ডিভিসি-র তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
পরিবেশ সংক্রান্ত বিধি মানা হবে তো, প্রশ্ন বাসিন্দাদের
পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে তাঁদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুরে পরিবেশ সংক্রান্ত গণ-শুনানি হয়েছে রঘুনাথপুর শহরে, পঞ্চায়েত সমিতির কমিউনিটি হলে। ছিলেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, জেলা প্রশাসন এবং ডিভিসি-র আধিকারিকেরা।
ডিভিসি-র তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার প্রভাত কিরণ বলেন, “পরিবেশ সংক্রান্ত শুনানির সমস্ত তথ্য পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের কাছে। মন্ত্রকের ছাড়পত্র মেলার পরেই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে।” রঘুনাথপুর ২ এবং নিতুড়িয়া ব্লকের একাংশে প্রথম পর্যায়ে ১২০০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ছে ডিভিসি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৬০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট গড়বে ডিভিসি। মূল প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য তিনটি অপরিহার্য বিষয়, রেলপথ, ওয়াটার করিডর ও ছাইপুকুর তৈরির জন্য এখনও সমস্ত জমি পায়নি ডিভিসি। ফলে উৎপাদন শুরু করার জন্য চূড়ান্ত পরীক্ষার কাজ শুরু করতে পারছেন না ডিভিসি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে প্রভাত কিরণ বলেন, “জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। জমির সমস্যা মেটার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।” তিনি জানান, দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হবে না। প্রকল্পের জন্য ৯২৪ একর জমির মধ্যেই দ্বিতীয় ইউনিট তৈরি হবে।
এ দিন দুপুরে পরিবেশ সংক্রান্ত গণ-শুনানিতে যোগ দেন রঘুনাথপুর শহর-সহ নিতুড়িয়া ব্লকের রায়বাঁধ, গুনিয়াড়া, রঘুনাথপুর ২ ব্লকের নীলডি এবং রঘুনাথপুর ১ ব্লকের নতুনডি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের মধ্যে সুভাষ বাউরি, নিত্যানন্দ মাজি, চুনিলাল মাজি, নারায়ণ মুর্মুরা প্রশ্ন তোলেন, প্রথম পর্যায়ের কাজই এখনও শেষ হয়নি, এই অবস্থায় দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ কী ভাবে শুরু হবে। তাঁরা আরও জানতে চান, শব্দ ও বায়ু দূষণ রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা ডিভিসি কর্তৃপক্ষ বললেও বাস্তবে তার কতটা কার্যকর করা হবে। পাশাপাশি এসআইপি (সোশ্যাল ইন্টিগ্রেশন প্রজেক্ট) প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ এলাকায় সবুজায়ন-সহ রাস্তাঘাট, বিদ্যালয় ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করার দাবিও জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
ডিভিসি কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, বায়ুদূষণ রোধে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইএসপি যন্ত্র বসানো হবে। জ্বালানি গ্যাসকে সালফার মুক্ত করার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি পরিবেশ-বান্ধব প্রক্রিয়ায় ছাইপুকুর নির্মাণ করে ‘উড়ন্ত ছাই’-এর দূষণ রোধের প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হবে এই প্রকল্পে। এসআইপি প্রকল্পের আওতায় বনসৃজন-সহ এলাকার উন্নয়নের কাজ হবে বলেও জানিয়েছেন প্রকল্পের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার।
Previous Story Jibjagat Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.