|
|
|
|
স্কুলভোটে মুখোমুখি কংগ্রেস-তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
জোট করে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। কিন্তু স্কুলভোটে জোট হল না।
কাল, রবিবার কাটোয়ার শ্রীখণ্ড উচ্চ বিদ্যালয় (বয়েজ)-এর পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল শিবির। অন্যথায় ওই নির্বাচনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হত না। কেননা দীর্ঘ দিন পরিচালন সমিতি দখলে রাখার পরে সিপিএম এ বার প্রার্থী দাঁড় করিয়েও প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বর্তমানে কেতুগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শ্রীখণ্ড পঞ্চায়েত কংগ্রেসের দখলে। শ্রীখণ্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক প্রতিনিধিই কংগ্রেসের সমর্থনে জয়লাভ করেছেন। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হিতেনচন্দ্র পাটোয়ারি বলেন, “৩০ জুন মোট ২০ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন।” কংগ্রেস, তৃণমূল ও সিপিএম তিন পক্ষই ৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু গত ২ জুলাই সিপিএম সমর্থিত ছয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে জোট করেই প্রার্থী দেওয়ার কথা ভেবেছিল কংগ্রেস ও তৃণমূল। কিন্তু মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন দেখা যায়, দুই দলই ৬টি আসনে ৭টি করে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি কাঞ্চন মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য আমাদের হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। কিন্তু কংগ্রেস না চাওয়ায় জোট হয়নি।” ওই পঞ্চায়েত সদস্য সৌমেন্দ্রনাথ দে-ও বলেন, “কংগ্রেস আমায় মনোনয়ন দেয়নি। সেখানে তৃণমূল আমাকে সমর্থন করেছে।”
শ্রীখণ্ড পঞ্চায়েতের প্রধান তথা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দীপক মজুমদার আবার দাবি করেন, “আমরা জোট করেই লড়ছি। তৃণমূলে নতুন যোগ দেওয়া কিছু লোক সেই জোট অস্বীকার করে দাঁড়িয়ে পড়েছে।” সিপিএমের কাটোয়া জোনাল কমিটির সদস্য কমল ঠাকুরের বক্তব্য, “ওই দুই দলের লড়াইয়ে গ্রামে সমস্যা হবে। তাই আমরা শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালাম।” |
|
|
|
|
|