|
|
|
|
টু-জি কাণ্ডে চিদম্বরমকে আক্রমণ বিজেপি-র |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
টু-জি কাণ্ডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দয়ানিধি মারানের পদত্যাগের পর তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকেও মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলার দাবি জানাল বিজেপি। কেন্দ্রে প্রধান বিরোধী দলের অভিযোগ, টু জি কেলেঙ্কারিতে সরকারের আর্থিক ক্ষতির দায় তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী চিদম্বরমেরও। এবং সেই কেলেঙ্কারি চাপা দিতে তৎকালীন টেলিকমমন্ত্রী এ রাজার সঙ্গে চিদম্বরমের একটি বৈঠকের কার্যবিবরণীও রাখা হয়নি। এই আক্রমণ সামলাতে চিদম্বরমের সমর্থনে এ দিন মুখ খুলেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, কপিল সিব্বলরা।
২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি টু-জি স্পেকট্রামের লাইসেন্স বিলি শুরু হয়। বিজেপি’র অভিযোগ, নিলামের বদলে ‘আগে এলে আগে পাবে’র ভিত্তিতে লাইসেন্স বিলির সিদ্ধান্তে চিদম্বরমেরও সায় ছিল। এবং এই সিদ্ধান্তের জেরে সরকারের ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। বিজেপি-র মুখপাত্র নির্মলা সীতারমন আজ বলেন, “কংগ্রেসের পক্ষে টু-জি কাণ্ডকে আর শরিকদের কাজ বলে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ঘটনার গতি-প্রকৃতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে গোটা ব্যাপারে কংগ্রেসের ভূমিকা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।”
বিজেপির বক্তব্য, প্রাথমিক ভাবে অর্থ মন্ত্রক নিলামের পক্ষেই মত প্রকাশ করেছিল। আর টেলিকম মন্ত্রক নিলামের বদলে ‘আগে এলে আগে পাবে’র ভিত্তিতে লাইসেন্স বণ্টন করে। কিন্তু এ রাজার সঙ্গে বৈঠকের পরে চিদম্বরম প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ‘বিষয়টি মিটে গিয়েছে।’ এখানেই সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিজেপি। তাদের প্রশ্ন, রাজার সঙ্গে চিদম্বরমের বৈঠকের কার্যবিবরণী রাখা হল না কেন? এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে অবিলম্বে মুখ খোলার দাবি জানিয়েছে তারা।
চিদম্বরমের পক্ষে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। বলেছেন, “সংবাদপত্রে পড়লাম, রাজার সঙ্গে চিদম্বরমের বৈঠকের বিবরণী নথিবদ্ধ করা হয়নি বলে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। কিন্তু মনে রাখা দরকার, মন্ত্রীরা প্রতিদিনই অনেকের সঙ্গে দেখা করেন। আলোচনা করেন। কিন্তু সব বৈঠকের কাগজ তো আর রেখে দেওয়া সম্ভব নয়।” সরব হয়েছেন টেলিকম মন্ত্রী কপিল সিব্বলও। তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের যে দাবি বিজেপি তুলেছে তা ভিত্তিহীন পুরোটাই বিরোধীদের ষড়যন্ত্র।” |
|
|
|
|
|