সংস্কৃতি যেখানে যেমন...
|
আনন নাট্য সংস্থা |
আগামী ৭ ডিসেম্বর প্রাচীন নাট্য সংস্থা ‘আনন’-এর ৪০ বছর পূর্ণ হবে। তার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই নাট্য সংস্থার দীর্ঘ এত বছর কিন্তু খুব সুসময় যায়নি। ১৯৮২-৯৭ পর্যন্ত ওই সংস্থা গুপি গাইন বাঘা বাইন, মিছিল, সওদাগরের নৌকা, ঝুমুর, সুদিনের লেগে, মহাজ্ঞানী প্রভৃতি প্রায় ৫০টি নাটক মঞ্চস্থ করে রাজ্যের নাট্য অঙ্গনে পরিচিত পেয়েছিল। কয়েকটি নাটক ৫৬-৭৪ বার পর্যন্ত মঞ্চস্থ হয়েছে। এর পরে ২০০৪ সাল থেকে ওই সংস্থার নাটকের সংখ্যা যেমন কমে যান, তেমনি নাটকের মানও দিন দিন অবনতির দিকে যায়। হঠাৎ ছোট পর্দার কৌতূক অভিনেতা বীরভূমের নাট্যকার অতনু বর্মনের লেখা পাণ্ডুলিপি ‘কহেন কবি কালিদাস’ বীরভূমের আঞ্চলিক গোষ্ঠীর নাটকটিকে ধরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে আনন। |
|
ওই নাটকের কালিদাস মহাকবি কালিদাস নন, ওই কালিদাস গ্রামের এক জন হাবাগোবা মানুষ। যাঁকে তাঁর বাড়ির লোকজন ও পড়শিরা নিয়ে মজা করতেন, কটূ মন্তব্য করতেন। হঠাৎ সেই কালিদাস স্বপ্নে বাক্দেবেীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে যাবতীয় দুর্নীতি, অনাচার প্রভৃতি নিয়ে ছড়া কেটে কেটে প্রতিবাদ করেন। অতনুর ছড়ার হাত বেশ সুন্দর বলেই নাটকটির মুখ্য চরিত্র শেষের দিকে ছড়ায়, সংলাপ আওড়ে মাত করেছে। নাটকটি কলকাতায় শিশিরমঞ্চ, বিজন থিয়েটার, মিনার্ভা, বর্ধমান-সহ বীরভূমে মোট ৩০ বার মঞ্চস্থ হয়েছে খুব কম সময়ের মধ্যে। আরও শো-এর আমন্ত্রণ আসছে বলে ওই নাট্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
|
বার্ষিক অনুষ্ঠান |
|
পুরুলিয়া শহরের নব কিশলয়সঙ্ঘ তাদের বার্ষিক অনুষ্ঠানে মঞ্চস্থ করল ‘মোবাইল’, ‘শৈশব’ ও ‘মায়ের ঠিকানা’ নাটকগুলি। সম্প্রতি শহরের নডিহা এলাকায় বিজন মঞ্চে নাটকগুলি অনুষ্ঠিত হয়। নাটকের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথের ‘প্রাণ চায় চক্ষু না চায়’ র্শীষক গীতি আলেখ্য দর্শকদের জন্য উপহার দিয়েছেন সংস্থার শিল্পীরা। মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার ও তার কুফল, পরিবেশ পরিস্থিতির চাপে কী ভাবে শিশুদের শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে এবং বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে নানান সমস্যার কথাই ছিল তিনটি নাটকে।
|
রক্তকরবী |
কাব্যে, নৃত্যে, গীতিতে সিউড়ির আবৃত্তি সংস্থা ‘রক্তকরবী’ একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ করে গত রবিবার সিউড়ি রবীন্দ্র সদনে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট ছড়াকার আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে ৩ জন গুণীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় ধরে ওই অনুষ্ঠানটি হয়েছে বলে শ্রোতাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটিয়েছে।
|
সংস্কৃতি সংগঠন |
পুরুলিয়ার লোক সংস্কৃতির প্রসারে এবং এই সম্পদ আরও বেশি সংস্কৃতি মনস্ক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে শিল্পী ও সংস্কৃতি জগতের মানুষজন গঠন করেছেন ‘মানভূম সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষৎ’। সম্প্রতি পুরুলিয়া শহরে ওই সংগঠনের জন্ম হয়েছে। সংগঠনের মুখপাত্র ঋতুরাজ দে জানিয়েছেন, নব গঠিত এই সংগঠন মানভূমের সংস্কৃতিকে আরও বেশি মানুষ কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করবে।
|
সংক্ষেপ |
• বোলপুর ভূবনডাঙা সুধাময়ী নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত শনি ও রবিবার কবি প্রণাম ও শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ স্মরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ওই স্মরণ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন ও বেলুড় মঠের স্বামী তত্বোধানন্দ। আয়োজক ছিল স্থানীয় জয়ন্ত স্মৃতিসঙ্ঘ। |
|