|
|
|
|
বেপরোয়া পুলকার ধরপাকড় চলবেই, হুঁশিয়ারি প্রশাসনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল ও দুর্গাপুর |
সাত দিন পেরোলো। পুলকারকে নিয়মে বাঁধার লক্ষ্যে অভিযান চলছে এবং চলবে বলে দাবি করল পরিবহণ দফতর।
বেয়াড়া পুলকার ধরা শুরু হয়েছিল দুর্গাপুরের কাছে হেতেডোবায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী করুণা সিংহের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর থেকে। গত ২৭ জুন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্কুলবাস থেকে পড়ে মৃত্যু হয় করুণার। তার পরেই পুলকারের অনুমোদন ও ‘ফিটনেস’ পরীক্ষায় উদ্যোগী হয় দুর্গাপুর ও আসানসোলের মহকুমা প্রশাসন ও পরিবহণ দফতর। দু’টি মহকুমাতেই বিভিন্ন স্কুলের সামনে পুলকারের কাগজপত্র পরীক্ষা করতে অভিযান শুরু হয়।
অভিযানে নেমে গত সপ্তাহে আসানসোলের মহকুমা প্রশাসন আটক করেছিল ২২টি পুলকার। তার মধ্যে মাত্র ৬টি গাড়ির চালকের লাইসেন্স থাকলেও বাকিদের ছিল না। প্রশাসন গাড়িগুলি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়ার পরে পুলকারের চালকেরা মহকুমাশাসকের দফতরে গিয়ে সাত দিন সময় দেওয়ার আবেদন জানান। মহকুমাশাসক তাঁদের সেই সময় দিয়ে জানিয়েছিলেন, প্রতিটি গাড়ির ‘ফিট সার্টিফিকেট’ও প্রশাসনের কাছে দাখিল করতে হবে। |
|
শুক্রবার সেই সময়সীমা শেষ হতেই আসানসোলের মহকুমাশাসক সন্দীপ দত্ত জানান, “সোমবার থেকে ফের পুলকার ধরতে অভিযান শুরু হবে। ‘ফিট সার্টিফিকেট’ দেখেই পুলকার চলতে দেওয়া হবে। আসানসোল দক্ষিণ, আসানসোল উত্তর ও হিরাপুর থানা এলাকায় নজরদারি চালানো হবে।” আসানসোলের সহকারি পরিবহণ আধিকারিক সৌমেন দাস জানান, “মহকুমাশাসকের নির্দেশ অনুসারে পুলকার ধরতে অভিযান চলবে।”
অন্য দিকে, দুর্ঘটনার দু’দিন পর থেকে পুলকার ধরতে অভিযান শুরু করে দুর্গাপুরের আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর। প্রথম দু’এক দিন ঢিমেতালে অভিযান চললেও গত এক সপ্তাহে অনেকগুলি গাড়ি পরীক্ষা করা হয়েছে। দুর্গাপুরের আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের অফিসারেরা কাগজপত্র ও ‘ফিটনেস’ খতিয়ে দেখেন। যে দিন যে গাড়িকে ধরা হয়েছে, তাকে কাগজপত্র ঠিক করে নেওয়ার জন্য সাত থেকে দশ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।
দুর্গাপুরের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক অনিমেষ সিংহরায় জানান, মূলত গাড়ির ফিটনেসের দিকেই নজর রাখা হচ্ছে। যে সব গাড়িকে ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পরে ফের অভিযান চালিয়ে সেগুলিকে পরীক্ষা করে দেখা হবে।
|
|
|
|
|
|