|
|
|
|
পরিষেবা নিয়ে বহু অভিযোগ, ধুঁকছে গোসাবা হাসপাতাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোসাবা |
বিড়ালের উৎপাতে অতিষ্ঠ গোসাবা ব্লক হাসপাতালের রোগীরা। রোগীদের বক্তব্য, বিড়ালগুলি ওয়ার্ডের মধ্যে মলমূত্র ত্যাগ করে। বেডে উঠে ঘুমিয়ে থাকে। সব দেখেশুনেও নীরব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এই হাসপাতালটি নিয়ে অভিযোগ আরও আছে। রোগীদের বক্তব্য, চিকিৎসকেরা নিয়মিত আসেন না। প্রয়োজনে নার্সদের ডাকলে পাওয়া যায় না। এক্স-রে, ইসিজি, প্যাথলজি বিভাগ থাকলেও ডাক্তারবাবুরা বাইরে থেকে সে সব করিয়ে নেওয়ার ‘পরামর্শ’ দেন। বাইরে থেকে এই সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যায়। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই এলাকায় দরিদ্র মানুষের পক্ষে অনেক ক্ষেত্রেই বাড়তি টাকার বোঝা ওঠানো দায় হয়ে পড়ে। হাসপাতাল থেকে পরিষেবা না পেয়ে তাঁরা ক্ষুব্ধ।
স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, এই হাসপাতালে দন্তবিভাগে কোনও চিকিৎসা হয় না। মেশিনগুলি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। রোগী ও তাঁদের বাড়ির লোকের আরও অভিযোগ, হাসপাতালে পানীয় জল ঠিক মতো পাওয়া যায় না। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফে জল সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ থেকে একটি বড় পুকুরে ফিল্টার বসিয়ে দিলেও তা অকেজো হয়ে পড়ে আছে। নিয়মিত পরিষ্কার হয় না শৌচালয়ের অবস্থাও খারাপ বলে রোগীদের অভিযোগ।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শিখা মিত্র বলেন, “হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে যে সব অভিযোগ উঠেছে সেগুলির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিএমওএইচ গিরিন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, পানীয় জলের সমস্যা থাকায় তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে ডেনমার্কের একটি সংস্থার সহযোগিতায় ছোট একটি পুকুরে উন্নতমানের ফিল্টার বসানোর ব্যবস্থা করেছেন। সেটি ঠিক মতো কাজও করছে। রোগীদের অনেকের কাছ থেকেই তিনি অভিযোগ পেয়েছেন, ডাক্তারবাবুরা অনেক পরীক্ষা বাইরে থেকে করিয়ে নেওয়ার জন্য বলেন। এ ব্যাপারে বিএমওএইচের বক্তব্য, সমস্ত বিষয়টি তিনি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছেন। বিড়ালের উৎপাত প্রসঙ্গে গিরিন্দ্রনাথবাবুর বক্তব্য, ‘নিরীহ প্রাণীকে’ মারা সম্ভব নয়। তবে সমস্যা সমাধান হোক, তা তিনি ‘আন্তরিক’ ভাবে চান। কী হবে সমস্যা সমাধানের উপায়? সে ব্যাপারে অবশ্য স্পষ্ট দিকনির্দেশ করতে পারেননি ওই আধিকারিক। |
|
|
|
|
|