পেটের রোগ দেখা দিয়েছে লাভপুরের বাকুল গ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবি, ইতিমধ্যে ওই রোগে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও স্বাস্থ্য দফতর মৃত্যুর কারণ ও আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বাসিন্দাদের দাবি অস্বীকার করেছে।
স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের মণ্ডল ও বাগদি পাড়ায় ২ জুলাই থেকে পেটের রোগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মিলন মণ্ডল, সুজিত মণ্ডলরা বলেন, “সোমবার পেটের উপসর্গ নিয়ে ৮৫ বছরের বৃদ্ধা শুভঙ্করী চৌধুরীকে লাভপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বুধবার ভোরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার ভোরে বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে অজিত কুমার চৌধুরী নামে ৭৩ বছরের এক বৃদ্ধারও মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে।” |
শুক্রবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, চার জন ভর্তি রয়েছেন। স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য সহায়িকা চিন্তা পাল বলেন, “সম্ভবত জলের জন্য এই রোগ ছড়িয়েছে। কারণ, একটা ডোবা সংলগ্ন নলকূপ ও টাইমকল থেকে জল সংগ্রহ করেন বাসিন্দারা। কিন্তু ওই জলের চাতাল ভাঙাচোরা। ডোবা এবং রাস্তার জল পানীয় জলের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।” লাভপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বুদ্ধদেব মুর্মু বলেন, “জল দূষণের কারণে আন্ত্রিক জাতীয় ওই রোগ ছড়িয়েছে বলে মনে হয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গ্রামে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন। শুভঙ্করী দেবী সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরে তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বয়সজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অন্য এক জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তাঁর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” গ্রামবাসীদের অভিযোগ, “নলকূপের চাতাল মেরামতিরর জন্য বারবার পঞ্চায়েতকে বলেও লাভ হয়নি। তাই এই রোগ ছড়াচ্ছে।” সংশ্লিষ্ট লাভপুর ১ পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, “গ্রামবাসীদের কেউ এ ব্যাপারে কিছু জানাননি। শীঘ্রই চাতাল মেরামত করার ব্যবস্থা করা হবে।” |