|
|
|
|
রেল পুলিশ থাকবে এ বার দুরন্তেও |
অনমিত্র সেনগুপ্ত • নয়াদিল্লি |
দু’দিন আগে যাত্রীদের উপর ট্রেন-কর্মীদের হামলার পর দুরন্ত ট্রেনগুলির নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে রেল মন্ত্রক। যে ভাবে বুধবার রাতে কেটারিং কর্মী ও কোচ অ্যাটেনডেন্টরা যাত্রীদের উপর হামলা চালিয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন রেল মন্ত্রক। ওই ঘটনায় মোট দশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক রেল কর্তা জানান, “ধৃত প্যান্ট্রি কর্মীরা সরাসরি রেল কর্মী না হলেও তাঁরা রেলের পরিচালন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত। তাই রেল কোনও ভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না।”
ওই ঘটনার পরেই দুরন্ত ট্রেনগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করে রেল বোর্ড। মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, এত দিন না থাকলেও আগামী দিনে দুরন্ত ট্রেনগুলিতে রেল পুলিশ মোতায়েন করা হতে পারে। পাশাপাশি যে সংস্থাটি থেকে প্যান্ট্রি কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের চুক্তিপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেল বোর্ডের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী দিনে ওই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত একপ্রকার চূড়ান্ত।
প্রশ্ন উঠেছে, দুরন্ত ট্রেনগুলিতে এত দিন কেন রেল পুলিশ থাকত না? মন্ত্রক জানাচ্ছে, দুরন্ত নন-স্টপ ট্রেন। তাই ওই ট্রেনে পাহারার প্রয়োজন হবে না বলেই ধরে নেওয়া হয়। তাই শুরুর স্টেশনে ট্রেন তল্লাশি করে নেমে যায় রেল পুলিশ। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে, চালক বদল, শৌচাগার পরিষ্কার, জল ভরা ইত্যাদি কারণে একাধিক টেকনিক্যাল স্টপ দিতে হয় দুরন্তগুলিকে। সেই সময়ে দুষ্কৃতীরা ট্রেনে চড়ে বসলে কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এর পাশাপাশি হাওড়া দুরন্তে যে ভাবে রেল কর্মীরা দল বেঁধে যাত্রীদের উপর হামলা করেছে, তা এড়ানোর জন্যও এ বার রেল পুলিশ রাখার কথা ভাবা হচ্ছে।
রেল সূত্র জানাচ্ছে, রক্ষী কম থাকায় দুরন্তয় এত দিন তাঁদের মোতায়েন করা যায়নি। বর্তমানে প্রায় ১২৭৫টি ট্রেনে গড়ে ৪ জন আরপিএফ দেওয়া হয়। ২২০০ ট্রেনে থাকে গড়ে ২-৩ জন। তবে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা দিয়ে যাওয়া ট্রেনগুলিতে ৯-১০ জন রেল পুলিশ থাকে। কিন্তু তা-ও প্রয়োজনের থেকে কম। এই ঘাটতি মেটাতে এ বছরে প্রায় ১২ হাজার রেল পুলিশ নিয়োগ করা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|