|
|
|
|
মিড ডে মিলের চাল জলে, অভিযুক্ত প্রধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
নদীতে ভাসতে দেখা গেল চালের বস্তা। খোঁজ-খবর করে গ্রামবাসীরা জানতে পারলেন, ওই চাল মিড ডে মিলের। অভিযোগ ওঠে, সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের প্রধান কাউকে কিছু না জানিয়ে ৭০ বস্তা চাল ফেলে দিয়েছিলেন দ্বারকেশ্বর নদীতে। এরপরে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থক এবং গ্রামবাসী পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। প্রধানকেও ঘেরাও করা হয়। তাঁর যুক্তি, চাল পচে যাওয়ায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুল ১ ব্লকের ঠাকুরানিচক পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত অফিসের গুদামে অবণ্টিত ত্রাণ সামগ্রীও ফেলে রেখে নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। বিষয়টি থানা-পুলিশ অব্দি না গড়ালেও গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। লিখিত অভিযোগ না হলেও ঘটনার খবর উঠেছে যুগ্ম বিডিও সায়ন্তন গুঁইয়ের কানে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রধান সিপিএমের গণেশ মিদ্যা জানান, পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসন পর্যন্ত পুরো পরিচালন ব্যবস্থাটাই রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে ভেঙে পড়েছে। ত্রাণ সামগ্রীর ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত সদস্যেরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে বিপদে পড়ছেন। সে সব সামলে যখন ব্লকে তালিকা পাঠানো হচ্ছে মাল আসছে অনেক পরে। যেমন শীতের কম্বল সঠিক সময়ে না পাওয়ায় বিলি বণ্টন হয়নি। পোশাকের ক্ষেত্রেও তাই। প্রধানের অভিযোগ, বিলি-বণ্টন করতে গিয়েও রাজনৈতিক মদতে অনেকে চড়াও হচ্ছে পঞ্চায়েতের উপরে। সব কিছু সামাল দিয়ে সুষ্ঠু ভাবে পঞ্চায়েত পরিচালনা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
কিন্তু চাল ফেলে দেওয়া হল কেন?
গণেশবাবু বলেন, “ওই চাল পোকায় গুঁড়ো করে দিয়েছিল। কোথাও ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেই। স্কুলগুলিও চাল তোলেনি।” প্রধানের বক্তব্য, প্রশাসন এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে সময় মতো চাল বিলি হয়নি। তা হলে চাল এ ভাবে নষ্ট হত না। প্রথম দিকে অবশ্য চাল ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করতে চাননি প্রধান। পরে সকলের সামনে ‘ক্ষমা চেয়ে’ বলেন, চাল পচে যাওয়ার ফলেই তা কাউকে কিছু না জানিয়ে ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
যুগ্ম বিডিও-র বক্তব্য, স্কুলগুলির থেকে সময় মতো ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট না আসায় অনেক ক্ষেত্রে চাল মজুত থেকে যেতে পারে। সে ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে চাল কোনও মতেই ফেলা যাবে না বলেও একই সঙ্গে মন্তব্য করেন তিনি। অন্য দিকে, ত্রাণের মালপত্র গুদামে মজুত থাকতে দেখে লণ্ডভণ্ড করা হয় বলে অভিযোগ। সে কথা অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্ব অস্বীকার করেছেন। |
|
|
|
|
|