লড়াইকে ঘিরেই যত গণ্ডগোল। চাপা উত্তেজনা ছিল আগে থেকেই। রবিবার দুই গোষ্ঠী মিছিল করে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে গেলে প্রথমে বচসা বাধে। পরে তা সংঘর্ষের আকার নেয়। কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর হয়।দোকান-পাট সব বন্ধ হয়ে যায়। আহতরা ঘাটাল ও আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। বেশ কয়েকজন ক্ষীরপাই ও চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন। ১২ জন আশঙ্কাজনত। চন্দ্রকোনার ওসি সুশান্ত রাজবংশী বলেন, “এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।”
|
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তুলল বামশরিক সিপিআই। পেট্রোপণ্য-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি, কেন্দ্রের নানা দুর্নীতির প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে সিপিআইয়ের প্রতিবাদ মিছিল বেরোয় শালবনির ভাদুতলায়। অভিযোগ, মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য দলীয় কর্মী-সমর্থকদের শাসিয়েছে তৃণমূল। নেতাদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। দলের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা বলেন, “শুধু ভাদুতলায় নয়, জেলার প্রায় সর্বত্রই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় এখন আর গণতন্ত্র নেই।” অভিযোগ উড়িয়ে সন্ত্রাসের প্রশ্নে সিপিআইকে পাল্টা বিঁধেছে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “এ সব অপপ্রচার। সন্ত্রাসের জবাব মানুষ ভোটেই দিয়েছেন। সিপিএম- সিপিআইয়ের লোকজনই অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।” |