|
|
|
|
গর্ভপাত করাতে গিয়ে মৃত্যু, ধৃত সাত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
বেআইনি ভাবে গর্ভপাত করাতে গিয়ে এক তরুণীকে হত্যার অভিযোগ উঠল পটনার এক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। ওই মৃত্যুর সঙ্গে জড়িয়ে গেল ওই যুবতীর প্রেমিক এবং এক বান্ধবীর নামও। পটনার পুলিশ সুপার শিবদীপ লান্ডে জানিয়েছেন, পুরো ঘটনা জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পটনার কদমকুয়াঁ অঞ্চলের বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে রোহিত রাজের প্রণয় চলছিল। এর মধ্যেই প্রিয়ঙ্কা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাল বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রিয়ঙ্কা টিউশনে যাচ্ছে বলে বেরিয়ে তানিয়া নামের এক বান্ধবীর সঙ্গে মখনিয়াকুয়াঁ এলাকার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে গিয়ে ভর্তি হন। উদ্দেশ্য ছিল, গর্ভপাত করানো। পুলিশ জানিয়েছে, প্রিয়ঙ্কার গর্ভপাত ঠিকমতো না করতে পারার কারণেই রাতের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এই অবস্থায় নার্সিংহোম দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে প্রিয়ঙ্কাকে নার্সিংহোম থেকে ছেড়ে দেয়। এর পরে তানিয়াও পরিস্থিতি বেগতিক দেখে প্রিয়ঙ্কার বাড়িতে ফোন করে জানায়, আপনাদের মেয়ে বেহুঁশ হয়ে গিয়েছে। ওকে এখুনি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এই বলে তানিয়া প্রিয়ঙ্কাকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে উধাও হয়ে যান। বাড়ির লোকেরা এসে প্রিয়ঙ্কাকে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
আজ প্রিয়ঙ্কার বাবা পুলিশের অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ তদন্তে নেমে একে একে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে তানিয়া এবং তার বয়ফ্রেন্ড মুকেশ ছাড়াও রয়েছে প্রিয়ঙ্কার বয়ফ্রেন্ড রোহিত এবং নার্সিংহোমের চার জন কর্মচারী। |
|
|
|
|
|