|
|
|
|
প্রধান নির্বাচন ঘিরে কাজিয়া বান্দোয়ানে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বান্দোয়ান |
বান্দোয়ানের সুপুডি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচনকে ঘিরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’মাস আগে কংগ্রেসের দীপালি সিং অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। শুক্রবার প্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেসের শিবানী টুডু। সুপুডি পঞ্চায়েতের ১০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২, কংগ্রেস ২, সিপিএম ৩ এবং বিজেপি, নির্দল, ফরওয়ার্ড ব্লক ১টি করে আসন পায়।
বান্দোয়ান ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি জগদীশ মাহাতো বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় আমরা সিপিএম বিরোধী সব দলকে নিয়ে জোট করেছিলাম। কংগ্রেস থেকে প্রধান নির্বাচন করা হয়। কিন্তু শুক্রবার সিপিএমের তিন সদস্যের সমর্থনে প্রধান নির্বাচন হয়েছে।” দলের জেলা কমিটির সদস্য বান্দোয়ানের বাসিন্দা স্বপন দত্ত বলেন, “কংগ্রেস আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেই, মানুষের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করল। কেন না সাধারণ মানুষ সিপিএমের অপশাসনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল।” এ দিন পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। প্রধান পদের দাবিদার ছিলেন তৃণমূলের নমিতা মাহাতো ও কংগ্রেসের শিবানী টুডু। ব্লক পঞ্চায়েত আধিকারিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিলেন। জগদীশবাবু ও স্বপনবাবুর দাবি, “এখানে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া মানা হয়নি বলে দীপালি সিং, শিবানী টুডু ও ফব-র গণেশ মাণ্ডির ভোট বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। সিপিএমের তিন সদস্যের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী ৫টি ভোট পান। আমাদের প্রার্থী ২টি ভোট পান।”
কংগ্রেসের বান্দোয়ান ব্লক সভাপতি ভক্তরঞ্জন মাহাতো অবশ্য সিপিএম সদস্যের সমর্থনের বিষয়টি মানতে চাননি। তিনি বলেন, “তৃণমূল মাতব্বরি করে প্রধান পদটি নিজেদের দখলে নিতে চেয়েছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থনে শিবানীদেবী প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন।” বিডিও দেবাশিস চোধুরী বলেন, “স্বচ্ছতার জন্য পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্যামেরা বন্দি করা হয়েছে। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক রিপোর্ট দেননি। তবে জেনেছি শিবানী টুডু প্রধান হয়েছেন।” বান্দোয়ানের বিধায়ক সিপিএমের সুশান্ত বেসরা বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। সিপিএমের সমর্থন নিয়ে প্রশঅন তোলা নিরর্থক।” |
|
|
|
|
|