|
|
|
|
বরাদ্দ বাড়াতে মমতার কাছে সাবিত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
বাম সরকারের আমলে মালদহ-সহ উত্তরবঙ্গের ৫ জেলার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ কেটে নেয় বরাদ্দকৃত ৯ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। পুনরায় ওই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করার দাবি জানিয়ে মুখমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। তাঁর অভিযোগ, “বামফ্রন্ট সরকার ৩৪ বছর ধরে উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা করেছে। ২০১০-১১ আর্থিক বছরে বামফ্রন্ট সরকার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদে মাত্র ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। এত কম টাকা বরাদ্দ করার পরেও ৯ কোটি টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। যার ফলে বহু কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে রয়েছে। বহু কাজ শুরুই করা যাচ্ছে না। ৫ জেলার বরাদ্দকৃত ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মুখমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাব।” প্রসঙ্গত, নয়া সরকার রাজ্যে ক্ষমতা লাভের পরে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। ৫ মে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য সচিব তথা জলপাইগুড়ি বিভাগীয় কমিশনার ৫ জেলার জেলাশাসককে বরাদ্দ করা ওই টাকা কেটে নেওয়ার কথা জানান। বিভাগীয় কমিশনারের চিঠি পাওয়ার পরেই মাঝপথে থমকে যায় হাতে নেওয়া বেশ কয়েকটি কাজ। বিভাগীয় কমিশনার তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেন, ২০১০-১১ আর্থিক বছরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দ করা টাকা থেকে মালদহ জেলার ২ কোটি ৭৬ লক্ষ ২১ হাজার ৭৮০ টাকা, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৬৫ হাজার ৯৮০টাকা, উত্তর দিনাজপুর জেলার ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬৮ হাজার ১১০ টাকা, দার্জিলিং জেলার ৭৪ লক্ষ ৮ হাজার ৮৯০ টাকা, জলপাইগুড়ি জেলার ৩ কোটি ৮৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫০০টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই চিঠিতে বিভাগীয় কমিশনার উল্লেক করেন যে কেটে নেওয়া টাকা ২০১১-১২ আথির্ক বছরে ফেরত দেওয়া হবে। মালদহের জেলাশাসক রাজেশ সিংহ বলেন, “২০১০-১১ আর্থিক বছরে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদ মালদহ জেলার ১২৩টি স্কিমের জন্য ১১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এর পরেই ১২৩টি স্কিমের কাজে নামার প্রশাসনিক নির্দেশ দেওয়া হয়।” জেলাশাসক জানান, ইতিমধ্যে ৪৬টি স্কিমের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ৫৫টি স্কিমের কাজ চলছে। বরাদ্দকৃত টাকা কেটে নেওয়ার ফলে ২২টি স্কিমের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি যে ৫৫টি স্কিমের কাজ চলছিল তাও বন্ধ হয়ে যাবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উজ্জল চৌধুরী বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দ থেকে যে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে সেটা ফের বরাদ্দ করার জন আমরা রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাব।” |
|
|
|
|
|