|
|
|
|
অভিযুক্ত বালুরঘাটের স্কুল |
বাড়তি টাকার দাবি ভর্তিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
ভর্তির সময় ছাত্রীদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বালুরঘাট নদীপাড় গার্লস হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। রীতিমত কুপন ছাপিয়ে ভর্তির সময় ছাত্রী পিছু ৬৭ টাকা বেশি আদায়ের অভিযোগ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অভিভাবকেরা। বৃহস্পতিবার বিষয়টি সামনে আসতেই অবশ্য তা অস্বীকার করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষিকা অনুরাধা সেন বলেন, “বাড়তি টাকা আদায়ের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি কিছু জানি না।” ছাত্রী এবং অভিভাবকদের অভিযোগ, “স্কুলের নামে ছাপানো সিল স্বাক্ষরবিহীন রসিদে অতিরিক্ত ৬৭ টাকা আদায় করা হয়েছে। তিনটি রসিদ দেওয়া হয়েছে। প্রথমটিতে গৃহ নির্মাণ বাবাদ ৫০ টাকা। দ্বিতীয়টিতে বিদ্যুতের জন্য ১০ টাকা এবং তৃতীয়টিতে পরীক্ষা খরচ বাবাদ ৭ টাকা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আলাদা স্কুলের আরেকটি রসিদে উন্নয়ন ফি, খেলা, পরীক্ষা, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্রন্থাগার মিলিয়ে ১৮৩ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।” এদিন ছাত্রী এবং অভিভাবকেরা ওই তিনটি রসিদ নিয়ে স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখান। প্রধান শিক্ষিকার মতই তিনিও কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন বামফ্রন্ট পরিচালিত স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা সিপিএম নেতা প্রণয় মণ্ডল। তাঁর কথায়, “তাই নাকি? আমি তো কিছু জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” তবে ছাত্রী এবং অভিভাবকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সমিতির সদস্য তথা চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের আরএসপি প্রদান উত্তম মোহান্ত। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। পরিচালন সমিতির সভায় বিষয়টি তুলব।” দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুবোধ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাড়ি বা ভবন তৈরির জন্য কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের থেকে টাকা নিতে পারেন না। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” নদীপাড় গার্লস হাইস্কুলে ছাত্রী সংখ্যা ৯০০। গরমের ছুটির আগে পঞ্চম শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন অধিকাংশ ছাত্রী। চলতি মাসে স্কুল খোলার পরেই একাদশ শ্রেণির ৮০ জন ছাত্রীর কাছ থেকে ভর্তির সময় বাড়তি ৬৭ টাকা আদায় করা হতেই ক্ষোভ দেখা দেয়। ঘটনার তদন্তের দাবি তুলেছে তৃণমূল। দলের শিক্ষক সেলের নেতা প্রবীর রায় বলেন, “এলাকার গরিব ঘরের মেয়েরা ওই স্কুলে পড়ে। কতৃর্পক্ষ ১৮৩ টাকা নেওয়ার পরে তিনটি কুপন দিয়ে ৬৭ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” |
|
|
|
|
|