|
|
|
|
|
|
দক্ষিন কলকাতা গড়িয়া
উদ্যাপন |
শতবর্ষে শিক্ষালয় |
চন্দন রুদ্র |
শতবর্ষে পা দিল সোনারপুরের কোদালিয়া প্রসন্ন বঙ্গ হাইস্কুল। সম্প্রতি পদযাত্রার মধ্য দিয়ে শতবর্ষের অনুষ্ঠানের সূচনা হল।
স্থানীয় মানুষের উৎসাহ ও চেষ্টায় ১৯১২ সালের ১ জুলাই গড়ে ওঠে এই স্কুল। জমিটি দান করেন কার্তিক বসু। তাঁর বাবা প্রসন্নকুমার বসুর নামে স্কুলের নামকরণ করা হয়। শুরুতে ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়। পরে জুনিয়র স্কুল এবং ১৯৯৬ সালে মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়। ২০০৪-এ উচ্চমাধ্যমিকের কলা বিভাগের পঠনপাঠন শুরু হয়।
|
|
স্কুলের পুরনো ভবনে চলে প্রাথমিক বিভাগ। পাশেই নতুন ভবনে চলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ। প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুদিন বসু ও সাধারণ স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রণব সেনগুপ্ত যৌথ ভাবে শতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন। সব মিলিয়ে ১৪০০-র বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। পরীক্ষার ফলও ভাল।
স্কুলের খেলার কোনও মাঠ নেই। তা সত্ত্বেও ২০০২-এ বি সি রায় কাপ, ২০০৩-এ আনন্দবাজার কাপ জিতেছে। ২০০২-এ সুব্রত কাপের সেমিফাইনালে হেরে যায়। ২০০৪-এ বঙ্কিম কাপে রানার্স হয়। ক্রীড়াশিক্ষক বিশ্বজিৎ হালদার জানালেন, গত শিক্ষাবর্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদের পরিচালনায় স্কুলে ফুটবল প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে স্কুলের পুরনো ও নতুন ভবনের মাঝে খোখো, কবাডি ও ভলিবল প্রশিক্ষণ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
খেলাধুলার সঙ্গে নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয়। ইংরেজির শিক্ষক পবিত্রকুমার গায়েনের কথায়: “প্রতি বছর সরস্বতী পুজোয় ছেলেমেয়েরা গান, নাটক, কবিতায় অংশ নেয়। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের শীতকালীন বার্ষিক প্রদর্শনীতে বিজ্ঞান ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে অংশ নেয়।” ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার উপসমিতিও আছে। |
|
তবে নানা সমস্যাও রয়েছে। প্রধান শিক্ষক প্রণববাবু বললেন, “এলাকার মানুষের সাহায্য, ব্যক্তিগত অনুদান, সাংসদের দেওয়া অর্থ, সর্বশিক্ষা মিশনের আর্থিক অনুদানে স্কুলঘরের সমস্যা সাময়িক ভাবে মিটেছে। কিন্তু কোনও করণিক নেই। আরও শিক্ষকের প্রয়োজন। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগ না থাকায় অনেকে স্কুল ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।”
শতবর্ষ উৎসবের সূচনা করে স্থানীয় বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায়। তিনি পদযাত্রায় পাও মেলান। ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল। উৎসবে সামিল ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর পল্লব দাস ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা। এক বছর ধরে অনুষ্ঠান চলবে। |
ছবি: পিন্টু মণ্ডল |
|
|
|
|
|