টুকরো খবর

মারধরে অভিযুক্ত সিপিআই নেতা
তৃণমূল কর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে ডেকে এনে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দাঁতনের সিপিআই বিধায়ক অরুণ মহাপাত্রের ছেলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর থানা এলাকার সাউটিয়া গ্রামে। পুলিশ এসে কার্যালয় থেকে তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে ও অভিযুক্ত বিকাশ মহাপাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপরে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। পরে বিকাশবাবুকে গ্রেফতারও করা হয়। যদিও থানাতেই জামিন পেয়ে যান তিনি। দাঁতনের নবনির্বাচিত বিধায়ক তথা সিপিআই রাজ্যকমিটির সদস্য অরুণ মহাপাত্রের ছেলে বিকাশবাবু সাউটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর অধীনস্থ একটি সংস্থার কর্মী। সাউটিয়া গ্রামেরই বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় জানা আগে সিপিআইয়ের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ভোটের আগে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন এবং স্থানীয় বাম নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ প্রচারে তুলে আনেন। সেই আক্রোশেই এ দিন মৃত্যুঞ্জয়বাবুকে দলীয় কার্যালয়ে ডেকে বিকাশবাবু মারধর করে বলে অভিযোগ। মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন, “দলের নাম করে ব্যক্তিগত ভাবে সরকারি ত্রাণের চাল বিলি করছিলেন বিকাশবাবু। এই নিয়ে বিরোধ বাধায় আমি দল ছাড়ি। সেই আক্রোশেই আমারে মারধর করে ওরা।” তৃণমূলের মোহনপুর ব্লক সভাপতি প্রদীপ পাত্রের আরও অভিযোগ, “অভিযুক্ত বিধায়কের ছেলে হওয়ায় পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি।” যদিও ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই দাবি বিধায়ক অরুণবাবু। তিনি বলেন, “চাল বিলি নিয়ে বিকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয় ওই ব্যক্তি। বিকাশ এর কারণ জানতে চেয়ে স্থানীয় বাজারে ডেকে পাঠিয়েছিল। মারধর তো দূরের কথা, ঝগড়া-বিবাদও হয়নি। তৃণমূল সরকার ক্ষমতার আস্ফালন দেখাচ্ছে। আমার কাছে হারের আক্রোশে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”

সংস্কার হয়নি, বেহাল রাস্তা
ছবি: কৌশিক মিশ্র।
সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে ধনেশ্বরপুর থেকে মোহনপুর যাওয়ার দীর্ঘ ২৮ কিলোমিটার রাস্তা। এগরা-খড়্গপুর ও এগরা-সোলপাট্টা সড়কপথ সংযোগকারী এই রাস্তাটি পাকা করা হয়েছিল বছর চোদ্দো আগে। দাঁতন-২ ও মোহনপুর ব্লকের বাসিন্দাদের কাছে রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জেলা বা মহকুমা সদর এমনকী দাঁতন, বেলদা রেল স্টেশনে যাওয়ার জন্য একমাত্র পাকা রাস্তা এটিই। হাওড়া, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পাঁশকুড়া-সহ দুই মেদিনীপুরের নানা রুটের কমপক্ষে চল্লিশটি বাস-ট্রেকার চলে। সংস্কারের অভাবে এখন খানাখন্দে ভর্তি এই রাস্তা। যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বেশ কিছু বাস-ট্রেকার বন্ধ হয়ে গিয়েছে সম্প্রতি। ফলে বিড়ম্বনা বেড়েছে এলাকাবাসীর। পূর্ত দফতর দায়িত্ব না নেওয়ায় দীর্ঘ এই রাস্তাটির সংস্কারের ভার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের উপর। দাঁতন-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তারাপদ গিরি বলেন, “জেলা পরিষদে এই নিয়ে বহু বার আবেদন করা হয়েছে। আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজ না হওয়ায় আমরা বড় বড় গর্তগুলোতে বোল্ডার, মোরাম ফেলে কোনও রকমে জোড়াতালি সংস্কার করি।” রাস্তার দুরবস্থার কথা মেনে নিয়ে দাঁতনের নবনির্বাচিত সিপিআই বিধায়ক অরুণ মহাপাত্র বলেন, “সত্যিই ওই রাস্তার কদর্য অবস্থা। জেলা পরিষদকে আগেও বলেছি, আবারও বলব কাজ করার জন্য।”

উন্নতি বন্যা পরিস্থিতির
শুক্রবার ঘাটাল মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই ধীরে ধীরে জল কমতে শুরু করেছিল। পুরোপুরি জল না সরলেও এ দিন ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাস্তায় বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে দাসপুরের প্লাবিত গ্রামগুলি থেকে এখনও জল সরেনি। সীতাপুরে বাঁধের উপরে বালির বস্তা রেখে উঁচু করায় জলের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রশাসন শুক্রবারও বাঁধ থেকে বালির বস্তা পুরোপুরি সরাতে পারেনি। প্রতিবাদে দাসপুরের গয়লাখালি ও সোনামুই এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ মানুষ। পরে প্রশাসন সীতাপুর থেকে বালির বস্তা সরানোর কাজ শুরু করলে অবরোধ ওঠে। মহকুমা প্রশাসনের দাবি, ঘাটাল পুরশহর-সহ ঘাটাল ও দাসপুর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে জল নামতে শুরু করেছে। সীতাপুরের বাঁধ কাটিয়ে যাতে জমা জল রূপনারায়ণ নদীতে পড়ে, তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।”

কাকিমাকে ছুরি, পলাতক ভাইপো
কাকিমার পেটে ছুরি মেরে ও মুখে অ্যাসিড ছুড়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ভাইপোর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে চন্দ্রকোনা থানার চাঁদুর সংলগ্ন নানুয়া গ্রামে। ঘটনায় নমিতা দোলই নামে ওই মহিলা আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনার সময় নমিতাদেবীর পাশেই ঘুমোচ্ছিল তাঁর চার বছরের ছেলে সৌরভ। অ্যাসিড সৌরভেরও মুখে ও গায়ে লাগে। সে-ও হাসপাতালে ভর্তি। অভিযুক্ত জয়ন্ত দোলই পলাতক। তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নমিতাদেবীর পাশেই বাড়ি অভিযুক্ত জয়ন্তের। নমিতাদেবীর স্বামী তপন ট্রাকের খালাসি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বেশ কয়েক মাস ধরে কাকিমার সঙ্গে জোরজবরদস্তি করে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিল জয়ন্ত। বৃহস্পতিবার রাতে তপনবাবুর অনুপস্থিতির সুযোগে জয়ন্ত কাকিমাকে দরজা খুলতে বলে। নমিতাদেবী রাজি না-হওয়ায় জয়ন্ত দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢুকে আচমকাই নমিতাদেবীকে আক্রমণ করে। পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। মুখে অ্যাসিড ছোড়ে। তার পরেই পালিয়ে যায়। ওই মহিলা ও তাঁর শিশুপুত্রকে স্থানীয় মানুষই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

অনাস্থায় জয়ী তৃণমূল
তৃণমূলের আনা অনাস্থায় পশ্চিম মেদিনীপুরে ফের এক পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল সিপিএমের। শুক্রবার নারায়ণগড় ব্লকের বেলদা পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটি হয়। উপস্থিত ৮ জনই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। পঞ্চায়েত প্রধান ভরত বাগ অবশ্য আগেই পদত্যাগ করেছিলেন। এ দিনও অনুপস্থিত ছিলেন। আসেননি আরও ৪ বাম সদস্য। গত পঞ্চায়েত ভোটে ১৩টি আসনের মধ্যে ১১টি দখল করে সিপিএম। একটি সিপিআই। মাত্র একটি আসন পায় তৃণমূল। প্রধান হন শিবশঙ্কর পাত্র। পরে চাকরি পেয়ে প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান শিবশঙ্করবাবু। প্রধান হন ভরত বাগ। রাজ্যের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বেলদা পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব আনে তৃণমূল। সিপিএমের ৭ জন এই প্রস্তাব সমর্থন করেন। সিপিআইয়ের পঞ্চায়েত সদস্য গায়ত্রী দোলইও এ দিন অনুপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল সূত্রের খবর, নতুন প্রধান হতে পারেন দলের একমাত্র নির্বাচিত সদস্য হেমন্ত বাগ।

সালুয়ায় উচ্ছেদের আশঙ্কা
ইএফআরের নতুন ব্যারাক তৈরি হলে লাগোয়া বস্তি উচ্ছেদ হতে পারে, এই আশঙ্কায় আন্দোলন শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল নেতা তথা খড়গপুরের পুরপ্রধান জহরলাল পাল বলেন, “বস্তি উচ্ছেদ করা চলবে না। আমরা আন্দোলনকারীদের পাশে রয়েছি। আশপাশে আরও জমি রয়েছে। সেখানে ব্যারাক করা যেতে পারে।” দলীয় সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দ্বারস্থ হতে চলেছেন বস্তিবাসীরা। ইএফআর কর্তৃপক্ষ অবশ্য উচ্ছেদের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। ইএফআরের ডিআইজি অজয় নন্দ বলেন, “উচ্ছেদের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। বস্তির কিছু দূরে ব্যারাক তৈরি হবে। বিষয়টি স্থানীয়দেরও বুঝতে হবে।” যদিও অভিযোগ, এ দিন ব্যারাক তৈরির জায়গায় তৃণমূলের পতাকা লাগানো হয়েছে। অশান্তি এড়াতে ইএফআর কর্তৃপক্ষ জেলা পুলিশের সাহায্য চেয়েছেন।

দুর্ঘটনায় মৃত ২ লরি চালক
পথ দুর্ঘটনায় দুই লরিচালকের মৃত্যু হল। শুক্রবার ভোরে কলাইচন্ডী খালের অদূরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে দুই লরিচালক সইদুল দিন (৩৪) ও নরেন্দ্র চক্রবর্তীর (২৫) দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, দুই লরির মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলেই এই দুর্ঘটনা। একটি লরি ওড়িশার দিক থেকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর যাচ্ছিল। অন্যটি দুর্গাপুর থেকে হলদিয়া আসছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরি দু’টির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। প্রাণ হারান দুই লরিচালক। লরি দু’টির সামনের দিকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষ্ণুপুরগামী লরির চালকের দেহ লরির পাত কেটে বের করতে হয়। দুর্ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ যানজট তৈরি হয় জাতীয় সড়কে। সার দিয়ে দূরপাল্লার লরি দাঁড়িয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দুই চালকের মৃত্যু হলেও লরির খালাসিরা বেঁচে গিয়েছেন। মৃত সইদুলের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের শ্রীধরপুরে। নরেন্দ্রর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরেরই শালবনির রাউতাড়ায়।

আইসিডিএসে ঘেরাও
অনিয়ম চলছে। এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার সকালে এক আইসিডিএস কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। ঘেরাও করা হল কেন্দ্রের কর্মীকে। এ ঘটনা খড়গপুর-১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কলাইকুণ্ডার বসন্তপুরের। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই এই আইসিডিএস কেন্দ্রে অনিয়ম চলছে। চালের হিসেব থাকে না। কিছু চাল পাচারও হয়ে যায়। পরে পুলিশি মধ্যস্থতাতেই ঘেরাও ওঠে।

ত্রাণ বিলি
ডেবরার প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন ও দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করল মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার ডেবরার জলমগ্ন এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী অপর্ণা নিয়োগী, রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা মিতা দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভানেত্রী উত্তরা সিংহ। অপর্ণাদেবী জানান, ত্রিপলের পাশাপাশি চাল, বিস্কুট, পানীয় জলের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।

তদন্তের দাবি
গত ৯ জুন খড়্গপুরের রবীন্দ্রপল্লির এক বাড়িতে নাবালিকা পরিচারিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ঠিক মতো তদন্তের দাবিতে বুধবার মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাল শ্রমজীবী মহিলা ও পরিচারিকা সমিতি।
Previous Story Medinipur First Page


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.