|
|
|
|
বর্ষা-বেহাল রাস্তায় বিচ্ছিন্ন গ্রামাঞ্চল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
বর্ষা নামতেই রাস্তাঘাট বেহাল হয়ে পড়ায় বালুরঘাট শহর লাগোয়া গ্রামগুলি সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থা হারিয়ে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বালুরঘাটের সীমান্তবর্তী ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা ভাঙাচোরা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন। খানাখন্দে ভরা চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীবাড়ি মোড়ে প্রধান রাস্তায় প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। পূর্ত দফতরের অধীন চকভৃগুর ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ধরেই শুধু তপন ব্লকের বাসিন্দারা জেলাসদর বালুরঘাটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন না, শহরের বাসিন্দাদেরও রেলস্টেশনে পৌঁছতে ভরসা এই রাস্তা। পূর্ত দফতর এবং জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের এনিয়ে হেলদোল না দেখে সংশ্লিষ্ট এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানেরাও দ্রুত রাস্তা মেরামতির দাবিতে সরব হয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাধিপতি মাগদালিনা মুর্মু বলেন, “পঞ্চায়েতের তরফে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। রাস্তা মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হবে।” জেলা পূর্ত সড়ক দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার সুমন জানা বলেন, “চকভৃগু-তপন সড়ক, কামারপাড়া, চিঙ্গিশপুর এলাকাগুলির বেহাল রাস্তা মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি কমলে কাজ শুরু হবে।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারপাড়া, চিঙ্গিশপাড়া, পতিরামের নিচাবন্দর এলাকাগুলি জলকাদায় ভাঙা রাস্তাগুলি আরও দুর্গম হয়ে পড়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন রাস্তাগুলি মেরামতি না হওয়ায় বর্ষার শুরুতেই নাকাল হতে হচ্ছে। বালুরঘাটের ভাটপাড়া অঞ্চলের অধীন বঙ্গিবাদুরতলা থেকে চকরাম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার জেলা পরিষদের পাকা রাস্তাটির উপর নির্ভর করেই এলাকার বানিয়াপাড়া, মাঝিগ্রাম, নকশা, সাঁতরাই পোল্লপাড়া, চকশ্যাম, চকরাম ও চকরমাপ্রসাদ সহ ১০ থেকে ১২টি গ্রামের মানুষ শহর বালুরঘাটের সঙ্গে যোগাযোগ। গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের প্রধান লগিন দাস বলেন, “গত সাত বছরের মধ্যে রাস্তাটির মেরামত হয়নি। চকরাম ফাঁড়ির বিএসএফ কর্মীরাও গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করেন। রাস্তাটির পিচপাথরের অস্তিত্ব নেই। বড় গর্তে জল জমে যাতায়াত ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে।” চকভৃগুর আরএসপি’র প্রধান উত্তম মোহান্ত বলেন, “কর্তৃপক্ষকে বর্ষার আগেই রাস্তা মেরামতির আবেদন করা হয়। কিন্তু কিছু হয়নি। যে কোনও দিন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।” এলাকার জেলা পরিষদের রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ায় ধাউল, বেলাইন, ডাকরা গ্রামগুলির মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শহরে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। পতিরামের নিচাবন্দর থেকে মণিপুর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা জলে ডুবে গিয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় ঘর বাড়িতে রাস্তার নোংরা জল ঢুকে দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছেন এলাকার মানুষ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, “ইট পেতে ওই রাস্তা জেলাপরিষদ পাকা করার উদ্যোগ নিলেও রাস্তার পাশে কোনও নিকাশি-নালা তৈরি না করায় সমস্যা বেড়ে গিয়েছে।” |
|
|
|
|
|