|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
একটি দিবাস্বপ্ন ও মার্জারী |
বইপোকা |
লেখা শিখাইবার ইশকুল। হাতের লেখা শিখাইবার নহে, লেখার হাত তৈরি করিবার সেই বঙ্গীয় ইশকুলে দলে দলে ভর্তি হইতেছে। নিবারণ চক্রবর্তী হইয়া ভর্তি হইয়া দুই-এক জন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হইয়া বাহির হইয়া দেশের ও দশের মুখোজ্জ্বল করিতেছে। সম্প্রতি দ্বিপ্রহরে নিদ্রাভিভূত হইয়া এমত স্বপ্ন দেখিতেছিলাম। হেনকালে শুনিলাম ‘মিয়াঁও’! মার্জারী। উহার আগমন এই বার বেশ বিলম্বে হইল। তাহাকে স্বপ্নটি শুনাইলাম। সে বলিল, ‘মাত্রা কিছু বেশি হইয়াছে বুঝিতেছি, তা বাপু সেই ইশকুলে পাঠ্যক্রমটি কি উন্মাদের পাঠক্রম হইবে!’ এই হইল বিপদ। ‘উন্মত্তবৎ’ না হইয়াও যে কবিতা রচনা করা যায় তাহা আর বাঙালিকে বুঝান গেল না। গোলযোগটি বাধাইয়া গিয়াছেন প্রথম আধুনিক গীতিকবি বেহারীলাল। তৎপরে কবিতার সহিত কেমন করিয়া যেন হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসা ধনের ধারণাটি জড়াইয়া গেল। শুধু কবিতা কেন, সামগ্রিক ভাবে সাহিত্য নির্মাণ শিখাইবার কোনও প্রতিষ্ঠানের কথা বলিতে গেলেই অধিকাংশ বঙ্গজন বলিবেন অসম্ভব, এ অসম্ভব। আমার দুঃখ এই, মার্জারীও সেই দলে পড়িল। তাহাকে বলিতে গেলাম, বিদেশের প্রখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘ফেবার অ্যান্ড ফেবার’ কবি তৈরি করিবার উদ্দেশ্যে একটি ছয় মাসের কোর্সের আয়োজন করিতেছেন... সে ফ্যাঁচ করিয়া হাসিয়া বলিল, ‘বাপু এমনিতেই কোন এক বয়সে যেন বঙ্গসন্তানকে কাব্যরোগে পায়, তদুপরি তোমার স্বপ্নের ইশকুল চালু হইলে শত শত বেকার কবিকে জায়গা দিতে পারিবে ত!’ ইহা অবশ্য ঘোর বাস্তব। সুতরাং বরিষণমুখরিত দ্বিপ্রহরে পুনরায় নিদ্রিত হওয়াই শ্রেয় মনে হইল। |
|
|
|
|
|