|
|
|
|
ছ’শো উইকেটের স্বপ্ন দেখছেন হরভজন |
সংবাদসংস্থা • ডমিনিকা |
রেকর্ড বই বলছে, ভারতীয় বোলারদের মধ্যে তিনি তিন নম্বর বোলার যিনি টেস্টে চারশো উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁলেন। কপিল দেব, অনিল কুম্বলের পর এ বার হরভজন সিংহ। কিন্তু সর্দার এখানেই না থেমে ছুটতে চাইছেন আরও বড় লক্ষ্যের পিছনে। হরভজন স্বপ্ন দেখছেন ছ’শো উইকেট তোলার। মনে করছেন, তাঁর সেরা সময়টা আসা এখনও বাকি।
“আমার বয়স তো একত্রিশ। জানি যে, শেষ সাতটা উইকেট তুলতে আমাকে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। কিন্তু আশা করছি, পরের দু’শোটা উইকেট খুব তাড়াতাড়ি আসবে,” চলতি টেস্টের দ্বিতীয় টেস্টের দিনের শেষে বলেছেন হরভজন। |
|
নয়-নয় করে তেরো বছর কাটিয়ে ফেলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দুনিয়ায়। এবং স্মৃতির সরণি ধরে হাঁটতে-হাঁটতে হরভজনের মনে হচ্ছে, তাঁর ক্রিকেটজীবনে যত না চড়াই এসেছে, তার চেয়ে উতরাই সামলাতে হয়েছে বেশি। বলেছেন, “কেরিয়ারে তো অনেক চড়াই-উতরাই দেখলাম। উতরাইটাই বেশি। এই উইকেটগুলো পাওয়ার জন্য আমাকে খাটতে হয়েছে প্রচুর। যত দিন যায়, যত বয়স বাড়ে, স্পিনাররা তত পরিণত হয়। অনিল ভাই, শেন ওয়ার্ন, মুরলীধরন সবাই তিরিশ পেরোনোর পর প্রচুর উইকেট পেয়েছে।” হরভজন খোলাখুলি জানিয়েছেন, একটা সময় অনিল কুম্বলেকে ছাড়া বল করাটা কত কঠিন ছিল তাঁর পক্ষে। বলেছেন, “দায়িত্বটা প্রচুর বেড়ে গিয়েছিল। আসলে অনিল ভাই বিশাল মাপের বোলার। ওর জন্যই বিশ্বাস করতে পেরেছিলাম যে, বিদেশেও আমরা টেস্ট সিরিজ জিততে পারি। মনে আছে, শ্রীলঙ্কায় একটা বৈঠকে অনিল ভাই বলেছিল, দু’বছরের মধ্যে আমাদের এক নম্বর হওয়া উচিত। দু’বছর পর কিন্তু সেটাই হয়েছিল।”
কেরিয়ারে বেশ কয়েকজন ভারত অধিনায়ককে দেখেছেন। “আমার প্রথম অধিনায়ক ছিল আজহারউদ্দিন। তার পর সচিন। এর পর যখন সৌরভ এল, তখন প্রচুর আত্মবিশ্বাস পেতাম ওর কাছ থেকে। ওর আমলে প্রচুর উইকেটও পেয়েছি। আর ধোনি তো ভারত অধিনায়ক হিসাবে দুর্দান্ত কাজ করছে। তবে যে অধিনায়কই থাকুক না কেন, আমি সব সময় নিজের একশো শতাংশ দিয়েছি।” |
|
|
|
|
|