|
|
|
|
এখনও সঙ্কটজনক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
দু’দিন জল খেয়ে কাটানোর পরে জখম স্ত্রী হাতিটি বুধবার থেকে খাবার খেতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরেছে বন মহলে। ট্রেনের ধাক্কায় কোমর এবং কোমরের সঙ্গে বাঁ পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়ায় সেটি অথর্ব হয়ে পড়েছে। গরুমারায় নিয়ে গিয়ে বনকর্তারা চিকিৎসার পরিকল্পনা নিলেও ব্যাথা কমানোর ওষুধ, স্যালাইন ছাড়া আর কিছু প্রয়োগ করা যায়নি। বৃহস্পতি বার জলপাইগুড়ির বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিফএও সুমিতা ঘটক বলেন, “বুধবার প্রথম হাতিটি অল্প হলেও কিছুটা খেয়েছে। এটা খুবই ভালো খবর। ওর যন্ত্রণা হয়তো কিছুটা কমেছে। হাতিটির শারিরীক পরিস্থিতি ওপরমহলে জানানো হয়েছে।” শনিবার রাতে বানারহাটের রেডব্যাঙ্ক চা বাগান লাগোয়া এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় লাইন থেকে ছিটকে যায় পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হাতিটি। সারা রাত লাইনের পাশে বসেই যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে। পরদিন তাকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে, ক্রেনের সাহায্যে ট্রাকে তুলে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার সময়ে দেখা যায়, বাঁ দিকের কোমরের হাড় এবং পায়ের হাড় ভেঙে গিয়েছে হাতিটির। |
|
ডায়নার জঙ্গলে ছবিটি তুলেছেন দীপঙ্কর ঘটক। |
দু’দিন পুরোপুরি অভূক্ত থাকার পরে বুধবারই ৪ টে পাকা কাঁঠাল, গোটা কয়েক কলাগাছের টুকরো, ২-৩ ঝুড়ি ঘাস খায় সেটি। পেট ভরে জলও খায় দিনভর। প্রথম কয়েক দিন হাতিটি খাবার মুখে না-তোলায় সেটির প্রাণবাঁচানো নিয়ে সন্দিহান ছিলেন বনকর্তারা। আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে যে বিশেষঞ্জ দলটি গরুমারায় গিয়ে ওই জখম হাতিটিকে পরীক্ষা করেন, তাঁদের কর্থাতেও অবশ্য তেমন আশার কথা কিছু শোনা যায়নি। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিনিধি দলটি স্ত্রী হাতিটি পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, কোমরের মূল হাড় এবং কোমর লাগোয়া পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়ায় হাতিটি আর উঠে দাড়াতে পারবে না। অস্ত্রোপচার করে হাড় জোড়া দিয়ে হাতিটিকে ফের উঠে দাঁড় করানোর চিকিৎসা এই দেশে কেন, বিদেশেও নেই। সেই জন্যই হাতিটির যন্ত্রণা কমাতে ব্যাথার ওষুধ এবং কড়া আন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে তাতে যন্ত্রণার পুরোপুরি নিরসন হবে না বলেও চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন। শুয়ে থেকে ক্রমাগত যন্ত্রণায় ভুগতে থাকা ছাড়া হাতিটির সামনে আর কেনও বিকল্প নেই বলে পশু চিকিৎসকরা এ দিন জানিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে হাতিটির বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা তা নিয়ে রাজ্যের বন কর্তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বন দফতরের আলোচনা চলছে। |
|
|
|
|
|