রাস্তা সংস্কার হয়নি, বন্ধ বাস চলাচল
ংস্কারের অভাবে রাস্তা খানা-খন্দে ভরে গিয়েছে। রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় গত তিন-চার দিন ধরে বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রামপুরহাট-বিশোড় রুটে। এর ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন নলহাটি ও মুরারই থানার কয়েক হাজার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জনা গিয়েছে, নলহাটি থানার গোপালপুর থেকে মুরারই থানার বিশোড় পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। এর ফলে বিশোড়, কুশমোড়, চৈতি, ভাদিষ্ঠা, মধুরা, আমাইপুর ও নলহাটি হয়ে রামপুরহাট পর্যন্ত চলচালকারী ৫-৬টি বাসের মালিক ওই রাস্তায় বাস চালানো বন্ধ করে দিয়েছেন। জেলা বাস মালিক সমিতির রামপুরহাট শাখার সম্পাদক জামিরুল ইসলাম বলেন, “রাস্তাটি জেলা পরিষদের। সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি বাস চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে বাস মালিকদের একাংশ মাস তিনেক আগে বাস ওই রাস্তা থেকে বাস তুলে নিয়েছেন। সপ্তাহ খানেক আগে যে দু’তিনটি বাস চলছিল সেগুলিও তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন মালিকেরা। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।”
বেহাল রাস্তা। খয়রাশোলের পাঁচড়া-বাবুইজোড় রাস্তা। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত।
এ দিকে, বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুরারই ২ ব্লকের কুশমোড় (১) ও কুশমোড় (২) পঞ্চায়েত এবং রুদ্রনগর পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের একাংশকে স্কুল-কলেজ, হাটবাজার, পঞ্চায়েত অফিস, ব্লক অফিস, থানায় যেতে আসতে নাকানি-চোবানি খেতে হচ্ছে। ওই তিনটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা সম্প্রতি মৌখিক ভাবে মুরারই ২ ব্লকের বিডিও-র কাছে তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। বিশোড় গ্রামের বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নুরুল আবসার আলি জানান, নলহাটি থেকে বিশোড় পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার পাকা সড়কের মধ্যে ৬টি হাইস্কুল আছে। কুশমোড় (১), কুশমোড় (২) ও রুদ্রনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই প্রাথমিক স্কুল আছে। ওই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্র-সহ তিনটি পঞ্চায়েত অফিস আছে। তিনি বলেন, “রাস্তা বেহালের জন্য সকলেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।”
সদাশিবপুর গ্রামের বাসিন্দা গরিবুল্লা মল্লিক, রামপুর গ্রামের সিরাজউদ্দিন শেখ, কেন্দিষ্টার অলোক চট্টোপাধ্যায়দের ক্ষোভ, “বিশহোড় থেকে সুহুদিঘি পর্যন্ত রাস্তা বলতে কিছুই নেই। খানাখন্দে ভরা রাস্তার জায়গায় জায়গায় জল জমে ছোটোখাটো ডোবায় পরিণত হয়েছে।” জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পঞ্চানন ভট্টাচার্য বলেন, “ওই রাস্তার কিছু অংশ জেলাপরিষদ নির্মাণ করেছিল। কিছু অংশ পঞ্চায়েত সমিতি নির্মাণ করেছিল। পরে জানতে পারি রাস্তাটি সম্পূর্ণ জেলাপরিষদের। দুদিন আগে বাসিন্দারা রাস্তা বেহালের কথা জানিয়েছেন। তার আগে জানতাম না। এ ব্যাপারে শীঘ্রই অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ) ও নির্বাহী বাস্তুকারের সঙ্গে আলোচনায় বসব।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ) সৌম্যজিত দাস বলেন, “রাস্তা বেহালের কথা আমার জানা নেই। ওই রাস্তাটির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে বিডিওকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হবে।”
Previous Story Purulia Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.