|
|
|
|
রাজ্য সড়ক যেন ডোবা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
গোটা রাস্তাটাই যেন ডোবায় পরিণত। কান্দি মহকুমার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কান্দি-ডাকবাংলা রুটের রাজ্য সড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার পিচের চাদর উঠে খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। বর্ষায় সেই খানাখন্দ ভরে গিয়েছে জলে। তবু প্রশাসনের কোনও নজর নেই।
রাস্তাটি প্রধানত ব্যবহার করেন বড়ঞা ও কান্দি ব্লক এলাকার প্রায় শ’দেড়েক গ্রামের বাসিন্দারা। প্রতিদিন অনেক নিত্যযাত্রী ওই রাস্তা ধরে যাতায়াত করেন। কিন্তু সেখানেই কান্দি বাইপাস মোড় থেকে পা বাড়ালেই প্রথমে একশো মিটার জল ভরা। রাস্তা চোখে পড়ে না। বহড়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকাতেও একই অবস্থা। আবার বড়ঞা ব্লক অফিসের সামনে প্রায় দেড়শো মিটার রাস্তা জুড়ে বড় বড় গর্ত। কিন্তু তা ছাড়াও বাকি রাস্তা ভরে রয়েছে অসংখ্য ছোটবড় গর্তে। ওই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে যাত্রী বোঝাই বাস ও পণ্য বোঝাই ট্রাক। স্কুলের সামনের রাস্তায় বাস যদি উল্টো দিক থেকে আসা গাড়িকে পাশ দিতে গেলে হেলে যায় রাস্তার পাশে। যাত্রীরা জানাচ্ছেন, যে কোনও দিন বাস উল্টে যেতে পারে। কারণ জলে গর্ত ভরে গিয়ে চালক বুঝতেই পারেন না, গর্ত কোথায় কতটা গভীর। নিত্যযাত্রী আব্দুল শেখ বলেন, “প্রতি বছরই বর্ষায় এই সমস্যা হয়। কিন্তু প্রশাসন চোখ বুজে রয়েছে।” বীরেন ঘোষ বলেন, “দুর্ঘটনার ভয়ে চালকেরা এখন ওই রাস্তায় গাড়ি চালান আস্তে আস্তে। ফলে সময় লাগছে দ্বিগুণ।” |
|
বর্ষায় বেহাল নবগ্রাম-পঞ্চগ্রাম রাজ্য সড়ক। নিজস্ব চিত্র। |
বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, “ওই রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য। পূর্ত দফতরের উদাসীনতাতেই এই অবস্থা।” কান্দির বিডিও সত্যব্রত হালদারের কথায়, “বাসিন্দারা যে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করেন, তা অনস্বীকার্য। প্রশাসন এই ব্যাপারে উদ্যোগী হচ্ছে।” পূর্ত দফতরের কান্দি মহকুমা আধিকারিক শ্যামল দাস বলেন, “রাস্তাটি ভেঙে গিয়েছে। আমরা কাজ শুরু করেছি। কিন্তু বর্ষার জন্য কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।” |
|
|
|
|
|