পাওনা টাকার দাবিতে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্কুলের মিড ডে মিলের কয়েকজন কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের লোকেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পান্ডুয়ার বেরেলা কোচমালি পঞ্চায়েতের সোদপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে পুলিশ গিয়ে ওই কর্মীদের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করলে ঘেরাও তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের মিড ডে মিলের দায়িত্বে থাকা রাঁধুনি ও সহায়িকা-সহ জনা পাঁচেক কর্মী বেতন বাবদ গত নভেম্বর মাস থেকে মার্চ পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা সম্প্রতি এসে পৌঁছয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ওই টাকা প্রধান শিক্ষক না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন। বার বার চেয়েও তাঁরা টাকা না পেয়ে এ দিন তাঁকে ঘেরাও করেন। পরে পুলিশ এলে ত্রিবধ ঘোষ নামে ওই শিক্ষক নিজের কাছে টাকা রেখে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি আপাতত দু’মাসের টাকা দিতে চান। কিন্তু তাতে রাজি হননি বিক্ষোভকারীরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশের মধ্যস্থতায় পুরো টাকাই দিতে রাজি হন প্রধানশিক্ষক।
|
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বৃষ্টির জল ধরে রাখতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জেলায় জেলায়। পিছিয়ে নেই হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমাও। মঙ্গলবার এ বিষয়ে এক আলোচনাচক্রেও আয়োজন করা হয় আরামবাগের রামমোহন প্রেক্ষাগৃহে। মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী জানান, বৃষ্টির জলকে বেশি করে ব্যবহার করার জন্য সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার শুরু হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ জলের সমস্যা মেটাতে যে সব পদক্ষেপ করা হয়েছে, তার অন্যতম হল, বৃষ্টির জল-সহ ভূপৃষ্ঠের জলের ব্যবহার বাড়াতে হবে। বর্ষায় বৃষ্টির জল যতটা সম্ভব ধরে রাখতে হবে। যখন বৃষ্টিপাত হয় না, তখন এই জল ব্যবহারে জোর দিতে হবে। কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এ জন্য? প্রশাসন সূত্রের খবর, নতুন নতুন জলাশয় খনন করা, পুরনো জলাশয়ের সংস্কার এবং বাড়ি-ঘরের চালার জলকে ধরে কোনও জলাধারে জমা করা প্রভৃতি। তা ছাড়া, বৃষ্টির জল যাতে মাটির তলাতেও বেশি পরিমাণে জমা হয়, সেই ব্যবস্থাতেও জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে প্রাথমিক ভাবে সমস্ত পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি অফিস, স্কুল-কলেজ এবং সরকারি অফিসগুলিতে জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা হবে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিপিএল তালিকাভুক্তদের জন্য বিনা খরচে বাড়ির চালা বা ছাদের জল ধরে রাখতে জলাধার তৈরি করে দেওয়া হবে। সেই জল স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে ব্যবহারেরও ব্যবস্থা হবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচারে যে সব বিষয় তুলে ধরা হবে, তা হল কেন বৃষ্টির জল ধরে রাখা দরকার, ভূগর্ভে জল কমে গেলে কী সমস্যা হতে পারে এই বিষয়গুলি।
|
জামিন পেলেন সিপিএমের আরামবাগ জোনাল কমিটির সম্পাদক তথা হুগলি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মোজাম্মেল হোসেন। বৃহস্পতিবার আরামবাগের অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। গত শনিবার নৈসরাই গ্রামে তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলা চালানো-সহ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে সিপিএমের জোনাল কমিটির অফিস থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই সিপিএম নেতাকে। পর দিন নিম্ন আদালত তাঁকে ৮ জুলাই পর্যন্ত জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। এ দিন জামিন মঞ্জুর করলেও শর্ত হিসাবে সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতাকে বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি আরামবাগের বাইরে যেতে পারবেন না।
|
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের অরুণ শিট (৪৩)। হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বরের বিঘাটি ধোবাপুকুর এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই এলাকায় দিল্লি রোডের ধারে একটি কারখানার পাঁচিলের বাইরে গাছে উঠেছিলেন। গাছের উপর দিয়েই গিয়েছে বিদ্যুতের হাই টেনশন লাইন। আচমকা ওই তারের সংস্পর্শে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তবে কেন তিনি গাছে উঠেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে এক শিক্ষককে ধরল পুলিশ। সাজাহান হোসেন নামে ওই শিক্ষকের বাড়ি হাড়োয়ার পুকুরিয়া গ্রামে। তিনি স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। বাড়িতে মিটার থাকা সত্ত্বেও হুকিং করার অভিযোগে তাঁকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে বিদ্যুৎ দফতর। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, জানায়, পুকুরিয়া গ্রামে সাজাহানের দোতলা বাড়ি রয়েছে। বাড়ি-সংলগ্র একটি পোলট্রি ফার্মেরও তিনি মালিক। বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিবেশীরা তাঁর বিরুদ্ধে রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি থেকে হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে সরব হন। বুধবার বিদ্যুৎ দফতর এবং হাড়োয়া থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। |