|
|
|
|
গণদেবতা এক্সপ্রেসে হামলার জের |
অফিসটাইমে দূরের ট্রেনে নজরদারি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাওড়া ও সাঁইথিয়া |
কিছু নিত্যযাত্রীর ‘অভব্য’ আচরণ এবং সহযাত্রীদের উপরে ‘অত্যাচার’ রুখতে এত দিনে তৎপর হল রেল পুলিশ। এখন থেকে নির্দিষ্ট কিছু দূরপাল্লার ট্রেনে ‘অফিস টাইম’-এ যাত্রীদের উপরে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
যদিও যে ঘটনার জেরে রেল পুলিশের এই ‘তৎপরতা’, গণদেবতা এক্সপ্রেসের মহিলা যাত্রীর উপরে সেই ‘হামলা’য় অভিযুক্ত মহিলা নিত্যযাত্রীদের দু’সপ্তাহ পরেও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। রেল পুলিশের বক্তব্য, ওই ঘটনায় তারা ১০ জনকে চিহ্নিত করেছে। অভিযুক্তদের অধিকাংশই বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষিকা।
রেল পুলিশের ডিজি দিলীপ মিত্র বলেন, “ঘটনাটি এডিজি রেলকে দেখতে বলেছি। পাশাপাশি, নিত্যযাত্রীদের হাতে অন্য যাত্রীদের হয়রানি রুখতে আমরা কয়েকটি ট্রেনকে চিহ্নিত করে অফিসটাইমে নজরদারিরও ব্যবস্থা করেছি।”
সাঁইথিয়া থেকে হাওড়ায় আসার পথে গত ২১ জুন ডাউন গণদেবতা এক্সপ্রেসের মহিলা কামরায় ১৭-১৮ জন মহিলা নিত্যযাত্রীর হাতে ‘প্রহৃত’ হন সাঁইথিয়ার বাসিন্দা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী আয়েষা খাতুন। বছর সাঁইত্রিশের ওই মহিলার অভিযোগ, প্রতিটি ‘সিট দখল করে’ কিছু মহিলা যাত্রী শুয়েছিলেন। বসার জায়গা ছাড়ার জন্য অনুরোধ করলে এক মহিলা রাজি হননি। উল্টে ওই মহিলার সঙ্গী অন্য নিত্যযাত্রীরা আয়েষার উদ্দেশে নানা ‘কুরুচিকর’ মন্তব্য করেন। প্রতিবাদ করায় তাঁরা আয়েষার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে ‘মারধর’ করেন। বোলপুর, কীর্ণাহার বা বর্ধমানের বাসিন্দা ওই নিত্যযাত্রী মহিলারা তাঁকে কামরার মধ্যে ফেলে কিল, চড়, লাথি মারেন।
হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান আয়েষা খাতুন। হাওড়া রেল পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব দেয় সাঁইথিয়া রেল পুলিশকে। সাঁইথিয়া রেল পুলিশ সূত্রের খবর, মোট ১৭ জন মহিলার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১০ জনের নাম জানিয়েছেন আয়েষা নিজেই। অভিযুক্ত এক শিক্ষিকা শুক্রবার সিউড়ি জেলা আদালতে আগাম জামিনের আবেদনও করেছেন।
ঘটনার দু’সপ্তাহ পরেও কেন কাউকে ধরতে পারল না রেল পুলিশ? রেল পুলিশের এক কর্তার দাবি, “অভিযুক্তেরা সবাই মহিলা। এত দিন আমাদের কাছে পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশকর্মী না থাকায় অভিযান চালানো যায়নি। সম্প্রতি মহিলা পুলিশকর্মী পেয়ে অভিযানে নামা হয়েছে। ১০ জনকে চিহ্নিত
করা গিয়েছে। বোলপুরে দুই অভিযুক্ত শিক্ষিকার বাড়িতে হানা দিয়েও তাঁদের পাওয়া যায়নি। বাকিদেরও খোঁজ চলছে।” পাশাপাশি, এ বিষয়ে বীরভূম জেলা স্কুল পরিদর্শককে চিঠি দিয়েছে সাঁইথিয়া রেল পুলিশ। তার প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে জেলাশাসককেও। |
|
|
|
|
|