স্কুল চলাকলীনই অসুস্থ হয়ে পড়ল গুসকরা বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির কয়েক জন ছাত্রী। অভিযোগ, স্কুলের পানীয় জল খেয়েই এই ঘটনা ঘটেছে। ওই ছাত্রীদের আপাতত স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক অভিজিৎ পণ্ডা বলেন, “ওই পাঁচ জন জল খেয়েছিল বলে জানিয়েছে। তবে জলের সঙ্গে অন্য কিছু খেয়েছিল বা জলে কিছু মেশানো ছিল কি না, তা তারা বলতে পারেনি। চিকিৎসা চলছে।” স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সবিতা ঘোষের সঙ্গে এ ব্যাপারে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি শুধু বলেন, “ফোনে কিছু বলা সম্ভব নয়। কিছু জানতে হলে দেখা করুন।” গুসকরার তৃণমূল পুরপ্রধান চঞ্চল গড়াই বলেন, “প্রধান শিক্ষিকা আমাদের জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীদের টিফিন কেউ খেয়ে নেওয়ায়, ওরা খালি পেটে ছিল। তাই পেটে যন্ত্রণা হয়। তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।” |
মেদিনীপুর থ্যালাসেমিয়া সোসাইটিকে একটি যন্ত্র কেনার জন্য সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য করলেন সাংসদ প্রবোধ পাণ্ডা। সাড়ে দশ লক্ষ টাকায় ওই যন্ত্র কিনছে সোসাইটি। এত দিন থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ের জন্য সাধারণ যন্ত্র ব্যবহার করা হত। সেই যন্ত্রও বিধায়ক ও বিভিন্ন সংস্থার অর্থ-সাহায্যে কেনা হয়েছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে কাজের পরিধি বাড়ছে। মানুষও রোগ সম্বন্ধে সচেতন হচ্ছেন। তাই থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ে মানুষ এগিয়ে আসছেন বেশি করে। বিভিন্ন জায়গায় থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়-শিবিরও করছে সোসাইটি। দুই মেদিনীপুর ছাড়াও বাঁকুড়া, বর্ধমান, হুগলি, পুরুলিয়া-সহ বিভিন্ন জেলায় সাড়াও পেয়েছে তারা। তাই এ বার হাইপার পারফরমেন্স লিক্যুইড ক্রোমাটোগ্রাফি পদ্ধতিতে নির্ণয়ের কাজ করতে চায় সোসাইটি। সে জন্য ‘ভ্যারিয়েন্ট অ্যানালাইজার’ যন্ত্রের প্রয়োজন ছিল। অর্থাভাবে তা কেনা যাচ্ছিল না। সাংসদ তহবিলের অর্থে এ বার তা সম্ভব হবে বলে সোসাইটির যুগ্ম সম্পাদক ভোলানাথ রায় জানিয়েছেন। এই যন্ত্রটি রাখা হবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে থ্যালাসেমিয়া সোসাইটির অফিসেই। যেখানে নিখরচায় মানুষ রক্ত পরীক্ষা করাতে পারবেন। যাতে দ্রুত এই যন্ত্র কিনে কাজ শুরু করা যায় সে জন্য জেলাশাসকও সবরকম সাহায্য করছেন বলে সোসাইটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। |
মিড ডে মিলের রান্নায় টিকটিকি পড়েছিল এক ছাত্রের পাতে। সেই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রায় ১২০ জন পড়ুয়া। সকলকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলপির বেলপুকুর পঞ্চায়েতের তেঁতুলতলা সুমতিবালা গুরুপদ বিদ্যাবিথী হাইস্কুলে। স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৪৪১ জন ছাত্রছাত্রী। তাদের জন্য এ দিন দুপুরে মিড ডে মিল রান্না করা হয়েছিল। খেতে বসে এক ছাত্র সয়াবিনের তরকারিতে টিকটিকি দেখতে পায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই বমি করতে শুরু করে কেউ কেউ। স্কুলের শিক্ষকেরাই সকলকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। প্রধান শিক্ষক দুলাল সামন্ত বলেন, “কী ভাবে তরকারিতে টিকটিকি পড়ল, তা বোঝা যায়নি। তবে ছাত্রছাত্রীরা সকলে সুস্থ আছে।” |
মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (এমসিআই)-র অনুমোদন না মেলায় থমকে গেল মুর্শিদাবাদে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গঠনের প্রক্রিয়া। আপাতত ভর্তি প্রক্রিয়াও তাই বন্ধ। রাজ্যের তিনটি জায়গায় নতুন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরির কথা হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল মালদহ, উত্তর ২৪ পরগণার কামারহাটি এবং মুর্শিদাবাদের বহরমপুর। প্রথম দুটি ক্ষেত্রে এমসিআই সবুজ সঙ্কেত দিলেও মুর্শিদাবাদের ক্ষেত্রে মেলেনি। রাজ্য স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা সৌমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুর্শিদাবাদে ওই মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।” কিন্তু কেন? মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রদীপকুমার সাহা জানান, ১১, ১২ মার্চ এবং ১০ জুন দিল্লির এমসিআইয়ের প্রতিনিধিরা হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে আসেন। তাঁরা ফিরে পরিকাঠামোগত বেশ কিছু গলদের কথা জানান। তিনি বলেন, “তাঁরা যে পরিকাঠামোগত ত্রুটিগুলি উল্লেখ করেন, তা আমরা সংশোধন করেছি। সে কথা জানিয়েওছি। তা সত্ত্বেও অন্য দু’টি কলেজকে অনুমতি দেওয়া হলেও আমাদের তা দেওয়া হয়নি।” |
রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের কাছে সুপারিশ করতে চলেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত নভেম্বরে উপাচার্যের পদটি ফাঁকা হয়। নতুন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে সমস্যা হচ্ছে। তাই নতুন উপাচার্য নিয়োগের সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। |