কেন্দ্র-নীতীশ লড়াই, অথৈ জলে সাংসদ কোটার অর্থ
রাজ্য ও কেন্দ্রের টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে বিহারে সাংসদ-কোটার অর্থ খরচ নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছে। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে বিহার সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকার, কোনও এক পক্ষ নরম মনোভাব না নিলে সাংসদ-কোটার অর্থই আর এসে পৌঁছবে না বিহারে।
বিহারে বিধায়ক কোটা উঠে যাওয়ার পর থেকে সমস্যা তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়েই বিধায়ক কোটা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নীতীশ। সেই সিদ্ধান্তে সায় দেয় জোট এবং বিধানসভাও। এর ফলে চলতি আর্থিক বছর থেকেই বিধায়ক কোটা উঠে গিয়েছে বিহারে। যে বিভাগের মারফত বিধায়ক কোটার অর্থ খরচ করা হত, তুলে দেওয়া হয়েছে পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা সেই বিভাগটিও। ওই বিভাগের মাধ্যমে সাংসদ কোটার অর্থও খরচ করা হত।
বিধায়ক কোটা উঠে যাওয়ার পরে নীতীশ কুমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম এস গিলকে একটি চিঠি লিখে এই সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন, এর ফলে রাজ্য সরকারের পক্ষে সাংসদ কোটার অর্থ খরচ করা অসম্ভব। নীতীশ কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ওই বিভাগের মতো একটি বিভাগ তৈরি করে বিহারে সাংসদ কোটার টাকা খরচ করুক কেন্দ্রই। নয়তো এই সংক্রান্ত বিভাগটি চালানোর জন্য সাংসদ-কোটার ছ’শতাংশ অর্থ সরাসরি বিহার সরকারকে দেওয়া হোক।
কিন্তু দু’টি প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিল। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অর্থ খরচ করে রাজ্য সরকারগুলিই। এ ক্ষেত্রেও সাংসদ-কোটার অর্থ খরচ করার দায়িত্ব রাজ্যেরই। এর জন্য কেন্দ্র কোনও রকম পরিকাঠামো দিতে পারবে না। আর্থিক সাহায্যের প্রশ্নও উঠছে না। ফলে ওই অর্থ আসাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
যদিও শাসক দলের নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ শিবানন্দ তিওয়ারি এখনও আশা হারাচ্ছেন না। তাঁর মতে, “আলোচনার মাধ্যমে কোনও না কোনও রাস্তা বেরোবেই।” অন্য দিকে, পুরো পরিস্থিতির জন্য নীতীশ কুমারকেই দায়ী করছে বিরোধী দলগুলি। আরজেডি নেতা রামকৃপাল যাদবের কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে নীতীশ কুমার যে ভাবে খরচ চালানোর দাবি জানিয়েছেন তা একেবারেই অসাংবিধানিক, অভূতপূর্ব।”
Previous Story Desh Next Story


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.