পাক সাংবাদিক সইদ সালিম শাহজাহাদের খুনকে ঘিরে পাকিস্তান ও আমেরিকার মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। ইসলামাবাদের ‘অঙ্গুলিহেলনেই’ শাহজাদকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে সম্প্রতি ওয়াশিংটনে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মার্কিন সেনাপ্রধান মাইক মুলেন। যার প্রেক্ষিতে, এর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। এই ধরনের মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে বর্ণনা করেছে পাক সরকার।
গত কাল মাইক মুলেন বলেছিলেন, “খবরে দেখা যাচ্ছে কিছু সরকারি অফিসারের মদতেই শাহজাদকে অপহরণ ও খুন করা হয়েছিল।” অ্যাবটাবাদে মার্কিন সেনার হাতে বিন লাদেন খুন হওয়ার পর থেকেই পাক-মার্কিন সম্পর্কে কিছুটা ভাঙন ধরেছে। তার পর মুলেনের এই মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই আগুনে ঘি পড়ে। পাকিস্তানের এক সরকারি মুখপাত্র বলেন, “এই সব মন্তব্য খুনের তদন্তে অসুবিধার সৃষ্টি করবে।” গত মাসেই এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিশন গড়েছে পাকিস্তান।
আল কায়দার সঙ্গে আই এস আই-এর যোগাযোগ রয়েছে। নিজের বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে এই রকম ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন শাহজাদ। গত ২৯ মার্চ ইসলামাবাদে অপহৃত হন তিনি। পর দিন পঞ্জাব প্রদেশের একটি খালে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে আই এস আই। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে আই এস আই। মাইক মুলেনও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আই এস আই-এর সরাসরি জড়িত থাকার ব্যাপারে কিছু বলেননি।
|
পরমাণু অস্ত্রের জোগান বৃদ্ধিতে এখন সব চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান। এবং আগামী এক দশকে সে দেশে পরমাণু বোমার সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫০-২০০। দাবি করলেন, আমেরিকার দুই পরমাণু বিশেষজ্ঞ। কীসের ভিত্তিতে এই দাবি? পাকিস্তানে এই মুহূর্তে চলছে দু’টি নতুন প্লুটোনিয়াম চুল্লি তৈরির কাজ। এ ছাড়া, পরমাণু বোমার জ্বালানি পুনর্প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থাও তৈরি করা হচ্ছে। বিজ্ঞানী হ্যান্স ক্রিস্টেনসেন ও রবার্ট নরিস তাঁদের গবেষণাপত্র ‘পাকিস্তান’স নিউক্লিয়ার ফোর্সেস’-এ লিখেছেন, ২০০৯-এ সে দেশে পরমাণু বোমার সংখ্যা ছিল ৭০-৯০। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও সে সংখ্যা গত তিন বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০-১১০।
পাক-সরকার অবশ্য এ বিষয়ে মুখ খোলেনি। কিন্তু যে হারে তারা পরমাণু বোমা তৈরি করছে, তা থেকে পাকিস্তানের শক্তি বৃদ্ধির স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। প্রতি বছর ১২০-১৮০ কেজি এইচইইউ (উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইউরেনিয়াম) তৈরি করছে তারা, যা ৭ থেকে ১৫টি পরমাণু বোমা তৈরির ক্ষমতা রাখে। দেশের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেশ কিছু ইউরেনিয়াম খনি। আরও খননের চিন্তা-ভাবনাও চলছে বলে জানিয়েছেন রবার্ট ও হ্যান্স।
|
লন্ডন অলিম্পিক শুরু হচ্ছে আগামী বছর। সেই উপলক্ষে শহরবাসীকে এক বিশাল স্মারকস্তম্ভ উপহার দিচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ইস্পাত গোষ্ঠী আর্সেলর-মিত্তল। নিউ ইয়র্কের ‘স্ট্যাচু অফ লিবার্টি’র থেকেও উঁচু এই ইস্পাতের স্তম্ভটি বানাতে খরচ হচ্ছে প্রায় ১৬১ কোটি টাকা। ২০১২ সালের জুলাইয়ে অলিম্পিক শুরু হওয়ার কথা। লক্ষ্মী মিত্তলের এই গোষ্ঠী চাইছে আগামী মার্চের মধ্যেই অলিম্পিক পার্কে এই বিশাল স্তম্ভটির উন্মোচন করতে। ‘আর্সেলর-মিত্তল অরবিট’ নামের এই স্তম্ভটি তৈরি করতে লাগছে প্রায় ২,২০০ টন ইস্পাত। আর্সেলর-মিত্তল গোষ্ঠীর দাবি, বিশ্বের তাবড় তাবড় স্মারক স্তম্ভকে পিছনে ফেলে দিতে চলেছে তাদের ‘অরবিট’। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই স্তম্ভের কাঠামো তৈরি শেষ হয়ে যাবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা চলমান সিঁড়ি লাগানোর মতো বাকি কাজগুলি শেষ হতে আরও খানিকটা সময় লাগবে। |