|
|
|
|
জলের আর্জির জন্য ৭ দিন সেক্টর ৫-কে |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নির্জলা হওয়ার আশঙ্কা থেকে কিছুটা স্বস্তি পেল সেক্টর ফাইভ শিল্পতালুক। বৃহস্পতিবার সল্টলেকে ওয়েবেল ভবনে তথ্যপ্রযুক্তি দফতর এবং ওয়েবেলের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি জানান, ওয়েবেলের পক্ষ থেকে নতুন জল সংযোগ নিতে সেক্টর ফাইভের সংস্থাগুলিকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সংস্থাগুলিকে আবেদন করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, “ভূগর্ভস্থ জল তোলা বেআইনি। তাই ওয়েবেলের তরফে এই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। নবদিগন্ত সংস্থাদের নির্দেশ দিয়েছে, যাতে আগামী সাত দিনের মধ্যে তারা জলের সংযোগ নেওয়ার আবেদনপত্র জমা দেয়।”
সেক্টর ফাইভের সংস্থাগুলিকে ওয়েবেল চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, ১ জুলাই থেকে তারা জল সরবরাহ বন্ধ করে দেবে। নীতিগত ভাবে জল কেনার কথা মেনে নিলেও সংযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে সংস্থা গড়িমসি করছিল বলে অভিযোগ।
সেক্টর ফাইভে জল সরবরাহ ব্যবস্থা বেসরকারি হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বছরখানেক আগেই নেওয়া হয়েছিল। টাটা স্টিলের শাখা সংস্থা জামশেদপুর ইউটিলিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস কোম্পানি (জুসকো) ওই অঞ্চলে জল বণ্টনের ব্যবস্থা তৈরি করেছে। তার পরে নবদিগন্ত টাউনশিপ অথরিটি ও জুসকো যৌথ ভাবে তৈরি করে নবদিগন্ত ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (এনডিডব্লিউএমএল) নামে একটি সংস্থা। প্রথমেই সংযোগ নেওয়ার দাম ধরা হয়েছিল প্রতি বর্গফুট দশ টাকা। এর পরে জলের মিটার বসানো হবে। কিলোলিটার প্রতি ২৫ টাকা দরে জল কিনতে হবে সংস্থাগুলিকে। আজ, শুক্রবার নবদিগন্তের নোটিস সংস্থাদের কাছে পৌঁছনোর কথা। নবদিগন্তের এগ্জিকিউটিভ অফিসার বি এন কর বলেন, “আজই নোটিস তৈরি করা হয়েছে। দ্রুত জল সংযোগ নিতে আর্জি জানিয়ে সংস্থাদের কাছে তা পাঠানো হচ্ছে।” কিছুটা সময় পাওয়ায় খুশি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পমহলও। ন্যাসকমের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সুপর্ণ মৈত্র জানান, জলের মতো পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে মন্ত্রী হস্তক্ষেপ করায় আশ্বস্ত সংস্থার কর্তারা। |
|
|
|
|
|