|
|
|
|
পুরভোটে রায়গঞ্জ |
তারুণ্যকে প্রাধান্য সব দলেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
দলের তরুণ নেতৃত্বকে সামনে রেখে রায়গঞ্জ পুরভোটে লড়াইয়ে নেমেছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের পাশাপাশি বামেরাও। পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫-৪৫ বছর বয়সী ১৪ জনকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। একই ভাবে বামেরা প্রার্থী করেছে ১৬ জন তরুণ প্রার্থীকে। গত বছর বামেরা এই পুরসভার ৮ জন তরুণকে প্রার্থী করে। তার মধ্যে বিজয়ী হয় ২ জন। কংগ্রেস টিকিট দেয় ১১ জনকে। তাঁরা প্রত্যেকেই জয়ী হয়। তরুণদেরই প্রার্থী হিসাবে বেছে নেওয়ার পিছনে ভোটারদের পছন্দ-অপছন্দই যে গুরুত্ব পেয়েছে সে কথা স্পষ্ট হয়েছে যুযুধান দু’পক্ষের নেতাদের কথাতেও। উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা পুর নির্বাচনে কংগ্রেসের অন্যতম প্রার্থী পবিত্র চন্দের বক্তব্য, “পুর বোর্ড পরিচালনায় স্বচ্ছ্বতা এবং শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলার লক্ষ্যেই আমরা এ বার তরুণদের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়েছি। তৃণমূলের সঙ্গে জোটের কারণে তো বটেই, তরুণদের প্রার্থী করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় এ বার বেশ কয়েকজন বিদায়ী কাউন্সিলরকে টিকিট দেওয়া সম্ভব হয়নি।” রায়গঞ্জ শহর বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা সিপিএমের লোকাল সম্পাদক নীলকমল সাহা বলেন, “আমরাও খোঁজ নিয়ে দেখছি যে সাধারণ মানুষ তরুণ ছেলেমেয়েদেরই কাউন্সিলর হিসাবে চাইছেন। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে তরুণরা কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে ভাল কাজ করতে পারেন। মানুষের বিপদে আপদে বেশি করে ঝাঁপাতে পারেন। তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে খোলা মনে মেলামেশা করতে পারেন। রায়গঞ্জ শহরে বামফ্রন্টকে শক্তিশালী করতে তরুণদের উপরেই বেশি ভরসা করছি।” ১০ জুলাই রায়গঞ্জে পুর নির্বাচন। গত বার শহরের ২৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে বামেরা জয়ী হয় ৬টি আসনে। এ বার ৬ জনের মধ্যে সিপিএমের ২ এবং সোসালিস্ট পার্টি ও আরএসপি’র একজন করে ৪ জনকে টিকিট দেওয়া হয়নি। তরুণদের উল্লেখযোগ্য বাম প্রার্থী হলেন এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক প্রাণেশ সরকার। যুব ফেডারেশন, কলেজ ছাত্রী, শিক্ষক, ঠিকাদার, ব্যবসায়ী এবং বেশ কয়েকজন বধূকে বামেরা টিকিট দিয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের সঙ্গে জোটের জেরে কংগ্রেসকে আসন ভাগ করতে হলেও নতুন মুখ আনার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বামেদের মতো জোটের তরুণ প্রার্থী তালিকায় যুব কংগ্রেস, গৃহবধূ, ব্যবসায়ী ঠিকাদারেরাও রয়েছেন। |
|
|
|
|
|