সম্পাদক সমীপেষু...
আংশিক সময়ের শিক্ষক
রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের পঠন-পাঠন এখন প্রধানত আংশিক সময়ের শিক্ষকদের উপরেই নির্ভরশীল। শুধু পঠন-পাঠন নয়, পরীক্ষার খাতা দেখা বা আনুষঙ্গিক বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ চালানোর জন্যও অধিকাংশ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আংশিক সময়ের শিক্ষকদের উপরেই নির্ভর করা হয়। সমীক্ষায় নামলে দেখা যাবে যে, রাজ্যে এমন অনেক কলেজও রয়েছে যেখানে বিভিন্ন দফতরে স্থায়ী কোনও শিক্ষক নেই। আংশিক সময়ের শিক্ষকদের উপরেই নির্ভর করতে হয়।
রাজ্যে এই মুহূর্তে ৮০০০ আংশিক সময়ের শিক্ষক রয়েছেন। অনেকে শিক্ষকতা করছেন ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে। কিন্তু কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষকরা কোনও সময়েই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সুবিচার পাননি। না আর্থিক দিক থেকে না সম্মানের ক্ষেত্রে। চাকরির কোনও নিশ্চয়তা নেই। বার বার করে আন্দোলনে নামলেও রাজ্য সরকারের কাছে তা আমল পায়নি।
বামফ্রন্ট সরকার তাদের রাজত্বের একেবারে শেষ দিকে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর এক নির্দেশনামা জারি করে আংশিক সময়ের শিক্ষকদের ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখার কথা ঘোষণা করে। তার পরেও বিভিন্ন কলেজে এখনও সেই নির্দেশনামা কার্যকর করা হয়নি। শুধু তাই নয়, আংশিক সময়ের শিক্ষকদের পূর্ণ সামাজিক মর্যাদার বিষয়টিও এখনও পর্যন্ত অপূর্ণ রয়ে গিয়েছে। আংশিক সময়ের শিক্ষকদের যে সব বিষয়ে এখনই নজর দেওয়া দরকার, সেগুলি হল
ক) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সরকারি নির্দেশনামা কার্যকর করা।
খ) ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন কাঠামো তৈরি করা।
গ) ২০০৮ সালের পরে যে সব আংশিক সময়ের শিক্ষক বহিষ্কৃত হয়েছেন, সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে তাদের সকলকে পুনর্বহাল করা।
ঘ) আংশিক সময়ের শিক্ষক পরিচয়ের অবসান ঘটানো।
ঙ) রিফ্রেশার কোর্স, গবেষণার সুযোগ দেওয়া।
চ) টিচার্স কাউন্সিলের সদস্য করে যথাযথ সম্মান দেওয়া।
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়
হালফিল দক্ষিণবঙ্গের প্রধান সড়কগুলি ছাড়াও জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে এক হাঁসজারু শকট। সাধারণ ট্রলির সঙ্গে মোটরবাইকের যন্ত্রাংশ এবং ইঞ্জিন জুড়ে তৈরি হওয়া এই ত্রি-চক্রযান গাদাগাদি যাত্রী-বহন করছে বেআইনি ভাবে। গাড়িগুলির অধিকাংশেরই না থাকছে রুট পারমিট, না থাকছে গতির ভারসাম্য। ফলে, দুর্ঘটনা ঘটছে আকছার। যাত্রীরাও দীর্ঘক্ষণ বাস-মিনিবাসের অনুপস্থিতিতে বাধ্য হয়ে দ্রুত পৌঁছানোর তাগিদে মালপত্তর, শাক-সবজি নিয়ে সওয়ার হয়ে পড়েন গাড়িতে। এই ভুটভুটির দূষণ মুক্তির শংসাপত্র দর্শানোরও বালাই থাকে না। নিরাপত্তাহীন এই যাত্রিবাহী যানটিকে যথাযথ ভাবে নিয়ন্ত্রণের বন্দোবস্ত করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিষদীয় দলের সহনেতা তথা শিল্প-বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভার স্পিকার হয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন পদে অনিতা মণ্ডলকে সরিয়ে বসানো হল কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে। পশ্চিমবঙ্গে ব্রাহ্মণ্যবাদের বৃত্ত পরিপূর্ণ হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশে জুলাই মাস থেকে ২৫ পয়সা অচল। স্বভাবতই চাপ বাড়ছে ৫০ পয়সার মুদ্রায়। ৫০ পয়সার মুদ্রা প্রয়োজনের তুলনায় কমে গেছে। ক্ষেত্রবিশেষে আক্কেল সেলামি দিতে হচ্ছে। ছা-পোষা মানুষ বড় নোট সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারছে না। তৎসঙ্গে বড় ১০০/৫০০ টাকার জাল নোটের আশঙ্কা ও আতঙ্ক রয়ে যায়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও অর্থমন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
Previous Item Editorial First Page


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.