টুকরো খবর
|
চাষে বাধা, অভিযোগ সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খেজুরিতে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের চাষ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করল সিপিএম। তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে খেজুরি-১ ব্লকের ৭২ জন দলীয় কর্মী-সমর্থক চাষ করতে পারছেন না বলে তাদের অভিযোগ। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কৃষ্ণেন্দু দাস বলেন, “সন্ত্রাসে অভিযুক্ত কিছু সিপিএম কর্মী-সমর্থক এলাকাছাড়া। তাদের জমিতে যেমন চাষ করার কেউ নেই, তেমনই বর্গাদার-পাট্টাদার বিরোধেও বেশ কিছু জমিতে চাষবাদ বন্ধ আছে।” খেজুরি-১ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক অরুময় ভট্টাচার্য জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ দিকে, বৃহস্পতিবার খেজুরি-১ ব্লক অফিসে চাষবাদ নিয়ে একটি সর্বদল বৈঠক হয়। বৈঠকে মহকুমাশাসক প্রকাশ পাল, এসডিপিও তরুণ হালদার-সহ পুলিশ-প্রশাসনের স্থানীয় আধিকারিকেরা ছিলেন। তৃণমূলের তরফে পার্থপ্রতিম দাস, কৃষ্ণেন্দু দাস, সত্যরঞ্জন বেরা, কংগ্রেসের অমলেন্দু জানা, দীপক সামন্ত, বিজেপি-র প্রদীপ মাইতি, এসইউসি-র পার্থসারথি দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তবে, বামফ্রন্টের সমাজবাদী পার্টির তরফে সুবিমল মান্না, সিপিআইয়ের বিজয় প্রধান উপস্থিত থাকলেও সিপিএমের কেউ ছিলেন না। এই প্রসঙ্গে খেজুরির সিপিএম নেতা হিমাংশু দাস বলেন, “নিরাপত্তার খাতিরে মহকুমা সদর ও খেজুরি বাদে অন্যত্র সর্বদল বৈঠকের আয়োজন করার জন্য বহু বার বলেছি আমরা। প্রশাসন তা না শোনায় আমাদের কেউ বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি।”
|
নাম বদলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেসও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা ও কাঁথি |
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নাম বদলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ বার আন্দোলনে নামল এগরা ও কাঁথি মহকুমা কংগ্রেস। শুক্রবার দুই শহরেই মিছিল করে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা। পরে মহকুমাশাসককে স্মারকলিপিও দেয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাঁথি মহকুমা কংগ্রেস অফিসে এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন দুই মহকুমার কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেসকে অন্ধকারে রেখে একক ভাবে তৃণমূল এই সিদ্ধান্ত জেলাবাসীর উপর চাপিয়ে দিচ্ছে জানিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর নাম রাখার পক্ষেই সওয়াল করেন তাঁরা। কংগ্রেস নেতা শৈলজা দাস বলেন, “জেলার ইতিহাস ও জেলাবাসীর আবেগ জড়িয়ে আছে পূর্ব মেদিনীপুর নামের সঙ্গে। কোনও মতেই জেলার নাম বদলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।” এগরার কংগ্রেস নেতা ক্ষিতীন্দ্রমোহন সাহুও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। নাম বদলের বিরুদ্ধে আগামী ১১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত দুই মহকুমায় গণস্বাক্ষর সংগ্রহের কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। ১৩ অগস্ট গণস্বাক্ষর সম্বলিত প্রতিবাদপত্র মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা। জেলার নাম বদলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথসভা, মিছিল, সম্মেলন প্রভৃতি কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই মহকুমা কংগ্রেস কমিটি। প্রসঙ্গত, জেলা এসইউসি নেতৃত্বও পূর্ব মেদিনীপুরের নাম বদলে তাম্রলিপ্ত করার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন।
|
রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তিই চায় কমিটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজনৈতিক বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি না-দিলে জঙ্গলমহল নিয়ে কোনও আলোচনাই সম্ভব নয় বলে মনে করছে ‘সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন-বিরোধী মঞ্চ’। শুক্রবার মঞ্চের সম্পাদক অশোক জীবন বলেন, “জঙ্গলমহলে আন্দোলন করতে গিয়ে যাঁরা মিথ্যে মামলায় বন্দি হয়ে রয়েছেন, তাঁদের মুক্তি না-দিলে আলোচনা হবে কী করে! মুক্তি পেলে তবেই কমিটি গড়ে আলোচনা শুরু হতে পারে।” পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, “যৌথ বাহিনী থাকার ফলে দেশের অন্য প্রান্তের মানুষ জঙ্গলমহলকে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি মনে করছে। এর ফলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা অসম্মানিত হচ্ছেন। আগে বাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে।” তাঁর কথায়, “অস্ত্রমুক্ত হলে যৌথ বাহিনী প্রত্যাহার হবে বলে যে কথা ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে, তা আসলে বাহিনী রেখে দেওয়ারই কৌশল।” অন্য দিকে, যৌথ বাহিনী প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবিতে জঙ্গলমহলে যে রিলে অনশন শুরু হয়েছিল আজ, শনিবার থেকে তা স্থগিত থাকবে বলে ঘোষণা করেছে ‘বন্দিমুক্তি কমিটি, জঙ্গলমহল’। কমিটির নেতা বিমল মাহাতো বলেন, “অনশন স্থগিত থাকলেও বন্দিমুক্তির দাবিতে আন্দোলন চলবে।”
|
আস্ত পথবাতিই চুরি হলদিয়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
পথবাতি থেকে বাল্ব খুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে আগে। কিন্তু গোড়া থেকে বাতিস্তম্ভ কেটে নেওয়ার ঘটনা এই প্রথম। বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধীনগর মাঠ সংলগ্ন রানিচক থেকে ক্ষুদিরামনগর পর্যন্ত ১১টি পথবাতির গোড়া থেকে কেটে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে হলদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে পুরসভা। লরি ছাড়া ওই বাতিস্তম্ভ সরানো সম্ভব নয়। তাই পুলিশি টহলদারি থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা কী ভাবে ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হলদিয়া পুরসভার পারিষদ সদস্য বিকাশ জানা। প্রতিটি বাতিস্তম্ভের দাম হাজার কুড়ি টাকারও বেশি। আর্থিক ক্ষতির চেয়েও বড় বিষয় হল, ওই এলাকায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পথবাতি না থাকায় রাতে চলাফেরায় সমস্যা হবে সকলের। পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ দিনই হলদিয়ার এসডিপিও হিসাবে কাজে যোগ দিলেন অমিতাভ মাইতি। তিনি চন্দননগরের এসডিপিও ছিলেন।
|
স্কুলে শৌচাগার তৈরির উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
হাইস্কুলগুলিতে বিজ্ঞানসম্মত শৌচাগার ও পানীয় জলপ্রকল্প তৈরির জন্য উদ্যোগী হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ও জেলা পরিষদের আর্থিক সহায়তায় চলতি বছরেই জেলার ২০টি হাইস্কুলে এই প্রকল্পের কাজ হবে। আগামী বছর আরও ১০০টি স্কুলে। জেলার সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন জানান, প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা দেবে জেলা পরিষদ। বাকি টাকা দেবে প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক নিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাকক্ষে প্রকল্প রূপায়ণ নিয়ে একটি আলোচনাসভা হয়। সভায় রাজ্যের জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার ৩০টি হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।
|
বেলপাহাড়ির স্কুল দেখে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলপাহাড়ি |
শুক্রবার বিকেলে বেলপাহাড়ির আদিবাসী আবাসিক রাষ্ট্রীয় উচ্চ-মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করে কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। স্কুল ও ছাত্রী-নিবাস দেখার পরে তাঁর মন্তব্য, “এখানে নরককুণ্ডের পরিস্থিতি করে রাখা হয়েছে। কাদের জন্য এই অবস্থা তার তদন্ত প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী ও অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রীকে বিস্তারিত জানাব।” এর আগে এ দিন দুপুরে বেলপাহাড়ি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করে সুকুমারবাবু বলেন, “পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। নতুন ভবন চালু হয়নি। শয্যার অভাবে খাটিয়া ভাড়া করে রোগীদের থাকতে হয়। তবে কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক।”
|
বিদ্যুদয়ন শ্লথ, ক্ষোভ পূর্বে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পূর্ব মেদিনীপুরে গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজের শ্লথ গতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল জেলা পরিষদ। বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের সভাকক্ষে রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন যোজনায় কাজের হাল খতিয়ে দেখতে বৈঠক হয়। সেখানে কাজের গতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ স্বপন রায়। স্বপনবাবু বলেন, “জেলার ২৮৬৪টি গ্রামে নিবিড় বিদ্যুদয়নের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার সংস্থার কাজের গতি শ্লথ হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে তা শেষ হবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কাজের গতি বাড়াতে অতিরিক্ত জেলাশাসকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের মনিটরিং কমিটি গড়া হয়েছে।”
|
অধ্যক্ষ সম্মেলন |
আজ, শনিবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় থাকা কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে মহিষাদল গার্লস কলেজে। রাজ্যের মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার, সৌমেন মহাপাত্র, মানস ভুঁইয়া, সুকুমার হাঁসদা, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী উপস্থিত থাকবেন।
|
প্রয়াত |
প্রয়াত হলেন খড়্গপুর আইআইটি-র প্রাক্তন ডিরেক্টর গীতীন্দ্রসুন্দর সান্যাল (৮৯)। বৃহস্পতিবার আইআইটি প্রাঙ্গণে বাসভবনে হৃদরোগে মারা যান তিনি।
|
মৃত্যু |
রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল এক বধূর। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে হলদিয়ার সুতাহাটার বিরিঞ্চিবেড়িয়ায়। মৃতা করুণা দাসের (২৮) বাড়ি ওই এলাকাতেই। |
|