|
|
|
|
বসিরহাটের নানা ওয়ার্ডে জল, সঙ্গীন বাঁধের অবস্থা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
দিন কয়েক ধরে বৃষ্টি হচ্ছিলই। এর সঙ্গে শুক্রবারের প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হল বসিরহাট শহরের বেশ কিছু এলাকা। জল জমেছে মহকুমার বেশ কয়েকটি এলাকাতেও। এ দিকে, সুন্দরবন এলাকার নদীবাঁধগুলির অবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন গ্রামবাসীরা। সামনেই ভরা কোটাল। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতি না হলে বহু গ্রাম প্লাবিত হবে।
এ দিন বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। চলে বিকাল প্রায় ৫টা পর্যন্ত। তার মধ্যেই জল জমে যায় ভ্যাবলা, ট্যাঁটরা, হরিশপুর, চৌরাচর-সহ বিভিন্ন এলাকায়। দুর্ভোগে পড়েন ওই সব এলাকার বাসিন্দারা। বসিরহাট পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান অমিত দত্ত বলেন, “জলমগ্ন ওয়ার্ডগুলি থেকে জল সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ভ্যাবলা, ট্যাঁটরা এলাকায় মেছোভেড়ি থাকার জন্য জল নামছে না। বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। জল নিকাশির জন্য ভেড়ি-মালিকদেরও সাহায্য চাওয়া হয়েছে।”
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকাগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছে সন্দেশখালি-২ ব্লকের মণিপুর পঞ্চায়েতের আতাপুরে। সেখানে রায়মঙ্গল নদীর বাঁধ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বসে গিয়েছে। ইতিমধ্যে সেচ দফতর থেকে বাঁধে বাঁশের পাইলিংয়ের কাজ শুরু হলেও মাটি ফেলা নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। সন্দেশখালি-১ ব্লকের মসজিদবাড়ি এলাকায় বেতনী নদীর বাঁধের অবস্থাও তথৈবচ। পূর্ব ভোলাখালিতে ১০০ ফুটের মতো বাঁধে ধস নেমেছে। হিঙ্গলগঞ্জের সান্ডেলের বিল, রমাপুর, সাহেবখালি, জগন্নাথঘাট, দুলদুলি, সর্দারপাড়া, নটবরঘাট-সহ কয়েকটি জায়গায় কালিন্দী এবং রায়মঙ্গল নদীর বাঁধের অবস্থা উদ্বেগজনক। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, একে বাঁধের এই অবস্থা, তার উপরে অনেক স্লুইস গেটই অকেজো হয়ে পড়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, ভারী বর্ষণে ওই অকেজো স্লুইস গেট দিয়ে জল ঢুকে গ্রাম ভাসাবে। মহকুমার নদীবাঁধগুলির অবস্থা নিয়ে ওয়াকিবহাল মহকুমা সেচ আধিকারিক গুরুপদ ঘোষ। তিনি বলেন, “মহকুমার ২৩১টি স্লুইস গেটের মধ্যে ১১৫টি খারাপ। আতাপুর-সহ ইতিমধ্যে কয়েকটি জায়গায় বাঁধ মেরামতি এবং রিং বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।” |
|
|
|
|
|