|
|
|
|
স্কুলের কাছে ধস আসানসোলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
স্কুলের অদূরে মাঠে ধস নামল আসানসোলে। শুক্রবার দুপুরে আসানসোল উত্তর থানার কাল্লা গ্রামের কাল্লা হরিপদ হাইস্কুলের কাছে এই ধস দেখা যায়। ইসিএলের শ্রীপুর এরিয়ার পক্ষ থেকে ধসে যাওয়া অংশ মাটি দিয়ে ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। ইসিএল কর্তৃপক্ষের দাবি, অবৈধ খাদানের ব্যাপক রমরমার জেরেই এই ঘটনা।
এ দিন দুপুরে ওই হাইস্কুলের একশো মিটারের মধ্যে একটি মাঠে ধস নামে। আশপাশের মাটি ফেটে গিয়েছে। এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দু’একটি বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সংলগ্ন এলাকায় যত্রতত্র কুয়ো তৈরি করে চলছে অবৈধ খাদান। এ দিন ধসের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ইসিএলের শ্রীপুর এরিয়ার আধিকারিকেরা। ধস নামা অংশ মাটি দিয়ে ভরাটের কাজ শুরু হয়। শ্রীপুর এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার সুজিত সরকার বলেন, “মহকুমা প্রশাসনের তরফে এই ধসের খবর জানানো হয়। ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে।” এই ধসের কারণ প্রসঙ্গে সুজিতবাবুর দাবি, এলাকায় প্রচুর অবৈধ খাদান চলছে। তার জেরেই এমন ঘটনা।
এ দিকে, স্কুলের ১০০ মিটারের মধ্যে এ ভাবে ধস ও ফাটল দেখা দেওয়ায় চিন্তিত স্কুল কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রকৃতীশকুমার নন্দী বলেন, “অবৈধ খাদানের জেরে মাটির তলা ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। স্কুলের দেওয়ালেও ফাটল ধরেছে। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” ওই স্কুলে এখন ১৩০০ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। স্কুল ভবনের যেখানে সেখানে ফাটল ধরায় ছাত্রছাত্রীরাও শঙ্কিত। দশম শ্রেণির ছাত্র বিপ্লব বাউরির কথায়, “ভয় হয়, স্কুলটা পড়ে না যায়।” স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক গৌরচন্দ্র ঘোষ জানান, স্কুল সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ কয়লা খাদান চলার কথা তাঁরা মহকুমা প্রশাসনের কাছে আগেও জানিয়েছেন। ফের তা জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। গৌরচন্দ্রবাবু বলেন, “অবৈধ খাদান বন্ধ না হলে স্কুলটি বিপাকে পড়বে। প্রশাসন উদ্যোগী না হলে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য স্কুল বন্ধ করে দিতে হবে।” আসানসোলের মহকুমাশাসক সন্দীপ দত্ত জানান, স্কুলের নিরাপত্তার জন্য সব রকমের প্রশাসনিক উদ্যোগ হবে। |
|
|
|
|
|