|
|
|
|
|
নন্দীগ্রামের জেলায় দেড়শো
পার্টি অফিস বন্ধ সিপিএমের
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক ও হলদিয়া |
|
নন্দীগ্রাম-পর্ব থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরে কোণঠাসা সিপিএম বিধানসভা ভোটের পরে আরওই বিপর্যস্ত। গত দেড় মাসে শাখা, লোকাল, জোনাল মিলিয়ে সিপিএমের দেড়শোরও বেশি পার্টি-অফিস বন্ধ হয়েছে। নন্দীগ্রাম, খেজুরি তো বটেই এই সে-দিন পর্যন্ত সিপিএমের ‘গড়’ হলদিয়াতেও দলীয় অফিস বন্ধ ৩৫টি। জেলায় মোট ১৫২টি।
শুক্রবার তমলুকে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে ভোট-পরবর্তী পর্যালোচনায় এই সঙ্কটের ছবিই ফুটে উঠেছে। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর প্রতিনিধি দীপক সরকারের উপস্থিতিতে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক সদস্য অভিযোগ করেন, ভোটের আগে পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্যে নন্দীগ্রাম-খেজুরির ঘরছাড়া নেতা-কর্মীরা ঘরে ফিরলেও ভোট মিটতেই ফের হাজার দেড়েক পার্টিকর্মী গ্রামছাড়া হয়েছেন। ঘরে ফেরা দুরাশা বুঝে অনেকে ভিন্ রাজ্যে কাজে চলে গিয়েছেন। প্রশাসনেরও সাহায্য আর মিলছে না। নিরাপত্তার অভাবে বহু পার্টি-অফিস বন্ধ। হলদিয়ায় কিছ কার্যালয় দখল করছে তৃণমূল। নন্দীগ্রাম-খেজুরি মিলিয়ে শুধু রেয়াপাড়া লোকাল, হেড়িয়া জোনাল ও বীরবন্দর লোকাল কমিটি অফিসই খোলা। জেলায় ভোটে দলের ভরাডুবির কারণ হিসাবেও সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই চিহ্নিত করা হয় বৈঠকে। কোথাও কোথাও একাধিক লোকাল কমিটি মিলিয়ে একটি কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আপাতত আক্রমণের হাত থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের রক্ষা করাই প্রধান কাজ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন জেলা নেতৃত্ব। বৈঠক শেষে জেলা সম্পাদক কানু সাহু বলেন, “জেলার বহু জায়গায় হামলা, হুমকির জেরে দলীয় কার্যালয় বন্ধ হয়েছে। প্রশাসনে অভিযোগ করেও সুরাহা হচ্ছে না। আপাতত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের রক্ষা করাই আমাদের প্রধান কর্তব্য।” শুক্রবারই নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে হলদিয়ার উপ-পুরপ্রধান নারায়ণ প্রামাণিকের নেতৃত্বে থানায় ডেপুটেশন দেন সিপিএম কাউন্সিলরেরা। অভিযোগ, “কয়েক দিন আগে এক কাউন্সিলর সুরজিৎ জানা প্রহৃত হয়েছেন, অন্য এক কাউন্সিলর সৌমি দাসের বাড়িতেও হামলা হয়েছে। পুরসভার কাজের তদারকিতেও বাধা আসছে।” খেজুরি-১ ব্লকের বিডিও-র কাছে ৭২ জন সিপিএম কর্মী-সমর্থক আবার নিজেদের জমিতে চাষ করতে না-পারার লিখিত অভিযোগ করেছেন সম্প্রতি।
|
|
|
|
|
|