|
|
|
|
দু’টি মৌজার জমি পেল ভূমি দফতর |
গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় • সিঙ্গুর |
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জমি বণ্টনের উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কিন্তু তাতেও ভাটা পড়েনি সিঙ্গুরের প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায়।
তারই অঙ্গ হিসেবে বৃহস্পতিবার আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য সরকার। সিঙ্গুরের সিংহেরভেড়ি এবং গোপালনগর এই দুই মৌজার জমি রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের থেকে হস্তান্তরিত হল ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাছে। এ দিন সিঙ্গুর ব্লক অফিসে দু’টি মৌজার জন্য দু’টি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। চাষিদের হাতে জমি তুলে দিতে গেলে সরকারকে তা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের মাধ্যমেই দিতে হবে।
টাটাদের গাড়ি কারখানার জন্য আগের বামফ্রন্ট সরকার শিল্পোন্নয়ন নিগমের মাধ্যমে সিঙ্গুরের গোপালনগর, সিংহেরভেড়ি, খাসেরভেড়ি, বেড়াবেড়ি এবং বাজেমিলিয়া এই ৫টি মৌজা থেকে ৯৯৭.১১ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার সিঙ্গুরের ‘অনিচ্ছুক’ চাষিদের জমি ফেরত দিতে আইন (সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন ও উন্নয়ন আইন ২০১১) ও বিধি তৈরি করে। সেই আইন প্রয়োগ করে টাটার কাছ থেকে জমি ফিরিয়ে নিয়েছে রাজ্য। এত দিন গোটা জমিটাই ছিল রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের হাতে। এ বার ওই আইন অনুযায়ী, সিংহেরভেড়ি এবং গোপালনগর মৌজার জমি শিল্পোন্নয়ন নিগমের হাত থেকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের হাতে এল বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। একই ভাবে পর্যায় ক্রমে বাকি তিনটি মৌজার জমিও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে হস্তান্তর করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দফতরটি মুখ্যমন্ত্রীরই হাতে।
অন্য দিকে, জমি ফেরত চেয়ে এ দিন ২০ জন ‘অনিচ্ছুক’ চাষি সিঙ্গুর ব্লক অফিসে আবেদন করেছেন। এই নিয়ে রবিবার থেকে মোট ১৫০৯টি আবেদন জমা পড়ল। যাবতীয় আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ চলছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের হিসেবে, সিঙ্গুরে ‘অনিচ্ছুক’ চাষির সংখ্যা প্রায় ২৯০০। এ দিন তুলনামূলক ভাবে আবেদনপত্র কম জমা পড়ার বিষয়ে সিঙ্গুরের কৃষিজমি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক তথা হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না বলেন, “অনেক চাষির কাছেই আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। তাঁরা সে সব জোগাড় করছেন। হয়তো সে কারণেই কিছুটা সময় লাগছে। তাই এ দিন আবেদন কম জমা পড়েছে। তবে এখনও আবেদনের জন্য অনেক দিন পড়ে রয়েছে। সব অনিচ্ছুক চাষিই আবেদন করবেন।”
আবেদনপত্র কম জমা পড়লেও সিঙ্গুর ব্লক অফিস বা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে কাজ হয়েছে জোর কদমেই। এ দিন সিঙ্গুরের জন্য গঠিত ১৯ সদস্যের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল চুঁচুড়ায় জেলাশাসকের দফতরে। কিন্তু সেই বৈঠক হয়নি। আজ, শুক্রবার বৈঠকটি হবে। বৈঠকে কমিটির সভাপতি তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও উপস্থিত থাকার কথা। |
|
|
|
|
|