|
|
|
|
প্রধানমন্ত্রীর কাছে দয়ানিধি, ইস্তফা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য রদবদল নিয়ে যে ‘কাজ চলছে’, সে কথা গত কালই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, সেই রদবদল নিয়ে এখন কংগ্রেস তথা ইউপিএ-র মধ্যেও পুরোদস্তুর টানাপোড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী দয়ানিধি মারান আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরেই মন্ত্রিসভা থেকে তাঁর ইস্তফার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছে। তা যদি হয়, তবে ইউপিএ-র অন্দরমহলে এর প্রভাব পড়তে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন।
জানুয়ারি মাসে মন্ত্রিসভার রদবদলের সময়ই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাজেট অধিবেশনের পর ফের বড় ধরনের রদবদল হবে। কিন্তু অনেকে মনে করছিলেন, কেন্দ্রে বর্তমান সঙ্কটের পরিস্থিতিতে বড় রদবদলের সম্ভাবনা বিশেষ নেই। শুধু শূন্যস্থান পূরণ হবে মাত্র। টু জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে দয়ানিধি মারানের নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি বদলেছে। অনেকেরই ধারণা, এর ফলে নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মারান আজ বলেছেন, “রুটিনমাফিক বৈঠকই হয়েছে।” সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, টু জি স্পেকট্রাম বণ্টন নিয়ে প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী দয়ানিধি মারানের বিরুদ্ধে সিবিআই কোনও মামলা দায়ের করবে কি না, তা ৭ জুলাই স্পষ্ট হবে। মারানের বিরুদ্ধে যদি কোনও চার্জশিট হয়, তবেই মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে ইস্তফা দিতে বলবেন প্রধানমন্ত্রী। তা ছাড়া ২ থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল মুম্বই ও হায়দরাবাদ সফরে থাকবেন। ফলে ৮ তারিখের পরেই রদবদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মারানকে যদি ইস্তফা দিতে তা হলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাঁর পরিবর্তে ডিএমকে থেকে কে মন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে করুণানিধির সঙ্গে কথা বলবেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তার জন্যও সময় দরকার হবে।
রদবদল নিয়ে টানাপোড়েন চলছে কংগ্রেসের মধ্যেও। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে দু’দিন বৈঠক করেছেন। আগামী কালও রদবদল নিয়ে সনিয়া-মনমোহনের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। তার আগে মন্ত্রিসভার কংগ্রেস মন্ত্রীদের সঙ্গে পৃথক ভাবে কথা বলাও শুরু করেছেন সনিয়া। এর আগে তিনি গুলাম নবি আজাদ, সলমন খুরশিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আজ কথা বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম, জাহাজমন্ত্রী জি কে ভাসান এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিব্বলের সঙ্গে।
কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, বড় রদবদল যদি না-ও বা হয়, মন্ত্রিসভা থেকে বি কে হান্ডিক, এম এস গিলের মতো বর্ষীয়ান মন্ত্রীদের সরানো হতে পারে। কান্তিলাল মধ্যপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পরে তাঁকে আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক থেকে সরানো হতে পারে। সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার ব্যাপারে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য তথা প্রধান মুখপাত্র জনার্দন দ্বিবেদীর নামও রয়েছে। সরকার তথা দলের এক বর্ষীয়ান নেতা অবশ্য আজ বলেছেন, সনিয়া গাঁধী দলের মন্ত্রী-নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন ঠিকই। তবে মন্ত্রিসভার প্রকৃত রদবদল কী হবে, সেটা রদবদলের ঠিক আগেই স্পষ্ট হবে। |
|
|
|
|
|