|
|
|
|
ছাত্র সংঘর্ষে |
মেদিনীপুর কলেজ উত্তাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ছাত্র সংঘর্ষে ফের উত্তাল হল মেদিনীপুর কলেজ। এসএফআই ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের হাতাহাতি কলেজ চত্বরেই সীমাবদ্ধ ছিল না। কলেজের সামনে একাধিক দোকানও ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশের সামনেও বেশ খানিকক্ষণ দু’পক্ষের হাতাহাতি চলে। ক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শুক্রবারের এই ঘটনার জন্য দুই ছাত্র সংগঠনই পরস্পরকে দুষছে। ডিওয়াইএফের নেতা কুন্দন গোপ বলেন, “ওরা বলেছিল বদলা নয়, বদল চাই। তা কি হচ্ছে? এসএফআইয়ের এক কর্মীকে ওরা মারধর করছিল। প্রতিবাদ করায় হামলা চালানো হয়।” অভিযোগ উড়িয়ে যুব-তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক কর্মী অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিল। আচমকা ওরা মারধর শুরু করে।” ছাত্রছাত্রীদের থেকে কনসেশন ফর্ম নেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। |
|
ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
অভিযোগ, এসএফআইয়ের এক কর্মী এ দিন কলেজ চত্বরে বাইরেই ওই ফর্ম সংগ্রহ করছিল। টিএমসিপি’র এক জন প্রতিবাদ করে। তার বক্তব্য ছিল, ফর্ম সংগ্রহ করা যেতেই পারে। কিন্তু তা ছাত্র সংসদ অফিস বা কলেজ চত্বরের মধ্যে করতে হবে। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে এসএফআই। তবে একে কেন্দ্র করেই ওই দু’জনের বচসা বাধে। বচসা থেকেই হাতাহাতি। মুহূর্তে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই ছাত্র সংগঠন। আহত হন টিএমসিপি’র শহর সভাপতি বুদ্ধ মণ্ডল-সহ কয়েকজন। এসএফআইয়ের কয়েকজন কর্মীও প্রহৃত হন। কলেজের সামনে ঠান্ডা পানীয়ের দোকান রয়েছে কুন্দনবাবুর। গোলমালে জড়িয়ে পড়ে তিনিও প্রহৃত হন। একা পেয়ে তাঁকে মারধর করে টিএমসিপি’র ছেলেরা। সেই সঙ্গে দোকান ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে থেকেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। মেদিনীপুর কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য ক্যাম্পাসের মধ্যে ছাত্র সংঘর্ষের কথা মানতে চাননি। তাঁদের বক্তব্য, যা হয়েছে ক্যাম্পাসের বাইরে। |
|
|
|
|
|