টুকরো খবর
রঘুনাথগঞ্জে স্কুলে বিক্ষোভ
বৃষ্টির জন্য বুধবার স্কুলে যাননি শিক্ষকেরা। স্কুল বন্ধের খবর দিতে প্রধান শিক্ষক গ্রামে পাঠিয়েছিলেন এক কর্মীকে। কিন্তু ততক্ষণে স্কুলে হাজির ছাত্রছাত্রীরা। শিক্ষকেরা না আসায় ফিরে যেতে হয়েছিল তাদের। বৃহস্পতিবার স্কুল খুললে শিক্ষকেরা গিয়েছিলেন নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে। এমনই অভিযোগ তুলে এ দিন ছাত্রছাত্রী এবং গ্রামবাসীরা স্কুলে ঢুকতে বাধা দেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। পরে স্কুলের মূল গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। ঘণ্টা চারেক পর বিক্ষোভ উঠে গেলেও এ দিন অবশ্য কোনও ক্লাস হয়নি। ঘটনাটি রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের জামুয়া হাইস্কুলের। প্রধান শিক্ষক ভজহরি রায় বলেন, “স্কুলে আসার রাস্তাটি খুব খারাপ। বেশিরভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকা গ্রামের বাইরে থেকে আসেন। বুধবার সারাদিন অঝোরে বৃষ্টি হওয়ায় স্কুলেরই এক কর্মীকে দিয়ে গ্রামে খবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তা ছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য স্কুল ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা তো আছেই!” তবে এ দিন দেরীতে স্কুলে যাওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি তিনি। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বিকাশ দত্ত বলেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও ঠিক সময়ে স্কুলে আসতে হবে এবং যেতে হবে। যখন তখন স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার প্রবণতাও শিক্ষকদের বন্ধ করতে হবে। ওই স্কুলে কী ঘটেছে দেখছি।”

রেশনের সামগ্রী অবৈধ ভাবে মজুতের নালিশ
রেশনের জিনিস বিলি না করে তা খোলা বাজারে বিক্রির জন্য বাড়িতে মজুত করার অভিযোগে এক রেশন ডিলারের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। খবর পেয়ে খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের কর্মীরা ঘুর্ণির বাসিন্দা স্বপন সাহা নামে ওই ডিলারের বাড়িতে যান। মিলিয়ে দেখেন কাগজপত্র। ওই দফতরের ইন্সপেক্টর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দেব।” দীর্ঘদিন ধরে ওই রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল সরকার বলেন, “আমরা বিভিন্ন ভাবে খোঁজ নিচ্ছিলাম। এ দিন জানতে পারি রেশনের প্রচুর জিনিস বিলি না করে তিনি অবৈধ ভাবে বাড়িতে মজুত রেখেছেন।” বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ ক্ষোভ ফেটে পড়েন। স্বপনবাবুর কথায়, “সকলেই তো প্রতি সপ্তাহে রেশন থেকে জিনিস নেয় না তাই গত সপ্তাহে ৬ বস্তা চাল, গম ও ৬ ব্যারেল কেরোসিন অবশিষ্ট ছিল। সোমবারই সেটা সংশ্লিষ্ট দফতরে ফিরিয়ে দিতাম।”

বাইকের বাক্সে আগ্নেয়াস্ত্র
দু’টি পরিত্যক্ত মোটরবাইক থেকে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক বাইক দু’টির একটি নম্বরবিহীন, অন্যটিতে মালদহের নম্বরপ্লেট লাগানো ছিল। এই ঘটনায় অবশ্য এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। বুধবার রাতে জঙ্গিপুরের ভাগীরথী সেতুতে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। তখনই বাইক দু’টিকে সেতুর উপর দেখতে পায় পুলিশ। বাইকের বাক্স ভাঙতেই পাওয়া যায় আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। জঙ্গিপুরের এসডিপিও আনন্দ রায় বলেন, “ওই রাতে সেতুর উপর যানবাহন দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। সেই সময় সেতুর একপাশে বাইক দু’টিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন পুলিশকর্মীরা। আশপাশে কেউ ছিল না। গাড়ির বাক্স খুলতেই ৬টি পিস্তল ও ৩০ রাউন্ড কার্তুজ মেলে।একটি গাড়ি মালদহের অন্যটি নম্বরবিহীন। মালিকের খোঁজ চলছে।” পুলিশের অনুমান, আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। লাল রঙের নম্বরবিহীন গাড়িটি এলাকারই।

সাগরদিঘিতে দখল সরাতে নির্দেশ
রাস্তা তৈরির জন্য সংলগ্ন জমিতে থাকা সমস্ত জবরদখল সরানোর নির্দেশ দিয়েছে জঙ্গিপুর এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। সাগরদিঘির নওপাড়া গ্রামের রাস্তাটি তৈরির জন্য সেখানের পূর্বতন বিধায়ক তহবিল থেকে ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। রাস্তার কাজও শুরু হয় এরপরই দেখা যায় গ্রামের কয়েকজন রাস্তার কিছুটা অংশ দখল করে বাড়ি তৈরি করেছেন। তাতে ক্ষুব্ধ গ্রামের অন্য বাসিন্দারা রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। এ ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রামের কয়েক জন। আদালত ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে জবরদখল সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কাজ হয়নি। এরপরেই সাগরদিঘির ওসি এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের রাজস্ব আধিকারিক পূর্ণচন্দ্র সিংহ বলেন, “দখলকারীদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। বৃষ্টির জন্য গ্রামে যেতে পারিনি।”

অপসারণের দাবিতে ঘেরাও
মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ সিংহকে ‘অপসারণ’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘেরাও মুক্ত হলেন দুই জন অতিরিক্ত জেলাশাসক ও বহরমপুর মহকুমাশাসক। ওই কর্মাধ্যক্ষকে আজ শুক্রবার অপসারণ করা হবে বলে জানান, জেলাশাসকের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) উলগানাথন। সোমনাথ সিংহকে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারণের দাবিতে অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ) সুজয় সরকারকে তাঁর কার্যালয়ে বৃহষ্পতিবার দুপুর আড়াইটে থেকে ঘেরাও করে রাখেন কংগ্রসের বিধায়ক ও জেলাপরিষদের সদস্যরা। কিছু ক্ষণ পরে বহরমপুর মহকুমাশাসককে সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছন উলগানাথন। অবশেষে কর্মাধ্যক্ষকে ‘অপসারণ’-এর প্রতিশ্রুতি পেয়ে বিকাল সোয়া পাঁচটায় ঘেরা তুলে নেওয়া হয়।

কিডনি দান করতে ছাত্রীর আত্মহত্যা, দাবি করল পরিবার
কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। নাম মাম্পি সরকার (১২)। বাড়ি ধানতলা থানার বরণবেড়িয়া গ্রামে। সোমবার বিকেলে ঘরে রাখা কীটনাশক খেয়েই মারা যায় বরণবেড়িয়া কৃষক সংঘ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। সেই দিনই সে মারা যায়। তারপরে তার দেহ দাহ করা হয়েছে মঙ্গলবার। তারপরে বুধবার রাতে তার বিছানার নীচে থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার হয়েছে বলে তার বাড়ির লোকের দাবি। ওই ছাত্রীর বাবা মৃদুল সরকার বলেন, “আমার ছেলের একটি কিডনি খারাপ। আমারও দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ। আমার মেয়ে ওই চিরকুটে লিখেছে, তার কিডনি আমার ছেলেকে ও চোখ আমাকে দিয়ে দিতেই সে আত্মহত্যা করেছে।” পেশায় দিনমজুর মৃদুলবাবু বলেন, “আমার ছেলের সত্যিই একটি কিডনি খারাপ, অন্যটিতে পাথর জমেছে। কিন্তু চিকিৎসার জন্য যে বিপুল টাকা দরকার, তা আমার নেই। কোনও ভাবে সে কথাই মাম্পি জানতে পেরেছিল।” প্রতিবেশী জয়দেব বসু বলেন, “এখন আমরা জানতে পারছি যে, মাম্পি তার কয়েকজন বন্ধুকেও বলেছিল যে, সে মারা গেলে তার কিডনিটা তার দাদার কাজে লাগবে।” স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক তিমির সরস্বতী বলেন, “ছাত্রীটি আমাদের স্কুলের এক শিক্ষককেও ওর পরিবারের সমস্যার কথা বলেছিল। কিন্তু এমন কাণ্ড করবে, তা কেউ ভাবতে পারেনি।”

বৈঠক বয়কট
বাজেটের খসড়া প্রতিবেদন না পাওয়ার অভিযোগে বাজেট অধিবেশন বয়কট করলেন কান্দির তিন কাউন্সিলর। কংগ্রেস পরিচালিত ওই পুরসভায় ওই দিন ২০১০-১১ আর্থিক বছরের খরচের হিসাব ও আগামী ২০১১-১২ আর্থিক বছরের পুরসভার উন্নয়নে কী ধরনের খরচ হবে, সেই তালিকা প্রকাশের বৈঠক ছিল। ওই বৈঠক শুরু হতেই বাম সমর্থক দুই নির্দল দেবজ্যোতি রায় ও সান্ত্বনা রায় এবং সিপিএমের কাউন্সিলর বলাই চট্টোপাধ্যায় বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে আসেন।

বজ্রাঘাতে মৃত্যু
বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। নাম পিয়ারুল শেখ (২২)। সুতির আহিরণের ঘটনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রামের একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করছিলেন। বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
Previous Story Murshidabad First Page



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.