|
|
|
|
উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে ধসের আশঙ্কা পাহাড়ে |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। পাহাড় থেকে সমতল সর্বত্রই রাস্তা খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সঙ্কেত জারি করেছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। মালদহ, দুই দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের শহরতলি এমনকী শহরের কিছু কিছু এলাকাও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নিকাশি নালা উপচে জল রাস্তায় উঠে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। পাহাড়ের তিন মহকুমা দার্জিলিং সদর, কালিম্পং, কার্শিয়াংয়ে টানা তিন দিন ধরে অনবরত বৃষ্টি চলায় ফের ধস নামার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বুধবার মংপংয়ে ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ডুয়ার্স থেকে সিকিম ও শিলিগুড়ি যাওয়ার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক। দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।”
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয় মালদহে। দোকানপাট কম খুলেছে। বাজারও দেরিতে বসে। রাস্তায় লোক চলাচল কম। হরিশ্চন্দ্রপুরে নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। বাজার, বাসস্ট্যাণ্ডের পাশাপাশি কামবিধু মোড় থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলগামী রাস্তাতেও এক হাঁটু জল। খানাখন্দে ভরা রাস্তার জন্য ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ বাসিন্দাদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের বিডিও সজল তামাং বলেন, “পঞ্চায়েতকে নর্দমা সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে বুধবার বিকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। এ দিন সকালে টানা ২ ঘণ্টা বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বালুরঘাট শহরের বঙ্গি এলাকা, সাহেব কাছারি, দক্ষিণ খাদিমপুর, রঘুনাথপুরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অফিসের সামনের রাস্তা জলে ডুবে যায়। কামারপাড়া, চিঙ্গিশপাড়া, পতিরামের নীচাবন্দর এলাকাগুলি জল-কাদায় দুর্গম হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “টানা বৃষ্টির জন্য বিডিওদের সতর্ক করা হয়েছে। সবদিকে নজর রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া বিডিও অফিসে ত্রাণ মজুত রাখা হয়েছে।”
উত্তর দিনাজপুরে বুধবার রাত থেকে এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়। কুলিক নদীতে জল বেড়েছে। আপাতত বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জেলা প্রশাসনের তরফে খবর। কোচবিহারেও বুধবার রাতে থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। কোচবিহার সদর ও মাথাভাঙ্গাতে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি। গত ২৪ ঘন্টায় কোচবিহার সদরে ৪০ মিলিমিটার এবং মাথাভাঙ্গায় ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তোর্সা ও তিস্তা নদীতে জল বাড়ছে। কোচবিহারের জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “নদীগুলিতে জল বাড়ছে। তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সমস্ত জায়গায় কন্ট্রোল রুমে খোলা হয়েছে।” জলপাইগুড়ি প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে, বৃষ্টির জেরে তিস্তা ও করলা নদীতে জল বাড়ছে। শিলিগুড়িতে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার দিনভর দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। বিধান মার্কেটের বেশ কয়েকটি রাস্তা কাদায় ভরে গিয়েছে। কার্শিয়াং, কালিম্পং, দার্জিলিং সদরেও টানা তিন দিন থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। |
|
|
|
|
|