|
|
|
|
মাওবাদী সমস্যা |
বিশিষ্টদের না ঘাঁটানোই ভাল, মত কেন্দ্রের সমীক্ষায় |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
মাওবাদীদের প্রতি নিছক সহানুভূতিশীল যাঁরা, তাঁদের ধরপাকড় না করে ‘নিজের মতো থাকতে দেওয়াই’ ভাল। খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক সমীক্ষাতেই এই মত উঠে এসেছে। মন্ত্রকের তরফে ব্যুরো অফ পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআরপিডি) এই সমীক্ষা করেছে।
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল বিশিষ্টজনেদের প্রতি কড়া পদক্ষেপের পক্ষপাতী ছিলেন। বিনায়ক সেনের গ্রেফতার নিয়ে দেশ জুড়ে যথেষ্ট প্রতিবাদ হয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্ট বলে যে, মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতি থাকা আর মাওবাদীদের মদত দেওয়া এক কথা নয়। এ বার বিপিআরডি-র সমীক্ষাতেও একই সুর উঠে এল।
তবে এই সমীক্ষাতে বিপিআরডি-র বক্তব্য খুব স্পষ্ট। কৌশলগত কারণেই বিপিআরডি মনে করছে, “সক্রিয় নকশাল কর্মী আর ‘চিয়ারলিডার’দের মধ্যে তফাত করতে জানতে হবে। মাওবাদীদের ইন্ধন দেওয়া আর তাদের হয়ে সওয়াল করা এক নয়। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে সামিল হওয়া আর মতাদর্শগত সহানুভূতি জানানোও এক নয়।” তা হলে রাষ্ট্রের কী করণীয়? ‘‘নকশাল কর্মীদের দমনে সর্বতোভাবে ঝাঁপিয়ে পড়া যেতে পারে। কিন্তু ‘চিয়ারলিডার’দের ধরপাকড় করে কাজে বিশেষ সুবিধা হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা সেমিনার হলের
মধ্যে আবদ্ধ রয়েছেন, তাঁদের নিজের মতো থাকতে দেওয়াই ভাল। নচেৎ নকশালরা রাষ্ট্রকে যে রকম অসহিষ্ণু নিপীড়ক বলে বর্ণনা করে, সেটাই জনমানসে বৈধতা পাবে।”
ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ মাওবাদী অধ্যুষিত তিনটি রাজ্যে সমীক্ষা চালিয়ে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে বিপিআরডি। তারা স্পষ্ট বলেছে, মাওবাদী সমস্যা নিয়ে ‘সংবেদনশীল নীতি’ প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে। “সমাজের বিশিষ্ট জনেদের একাংশের মাওবাদীদের প্রতি সমর্থন রয়েছে। সেই সব কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টাও রাজ্যগুলির তরফে করা হয়েছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি।” বিপিআরডি-র এই রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছে জমা পড়েছে। সরকার কোন পথে চলে, সেটাই দেখার। |
|
|
|
|
|