|
|
|
|
|
মারের র্যালি ঝামেলায়
ফেলতে পারে নাদালকে
বরিস বেকার |
|
উইম্বলডনের চার সেমিফাইনালিস্টের মধ্যে তিন জনের নামই আগাম বলে দেওয়াটা মনে হয় খারাপ পারফরম্যান্স নয়। তবে নিজের ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা নিয়ে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। কারণ, বুধবার ফেডেরার-সঙ্গার ম্যাচে তৃতীয় সেটের আগে পর্যন্ত আমি ফেডেরারকেই সমর্থন করছিলাম। শুধু কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের জন্যই নয়, আমি তো ভেবেছিলাম উইম্বলডন থেকে সাত নম্বর খেতাবটা নিয়ে যাবে ফেডেরার।
ফেডেরারকে যে থামিয়ে দিল, সেই সঙ্গার খেলা দেখতে কিন্তু আমার বেশ ভাল লাগে। ও বেসলাইনে দাঁড়িয়ে থেকে খেলার প্লেয়ার নয়। বরং সঙ্গার টেনিস দেখতে দেখতে আমাদের সময়কার প্লেয়ারদের কথা মনে পড়ে যায়। দুর্দান্ত কোর্ট প্লে। যার বেশ কিছু ঝলক বুধবারের ম্যাচে দেখতে পেলাম। ফেডেরার এ বার ভাল ফর্মেই ছিল। কিন্তু সঙ্গা হঠাৎ করে ওর খেলাকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেল। দিনটাও এই ফরাসি যুবকের ছিল। যে ক’টা ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলেছে, সব ক’টাই ঠিকঠাক কাজে লেগে গিয়েছে। সার্ভিসও দারুণ মারতে শুরু করল। এই সময় ম্যাচ জিততে গেলে নিজের খেলাকে যে উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল, সেটা করতে পারেনি ফেডেরার। সঙ্গা পেরেছিল। সঙ্গার একটাই সমস্যা। ধারাবাহিকতার অভাব। আশা করব, এ বার প্রথম দশ জনের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারবে ও।
আর এক জন প্লেয়ার কিন্তু দারুণ খেলে চলেছে। এত ভাল খেলতে ওকে আগে দেখিনি। অ্যান্ডি মারে। এ বার সেমিফাইনালে ওর লড়াই নাদালের সঙ্গে। ঝুঁকি নিয়ে একটা ভবিষ্যদ্বাণী করে ফেলতে চাই। এই দু’জনের মধ্যে যে ফাইনালে উঠবে, সেই চ্যাম্পিয়ন হবে।
মারে কিন্তু প্রতিটা ম্যাচেই উন্নতি করে চলেছে। ওর শক্তিও অনেক বেড়েছে দেখলাম। উইম্বলডনে খেলতে নামলেই যে একটা চাপ থাকে ওর উপর, সেটা এ বার কাটিয়ে উঠেছে। উল্টো দিকে ওর প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল কিন্তু চোট নিয়ে খেলে যাচ্ছে। পেন-কিলারের সাহায্য ছাড়া ওর পক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল না। তবে মারের বিরুদ্ধে কিন্তু র্যালিগুলো লম্বা হবে। আর ঘণ্টা তিনেক পর থেকে ইঞ্জেকশনের প্রভাবও কমতে থাকবে। মারের নিশ্চয়ই রাফায়েলের চোট পাওয়া গোড়ালির কথাটা মাথায় থাকবে। এবং চেষ্টা করবে র্যালিগুলো যতটা সম্ভব লম্বা করতে। তবে রাফায়েল হল রাফায়েল। যখন সবাই ধরে নেয়, ওর পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়, তখনই ও ফিরে আসে।
রাফা বা মারে দু’জনের এক জন এ বার চ্যাম্পিয়ন হবে, এই ভবিষ্যদ্বাণীটা এই লেখাতেই করেছি। তবে নোভাক ডকোভিচকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়াটা ভুল হবে। আমার মনে হয় না, সেমিফাইনালে সঙ্গা ওকে খুব একটা চাপে ফেলতে পারবে। কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনাল পর পর দুটো ম্যাচে নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়াটা বোধহয় সঙ্গার পক্ষে সম্ভব হবে না। অন্য দিকে নোভাক কিন্তু চুপচাপ উঠে এসেছে। প্রচারের আলো থেকে দূরে। ঠিক যেমনটা ও পছন্দ করে।
কোয়ার্টার ফাইনালে মারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল স্পেনের লোপেজ। যাকে মারের মা নাম দিয়েছে ‘দেলিসিয়ানো’ (দারুণ সুন্দর)। ভদ্রমহিলার কাছ থেকে শব্দটা ধার নিয়ে বলছি, আগামী কয়েক দিন উইম্বলডনে আমরা কিছু ‘দেলিসিয়ানো’ ম্যাচ দেখতে পাব। |
|
|
|
|
|