|
|
|
|
আজীবন স্বীকৃতিতেও অভিমান যাচ্ছে না কল্যাণের |
নিজস্ব সংবাদদাতা •কলকাতা |
বাংলা ক্রিকেটের প্রতি অবদানের জন্য ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট’ পুরস্কার এ বছর প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার কল্যাণ মিত্রকে দিচ্ছে সিএবি। কিন্তু তাতেও সিএবি-র উপর অভিমান যাচ্ছে না বাংলার প্রাক্তন ব্যাটসম্যানের।
দীর্ঘ দিন অসুস্থ। বর্তমানে বয়স ৭৬। আজীবন স্বীকৃতি নিয়ে জিজ্ঞেস করলে হয়তো সে কারণেই উত্তর আসে, “যা রোগ ধরেছে, তাতে আর কত দিন আছি জানি না। তবে সিএবি-র এই সম্মানটা পেয়ে ভাল লাগছে। টাকাটা নয়, সম্মানটা বড়।”
কিন্তু অভিমান লুকোনো থাকছে কোথায়? শুক্রবারের বৈঠকে ঠিক হয় এক লক্ষ টাকা পুরস্কারের পাশাপাশি কল্যাণবাবুকে সোনার ফলক এবং ব্লেজার দেওয়া হবে। “এই পুরস্কারটা কিন্তু আমার আরও আগে পাওয়া উচিত ছিল। আসলে সিএবি কোনও দিনই আমাকে দরকার ছাড়া ডাকেনি। যখন ডাক পড়েছে বাংলার কোচিং করিয়েছি। পিচ তৈরি করেছি। অনেক দিন ধরে শুনছিলাম, আমি নাকি পুরস্কারটা পেতে পারি। কিন্তু দেখা গেল, আমার চেয়ে অনেক জুনিয়ররা পুরস্কারটা পাচ্ছে। তাই আশা করাটা ছেড়ে দিয়েছিলাম,” আনন্দবাজারকে বলছিলেন কল্যাণবাবু।
’৫৩ থেকে ’৬৯ সালের মধ্যে বাংলার হয়ে ৫১-টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন তিনি। রান আছে ১৬৯৮। অফব্রেক বলও করতেন। কাউন্টিতে ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়েও খেলেছেন। “কার্তিক বসু এবং আমার প্রয়াত দাদার সাহায্য না পেলে এ সবের কিছুই হত না,” অকপটে স্বীকারক্তি কল্যাণবাবুর। তবে এ দিনের সভায় তাঁর পাশাপাশি চুনী গোস্বামীর নামও জোরালো ভাবে উঠেছিল পুরস্কারের জন্য।
এ দিকে, বার্ষিক সভার প্রধান অতিথি হিসাবে কলকাতার মেয়র শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে আনছে সিএবি। পাশাপাশি চলতি বছরে সিএবি-র কোষাগারে জমা হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। এবং পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য সিএবি-র প্রত্যেক অনুমোদিত সংস্থা পাচ্ছে দু’লক্ষ টাকা। সঙ্গে ঠিক হয়েছে আগামী মরসুমে ঘরোয়া চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে ভিন রাজ্যের টিম আনা হবে। |
|
|
|
|
|