|
|
|
|
ডাকঘর
|
নিস্তার নেই কান্দির |
ময়ূরাক্ষী, দ্বারকা, কুয়ে, কালিন্দী, ডাউকি, বাবলা ও কানা ময়ূরাক্ষী প্রভৃতি নদী, শাখানদী-সহ অগুনতি কান্দর, ক্যানাল, খাল, বিল ও নালা কান্দি মহকুমায় জালের মতো ছড়িয়ে আছে। ফরাক্কা ও মশানজোড় বাঁধ নির্মানের আগে কান্দি মহকুমার নদী গুলিতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিত। ১৯৫৬, ১৯৬৬, ১৯৭৮, ২০০০, ২০০৬ সালের বিধ্বংসী বন্যা ছাড়াও মাঝারি ও ছোটখাটো বন্যা কান্দি মহকুমার নিরন্তর ভাগ্যলিপি। বন্যার সময় জলের সর্বোচ্চ উচ্চতার কথা ভাবলে মহকুমার মানুষ শিউরে ওঠে। তিলপাড়া ব্যারাজে বন্যা নিয়ন্ত্রনের কোনও ব্যবস্থা নেই। খরার সময়ও গঙ্গার জলের চাপে কোনও কোনও নদীতে জল থেকে যায়। ভরা বর্ষায় ওই পরিস্থিতি হয়ে ওঠে বিপজ্জনক। ফরাক্কা ব্যারাজ নির্মানের ফলে ভাগীরথী নদীর গর্ভে পলি জমে জমে গভীরতা কমে গিয়েছে। মশানজোড় ও তিলপাড়া ব্যারাজ থেকে ছাড়া জল ও সেই সঙ্গে বির্স্তীণ এলাকার জলরাশি দ্রুত নেমে আসে কান্দি মহকুমার বুকে। এক সময় হিজল ছিল প্রসারিত প্রাকৃতিক জলাধার। এখন আর তা বলা যায় না। খাগড়াঘাট-আজিমগঞ্জ রেলপথও এলাকাকে বন্যাপ্রবণ করে তুলেছে। ওই রেলপথে জল নিকাশি কালভার্টের সংখ্যা অপ্রতুল। ফলে বন্যার সময় জল বন্দি হয়ে পড়ে। একই অবস্থা খড়গ্রাম-মোড়গ্রাম বাদশাহি সড়ক পথেও। ময়ূরাক্ষী, দ্বারকা, ব্রাহ্মণী ও কুয়ে নদীর সম্মিলিত রূপ বাবলা। কিন্তু পলি জমে যাওয়ার ওই সব নদীর জল বহণ করার ক্ষমতা হারিয়েছে বাবলা। ফলে ফি বছর কান্দি মহকুমায় বন্যা অবশ্যম্ভাবী। জন্মের পর থেকেই ওই মহকুমার মানুষ রাজনৈতিক নেতা থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত সবার মুখ থেকে ‘কান্দি মস্টার প্ল্যান’-এর কথা শুনতে অভ্যস্ত। আজও তা কার্যকর হয়নি। ওই ‘প্ল্যান’ সঠিক ভাবে কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত বন্যা থেকে কান্দির মানুষের নিস্তার নেই। |
সুভাষ ঘোষ হাজরা, পাঁচথুপি
|
জলে যাচ্ছে জল |
‘জলের অপর নাম জীবন’। কথাটি ছোট থেকে বড় সবাই জানি। ওই ‘জীবন’টিই অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে কৃষ্ণনগর গর্ভমেন্ট গার্লস স্কুলের বিপরীতে অঞ্জনা খালের উপর দিয়ে চলে যাওয়া দু’টি পাইপের সংযোগ স্থলে। দু’ মাস ধরে সংযোগ স্থল থেকে হু হু করে জল বের হয়ে নষ্ট হচ্ছে। অথচ কারও কোনও হেলদোল নেই। অদূরেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জেলা কার্যালয় ও বিভিন্ন আধিকারিকদের সরকারি আবাসন। তাঁরাও জল অপচয় বন্ধ করতে কোনও উদ্যোগ নেননি। ফলে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য হচ্ছি। |
সমরকুমার মৌলিক, ধুবুলিয়া
|
টাওয়ার কোথায় |
দৌলতাবাদ থানা এলাকার ছুটিপুর, সর্দারপাড়া ও লাগোয়া আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষ মোবাইল ফোন ব্যববার করলেও তাঁরা কেউই গ্রামে তা ব্যবহার করতে পারেন না। তার কারণ, ওই গ্রামগুলি থেকে মোবাইলের ‘টাওয়ার’ মেলে না। ওই বিষয়ে সরকারি হস্তক্ষেপ দাবি করছি। |
রিংকি ও পিংকি মণ্ডল, ছুটিপুর |
|
|
|
|
|