|
|
|
|
|
|
খেলা |
অভাব প্রশিক্ষণের |
চন্দন রুদ্র |
ভাল কোচ ছাড়া ভাল দাবাড়ু তৈরি হওয়া কঠিন। সেই কোচের অভাবেই ভুগছে হাওড়া। সম্প্রতি হাওড়া জেলা স্কুলে বসা ৩০তম জেলা দাবার প্রতিযোগীদের মুখে এই কথা শোনা গেল। এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট চেজ অ্যাসোসিয়েশন। প্রতিযোগিতায় নজর কাড়ল ঝিলম ঘোষ, অনিমিথ শ্রীমানি, শ্রীতমা বসু, ত্রিনাথ ঘোষের মতো খুদেরা।
মোট ৮৬ জন প্রতিযোগী এ বারের জেলা দাবায় অংশ নেন। জেলার বাইরে থেকেও কয়েক জন এসেছিলেন। খুদে দাবাড়ুদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। অনূর্ধ্ব ৭, অনূর্ধ্ব ৯, অনূর্ধ্ব ১১ ও অনূর্ধ্ব ১৫ বিভাগে অংশ নিতে অভিভাবকদের সঙ্গে ভিড় জমিয়েছিল ওরা। |
|
অনূর্ধ্ব ৭ বিভাগে জিতল প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ঝিলম ঘোষ। গত বছরও জেলা প্রতিযোগিতায় সে প্রথম হয়। এ বছরে টেলিগ্রাফ দাবায় ঝিলম রানার্স হয়েছে। ঝিলমের মা নিবেদিতা ঘোষ বললেন, “দাবা খেলাটা ক্রমেই খরচ সাপেক্ষ হয়ে পড়ছে। জাতীয় দাবায় খেলতে গেলে অনেক খরচ। বাচ্চার সঙ্গে অভিভাবককেও যেতে হয়। ভাল প্রশিক্ষণের জন্য মেয়েকে কলকাতায় নিয়ে যেতে হয়। হাওড়ায় একটি দাবা আকাদেমি গড়ে তোলা দরকার। নিয়মিত গ্র্যান্ডমাস্টার পর্যায়ের কোনও দাবাড়ু এসে প্রশিক্ষণ দিলে অনেক সুবিধে হত।”
মাকড়দহ থেকে নিয়মিত কলকাতার অ্যালেখিন চেজ ক্লাবে দাবা শিখতে যায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র অনিমিথ শ্রীমানি। অনূর্ধ্ব ৯ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন অনিমিথের মতোই অ্যালেখিনে দাবা শিখতে যায় শিবপুরের মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শ্রীতমা বসু। অনূর্ধ্ব ১৫-র চ্যাম্পিয়ন শ্রীতমা পর পর তিন বছর চ্যাম্পিয়ন হল। কালীঘাট থেকে মেয়ে শ্রীজিতাকে নিয়ে এসেছিলেন সুব্রত সরকার। অনূর্ধ্ব ৭ বিভাগে রানার্স হয় শ্রীজিতা। পুণেতে জাতীয় দাবায় খেলতে যাবে সে। |
|
ছোটদের দাবা শেখানোর পাশাপাশি এখনও জাতীয় প্রতিযোগিতায় নামেন হাওড়ার মিলি ঘোষ। জেলা দাবায় নিজে ষষ্ঠ স্থানে থাকলেও তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া ঝিলম, অনিমিথ, শ্রীতমারা ছাড়াও বিপ্র নাথ, শ্রবণা মুখোপাধ্যায়ও সফল হয়েছে। মিলিদেবীর কথায়: “হাওড়ায় সত্যিই কোচের অভাব রয়েছে। উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কলকাতায় যেতে হয়। অর্থ ও সময় বেশি লাগে। ভাল কোচ এনে জেলায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে ওদের সুবিধে হত। স্কুলে ক্যাম্পের আয়োজন করলে অনেক নতুন দাবাড়ু উঠে আসত।”
প্রতিযোগিতার শেষে সফল দাবাড়ুদের হাতে ট্রফি, শংসাপত্র তুলে দেন আয়োজক সংস্থার সভাপতি রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়, সহ-সভাপতি নিমাই দত্ত প্রমুখ।
|
ছবি রণজিৎ নন্দী |
|
|
|
|
|