|
|
|
|
নজরে জঙ্গলমহল |
জলসঙ্কট মেটাতে ‘কল্পতরু’ পুরমন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একটি বৈঠকেই মঞ্জুর হয়ে গেল একের পর এক প্রকল্প। বরাদ্দ হয়ে গেল অর্থও। প্রথম পর্যায়ের টাকা খরচের হিসেব দিলে তিন দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় পর্যায়ের অর্থ পাওয়া যাবে বলেও জানিয়ে দিলেন মন্ত্রী।
শুক্রবার মেদিনীপুরে এসে কার্যত ‘কল্পতরু’ ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্প জমা দিয়েও টাকা পাচ্ছিল না জঙ্গলমহলের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরের পুরসভাগুলি। বেশ কয়েকটি পুর-এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট গুরুতর আকার নিয়েছিল। সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুরমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো এ দিন মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে জেলার সব পুরপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী। মূলত পানী। জলের নানা প্রকল্প মঞ্জুর করা হয়। বৈঠকে মন্ত্রী যে এ ভাবে ‘দরাজ’ হবেন কেউই ভাবেননি। পুরপ্রধানরা তাই পুরমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি। |
|
সার্কিট হাউসে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
প্রকল্প মঞ্জুর ও অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে ‘আমরা-ওরা’-র ফারাক করেননি ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূল-কংগ্রেস জোট পরিচালিত মেদিনীপুর পুরসভার পানীয় জলের কাজ শুরুর জন্য যেমন ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তেমনই সিপিএম পরিচালিত ঝাড়গ্রাম পুরসভা পেয়েছে ৫ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। ৪টি পুকুর কাটার প্রস্তাব দেন ঝাড়গ্রামের উপ-পুরপ্রধান প্রদীপ মৈত্র। মন্ত্রীকে বলেন, “এটা খুবই জরুরি।” মন্ত্রীর আশ্বাস, “৪টি পুকুর কাটার জন্য অর্থ মঞ্জুর করে দেব। মেদিনীপুরকে যা অর্থ দিয়েছি ঝাড়গ্রামকেও দিয়েছি। আমাদের কাজে আমরা-ওরা-র ফারাক থাকবে না।” সব পুরসভার জন্যই অর্থ মঞ্জুর করেছেন নতুন পুরমন্ত্রী। চন্দ্রকোনা পুরসভা ২০০৯ সালে ১৪ কোটি ২৪ লক্ষ টাকার প্রকল্প পাঠিয়েছিল দিল্লিতে। এখনও অর্থ পায়নি। রামজীবনপুর পুরসভাও ২০০৯ সালে দিল্লিতে ১১ কোটি টাকার প্রকল্প পাঠিয়েছিল। দু’টি পুরসভাকেই ওই টাকার এক চতুর্থাংশ টাকা দেওয়ার কথা জানান মন্ত্রী। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, জঙ্গলমহলের আরও দুই জেলা বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন পুরসভার জল প্রকল্পের জন্যও এ দিন অর্থ মঞ্জুর করেছেন মন্ত্রী। বাঁকুড়া পুরসভার জন্য ৫ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা, বিষ্ণুপুরের জন্য ৫ কোটি ২ লক্ষ, পুরুলিয়ার জন্য ৬ কোটি ৭৪ লক্ষ, ঝালদার জন্য ৫ কোটি ১০ লক্ষ, রঘুনাথপুরের জন্য ৫ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়। তবে বৈঠকে এই দুই জেলার কোনও পুরপ্রধান উপস্থিত ছিলেন না। পানীয় জলের জন্য সাধারণ মানুষের থেকে কর নেওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দেন মন্ত্রী।
|
|
|
|
|
|