আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হয়, আমার চোখটা যদি হেমামালিনীর মতো হত, সত্যিই কত ছেলে যে প্রেমে পাগল হত তার ঠিক নেই। আর তার সঙ্গে হাসিটা মাধুরীর মতো হলে দশে দশ - মন খুঁতখুঁত করার দিন শেষ। মেক-আপ দিয়ে সমস্ত খুঁত ঢেকে দেওয়া যায় অনায়াসেই। সুতরাং সকালে মাধুরী, সন্ধেয় ক্যাটরিনা, সবই আপনি যখন-তখন হয়ে উঠতে পারেন। |
আমার নাক চ্যাপ্টা এবং খুবই বিস্তৃত, দেখতে খুব খারাপ লাগে, এমন কোনও পদ্ধতি আছে কি যার দ্বারা নাকটি টিকলো লাগবে?
প্রদীপ্তা মুখোপাধ্যায়, মহামায়াতলা
আমাদের কাছে অনেক রকম উপায় আছে নাকটি টিকলো দেখানোর। মেক-আপের মাধ্যমে তুমি তোমার চাহিদা অনুযায়ী মুখের ‘ফিচার’গুলিকে অন্য রূপ দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তুমি দু’রকম শেড-এর ফাউন্ডেশন প্রথমে তোমার সামনে রাখবে। একটি বেশি গাঢ় শেড হবে, অন্যটি হবে তার তুলনায় হালকা। গাঢ় শেড-এর ফাউন্ডেশনটি তুমি নাকের দু’পাশে লাগাবে। প্রথমে একটি লাইন টেনে নেবে এবং লাইন বরাবর সমান ভাবে ফাউন্ডেশনটি লাগিয়ে সুন্দর ভাবে চামড়ার সঙ্গে মিলিয়ে দেবে। এর পর ন্যাচারাল শেড-এর ফাউন্ডেশনটি দু’টি চোখের মাঝখানে নাকের উঁচু অংশটির (ব্রিজ) উপর লাগিয়ে নেবে। এই ভাবে মেক-আপটি আস্তে আস্তে সম্প্ূর্ণ করতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে নাকের উপরে যেন কোনও লাইন পরিষ্কার ভাবে ফুটে না ওঠে। হালকা এবং গাঢ় উভয় শেড-ই যেন সুন্দর ভাবে মিলিয়ে যায়। যদি ঠিক মতো না হয় তবে খুবই দৃষ্টিকটু লাগবে।
আমার কপাল খুব চওড়া। সাজের পর মনে হয় কপালটি খুব বিসদৃশ লাগে। কী ভাবে এটিকে ঠিক করব?
জিনি সরকার, যাদবপুর
এই উত্তরটি আমি আগেই বলে দিয়েছি। যখন মুখের আকৃতি বিষয়ে আলোচনা করেছি তখনই বলেছি যে এক মাত্র ডিম্বাকৃতি মুখের ধরনই ঠিক এবং আদর্শ। যার মুখের এই ধরন তাকে কিছু ঠিক করতে হবে না। এ ছাড়া সকলকেই কিছু না কিছু মেক-আপের মাধ্যমে প্রকৃত শেপটি আনতে হয়, এবং সর্বদাই আমরা ডিম্বাকৃতি শেপটি আনার চেষ্টা করি। কিন্তু তোমার নিজস্ব মুখের আকৃতিটি কী রকম, সেটি তুমি জানাওনি। যাই হোক চওড়া কপালকে ঢাকতে গাঢ় রঙের ফাউন্ডেশন-এর একটি শেড আমরা চুলের লাইন বরাবর পুরো মুখে প্রথমে লাগিয়ে নিই অথবা গাঢ় রঙের ব্লাশ-অন’ও একই ভাবে লাগানো যেতে পারে। প্রাথমিক ভাবে এই ধরনের মেক-আপের সাহায্যে কপালের চওড়া অংশটি কম চোখে পড়ে, এত দিন ধরে যেটি প্রথম দর্শনেই খুব দৃষ্টিকটু ভাবে চোখে লাগত।
এ ছাড়াও আর একটি পদ্ধতি আছে, প্যানকেক-এর ব্যবহার। প্যানকেক ব্যবহার করলে সমস্যাটির সমাধান খুব ভাল হয়। ইচ্ছে করলে কালো প্যানকেক চুলের লাইন বরাবর লাগিয়ে নিতে পারো। এতে মনে হবে কপালটি ছোট।
আমার ঠোঁট দু’টি খুব মোটা, চওড়া এবং লিপলাইন খুবই স্পষ্ট। যখন আমি লিপলাইনার দিয়ে আউটলাইন করি তখন প্রকৃত লিপলাইনটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেটা খুব বাজে লাগে। কী করলে ঠিক হবে?
তিন্নি লাহা, পাম এভিনিউ
এই ধরনের সমস্যা খুবই সাধারণ। এ ক্ষেত্রে তুমি খুব মোটা করে ফাউন্ডেশন-এর একটি প্রলেপ ঠোঁটের চারপাশে এবং ঠোঁটে লাগিয়ে নেবে, ফলে লিপলাইনটি বেশি স্পষ্ট দেখাবে না। এর পর তোমার পছন্দ অনুযায়ী লিপলাইন এঁকে নেবে, তবে সেটা যেন বেশ স্পষ্ট হয়।
আমার চোখের পাতা খুব ঘন কিন্তু খুবই সোজা, মাসকারা ব্যবহার করেও আমি ঠিক কার্লি শেপ দিতে পারি না।
ঋত্বিকা মুখোপাধ্যায়, চেতলা
যাদের এই ধরনের চোখের পাতা তাদের ক্ষেত্রে এটিকে কার্লি করতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। এ ক্ষেত্রে দু’টি পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয়। প্রথমে তোমাকে একটি আইল্যাশ কার্লার কিনতে হবে এবং সেটি দিয়ে বারে বারে ব্রাশ করে যেতে হবে। অনেক সময় এটি’র দ্বারা সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। যদি না হয়, তখন আইল্যাশ কার্লারটিকে ড্রায়ার দিয়ে গরম করতে হয় এবং গরম কার্লার দিয়ে চোখের পাতাগুলিকে ব্রাশ করতে হবে। ল্যাশ কার্লার যে কোনও বড় দোকানে পাওয়া যায়, কোনও অসুবিধে নেই। এর পর ‘এনহ্যানসিং মাসকারা’ লাগাতে হবে। এটি কোনও বড় ব্র্যান্ডের কিনতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনও সমঝোতা চলবে না। এই মাসকারাটির বৈশিষ্ট্য হল এর ব্রাশ, যেটি চোখের পাতাকে কার্লি করতে অনেকটাই সাহায্য করে।
আমার ভ্রূ-যুগল অসমান এবং ঘন সাজের সময় খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়, কী ভাবে ম্যানেজ করব?
আহেলি সেনশর্মা, আমতলা
এই ধরনের ভুরুর ঠিক ভাবে থ্রেডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক মতো থ্রেডিং ধীরে ধীরে এলোমেলো ও অসমান ভুরুকে ঠিক করে দেয়। অনেকের মাঝে মধ্যে ফাঁক থেকে যায়, সে ক্ষেত্রে ট্রান্সপারেন্ট মাসকারা লাগিয়ে নিতে হবে। ফলে ফাঁকা জায়গাটি ভরাট হয়ে যাবে এবং দেখতেও ভাল লাগবে।
|
সাক্ষাৎকার: কস্তুরী মুখোপাধ্যায় ভারভাদা |