|
|
|
|
লোকপাল বিল |
সর্বদল বৈঠকের আগে প্যাঁচ কষছে কংগ্রেস-বিজেপি |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
লোকপাল বিল নিয়ে সর্বদল বৈঠকের আগে কংগ্রেস ও বিজেপির রীতিমতো স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। বিজেপি যতই আন্না হাজারেকে গুরুত্ব দিতে চাক, কংগ্রেস তাঁকে ‘গুরুত্বহীন’ করে দিতে চাইছে। আবার সর্বদল বৈঠক নিয়ে কংগ্রেস যতই সক্রিয় হতে চাক, বিজেপি ততই নিষ্ক্রিয়তা দেখাচ্ছে। এই চাপানউতোরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে লোকপালের আওতায় আনার সপক্ষে মুখ খুলে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছেন করুণানিধিও। ‘জনলোকপাল’ বিল নিয়ে নিজের মতামত জানাতে আজ সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী ছিলেন আন্না হাজারে। কিন্তু সনিয়া আজ তাঁকে সময় দেননি। সম্ভবত সর্বদল বৈঠকের আগের দিন তাঁর সঙ্গে বৈঠক হতে পারে। কিন্তু সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা বাড়িয়ে দলের মুখপাত্র জনার্দন দ্বিবেদী বলেছেন, “সৌজন্যের খাতিরে সনিয়া গাঁধী অবশ্যই আন্না হাজারের সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু কবে দেখা করবেন, তা বলা যাচ্ছে না।” এরই সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহ আজ আন্নাকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “তিনি অনশনে বসার আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা করে জনসমর্থন আদায় করুন।” যার অর্থ, দিগ্বিজয় মনে করেন, আন্নার পিছনে মুষ্টিমেয় লোক ছাড়া কার্যত জনসমর্থন নেই। কংগ্রেসের পাখির চোখ এখন সর্বদল বৈঠক। যাতে লোকপাল বিল নিয়ে ঐকমত্য না হওয়ার দায় বাকি দলগুলির উপরে চাপিয়ে আন্নার আক্রমণ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়।
কংগ্রেসের ঠিক বিপরীত মেরুতে রয়েছে বিজেপি। রবিবারই লোকপাল নিয়ে সর্বদল বৈঠক হওয়ার কথা। কিন্তু তিন দিন আগে আজও বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ী বলেছেন, “সর্বদল বৈঠক নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। শনিবার এনডিএর নেতারা আলোচনায় বসে তা ঠিক করবেন।” তাঁরা বলছেন, সর্বদল বৈঠকে গেলে যে সেই দিনই বিজেপিকে নিজের মতামত জানাতে হবে, এমন কথা নেই। দলের এক নেতার মতে, “লোকপাল বিল নিয়ে আমাদের ঘাড়ে বন্দুক রাখতে চাইছে সরকার। আমরা কেন ফাঁদে পা দেব? সর্বদল বৈঠকে গেলেও আমাদের মত জানাতে হবে, তার কি বাধ্যবাধকতা আছে? সরকার তো বিলের কোনও খসড়া মন্ত্রিসভায় পাশই করায়নি! আগে সেই পদক্ষেপ করুক, তার পর আমাদের মত জানাব।”
আন্না হাজারের সঙ্গে আজ দেখা করার পর জেডি(ইউ) নেতা ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও আজ একই সুরে বলেন, “কেন্দ্র আগে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক। কেন্দ্র আমাদের দু’টি খসড়া পাঠিয়েছে। এর বদলে কেন্দ্র যদি একটি খসড়া পাঠিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে, তা হলে আমাদের পক্ষে মতামত দেওয়া অনেক সহজ হয়।” আর, বিজেপি নেতা ও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী কলকাতায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পদকে শর্তসাপেক্ষে লোকপালের আওতায় রাখা উচিত। যদিও সুশীল এও বলেন যে, এটি তাঁর ব্যক্তিগত মত। চেন্নাই থেকে ইউপিএ শরিক করুণানিধিও একই কথা বলছেন অবশ্য। দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত ডিএমকে-র কর্ণধার মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে লোকপালের অন্তর্ভুক্ত হলে সেটা তাঁর স্বচ্ছতা প্রমাণেই সুবিধাজনক হবে। এখন করুণার এই বক্তব্যের পিছনে অন্য রাজনৈতিক অঙ্ক রয়েছে কিনা, জল্পনা চলছে তাই নিয়েও। |
|
|
|
|
|